ঢাকা ১৩ জুলাই, ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম
সোনারগাঁয়ে তিতাস গ্যাসের অভিযানে ৩টি অবৈধ চুন কারখানার গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন আশুলিয়ায় অপহরণের পর শিশুকে গলাকেটে হত্যা, ঘাতক যুবক গ্রেফতার বেসরকারি শিক্ষক নিয়োগে পুলিশ ভেরিফিকেশনের নতুন পরিপত্র ‘শাপলা’ প্রতীক না পেলে রাজনৈতিক লড়াইয়ের ঘোষণা এনসিপির হাসিনাসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালে গুমের অভিযোগ বিএনপির জরুরি অবস্থা প্রধানমন্ত্রীর ইচ্ছায় নয়, লাগবে মন্ত্রিসভার অনুমোদন বেঁচে যাওয়া টাকা ফেরত দিলো ধর্ম মন্ত্রণালয় নির্বাচনের সম্ভাব্য সময়ের ধারণা দিলেন সিইসি আগামী বছরের হজের খরচ আরও কমানোর চেষ্টা করা হচ্ছে: ধর্ম উপদেষ্টা ত্বকের যত্নে মধু ব্যবহার করবেন যেভাবে

জেনে নিন আমের আঁটির উপকারিতা

#

লাইফস্টাইল ডেস্ক

০৯ জুলাই, ২০২৫,  3:13 PM

news image

আমরা সবাই আম খেয়ে থাকি। আম খাওয়ার পর আমরা আঁটি ফেলে দেই। কারণ আমরা আমকেই উপকারি মনে করি। আর আঁটিকে অকেজো মনে করে ফেলে দেই। কিন্তু এই আঁটির উপকারিতা জানলে অবাক হবেন। কখনও আর আঁটি ফেলতেও চাইবেন না। আমের আঁটি ফেলে না দিয়ে গুঁড়া করে যত্নে রাখুন, কারণ এটির রয়েছে নানা গুণাগুণ। গবেষকরা জানিয়েছেন, প্রতি ১০০ গ্রাম আমের আঁটিতে রয়েছে ৬ গ্রাম প্রোটিন, ২০ গ্রাম ম্যাগনেসিয়াম, ৩২ গ্রাম কার্বোহাইড্রেড, ৩ গ্রাম ডায়েটরি ফাইবার আর প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন বি-৬ ও বি-১২। এছাড়াও আমের আঁটিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যামাইনো অ্যাসিড, খনিজ এবং অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট উপাদান।

আসুন জেনে নেই আমের আঁটির গুণাগুণ:

খুশকি সমস্যা দূর করতে: আপনার যদি খুশকির সমস্যা থাকে তাহলে আমের আঁটি ব্যবহার করতে পারেন। এক চিমটি আমের আঁটির গুঁড়ার সঙ্গে ২-৩ চামচ সরিষার তেল মিশিয়ে চুলের গোড়ায় ভাল করে মালিশ করুন। এতে চুল উজ্জ্বল হবে পাশাপাশি খুশকির সমস্যা দূর হবে।

ব্লাড সুগার: আম খেলে ব্লাড সুগার বেড়ে যায়। কিন্তু আমের বীজ খেলে তার প্রতিক্রিয়া পুরো ভিন্ন হয়। আমের বীজ খেলে ব্লাড সুগার লেভেল নিয়ন্ত্রণে থাকে।

শুষ্ক ও রুক্ষ ত্বকের জন্য: শুষ্ক ও রুক্ষ ত্বকের জন্য আমের আটির জুড়ি নেই। এজন্য আমের আঁটির গুঁড়ার সঙ্গে সরিষার তেল মিশিয়ে ত্বকে মালিশ করুন। নিয়মিত এটি ব্যবহার করলে ত্বক তেলতেলে ও উজ্জ্বল হয়ে উঠবে।

দাঁতের যত্নে: দাঁতের যত্নেও আমের আঁটি ব্যবহার করতে পারেন। ঝকঝকে দাঁত আর সুস্থ মাড়ি পেতে আমের আঁটির গুঁড়া দিয়ে দাঁত মাজুন।

ওজনের সমস্যা: ওবেসিটি বা অতিরিক্ত ওজনের সমস্যা থাকলে আমের বীজের নির্যাস খেতে পারেন। ফ্যাট বার্ন ররতে আমের বীজ অত্যন্ত কার্যকরী।

জ্বালাপোড়া দূর করতে: পিঁপড়া, মৌমাছি বা অন্যান্য কীট কামড়ালে জ্বালাপোড়া করে। এই জ্বালাপোড়া দূর করতে আক্রান্ত স্থানে আমের রস বা আমের আঁটির গুঁড়া লাগালে সাময়িকভাবে ব্যথার বোধ দ্রুত কমে যায়।

রোগ প্রতিরোধে: যে কোনও খাবারের সঙ্গে আমের আঁটির গুঁড়া মিশিয়ে খেতে পারলে উচ্চ কোলেস্টেরল, উচ্চ রক্তচাপ, স্থূলতা বা ডায়াবেটিসের মতো সমস্যা সহজেই নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব।

ডায়রিয়া: ডায়রিয়া হলে আমের আঁটি শুকিয়ে গুঁড়ো করেন। এরপর তা পানির সঙ্গে মিশিয়ে খেতে পারেন। ক্রনিক ডায়রিয়া সারাতে খুবই কার্যকরী আমের আঁটি।

কোলেস্টেরল: কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতেও আমের বীজ খুবই কার্যকরী।

logo

সম্পাদক ও প্রকাশক : মো. নজরুল ইসলাম