
নিজস্ব প্রতিবেদক
২৪ জানুয়ারি, ২০২৪, 2:07 PM
আরও এক মামলায় জামিন পেলেন আমির খসরু
রাজধানীর পল্টন মডেল থানার মামলায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরীর জামিন মঞ্জুর করেছেন আদালত। এ নিয়ে ১০ মামলার মামলার মধ্যে ৯ মামলায় তার জামিন মঞ্জুর করেছেন আদালত। বুধবার ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তোফাজ্জল হোসেন অধিকতর জামিন শুনানি শেষে ১০ হাজার টাকা মুচলেখায় তার জামিন মঞ্জুর করেন। অপর দিকে প্রধান বিচারপ্রতির বাসায় হামলার ঘটনায় রমনা থানায় করা মামলার তার অধিকতর জামিন শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। আদালত এ বিষয় আদেশ বেলা ১টা ২০ মিনিটের দিকে দেবেন বলে জানিয়েছেন আদালত। এর আগে রোববার (২১ জানুয়ারি) ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তোফাজ্জল হোসেন শুনানি শেষে রমনা ও পল্টনের আরও দুই মামলায় তার জামিন মঞ্জুর করেন। এছাড়া রমনা ও পল্টন থানার আরও দুই মামলায় আমির খসরুর অধিকতর জামিন শুনানির জন্য বুধবার (২৪ জানুয়ারি) দিন ধার্য করেছেন আদালত। তারও আগে বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তোফাজ্জল হোসেন রমনা থানার দুই ও পল্টন মডেল থানার দুই মামলায় শুনানি শেষে ১০ হাজার টাকা মুচলেকায় তার জামিন মঞ্জুর করেন। গত বুধবার (১৭ জানুয়ারি) পল্টন মডেল থানার পৃথক দুই মামলায় ১০ হাজার টাকা মুচলেকায় তার জামিন মঞ্জুর করেন। জানা গেছে, ২৮ অক্টোবরের ঘটনায় আমির খসরুর বিরুদ্ধে মোট ১০টি মামলা হয়। দুটি মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। এজন্য অপর আট মামলায় গ্রেফতার দেখানোসহ জামিন চেয়ে আবেদন করা হয়েছে। এর মধ্যে রমনা মডেল থানায় চার এবং পল্টন মডেল থানায় চারটি মামলা রয়েছে। গত ২ নভেম্বর দিনগত রাত পৌনে ১টার দিকে গুলশান ৮১ নম্বর রোডের বাসা থেকে তাকে গ্রেফতার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। এর পর পুলিশ কনস্টেবল হত্যা মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে গত ৩ নভেম্বর তাকে আদালতে হাজির করা হয়। এ মামলায় তার ছয় দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। রিমান্ড শেষে গত ১০ নভেম্বর আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। এর পর পল্টন থানার নাশকতার আরেক মামলায় গত ১৪ ডিসেম্বর মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও পল্টন মডেল থানার উপপরিদর্শক সুমিত কুমার সাহা গ্রেফতার দেখানোসহ ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। গত ১৮ ডিসেম্বর ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রাজেশ চৌধুরীর আদালত রিমান্ড নামঞ্জুর করে জেলগেটে জিজ্ঞাবাদের নির্দেশ দেন আদালত।