
NL24 News
২১ সেপ্টেম্বর, ২০২২, 3:23 PM

২ দশকের মধ্যে ডলারের দর সর্বোচ্চ পর্যায়ে
আন্তর্জাতিক মুদ্রাবাজারে প্রধান ছয় মুদ্রার বিপরীতে যুক্তরাষ্ট্রের ডলারের দাম বাড়ছেই। বুধবার (২১ সেপ্টেম্বর) তা দুই দশকের মধ্যে সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছে। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের বরাত দিয়ে সিএনবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এদিন বৈঠকে বসছেন যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় ব্যাংক ফেডারেল রিজার্ভের (ফেড) নীতি-নির্ধারকরা। সেখানে কমপক্ষে ৭৫ বেসিস পয়েন্ট সুদহার বাড়ানোর ঘোষণা দিতে পারেন তারা। অবশ্য কেউ বলছেন, সেটা ১০০ বেসিস পয়েন্টও হতে পারে। এতে আগামী মাসের আর্থিক বাজার পরিস্থিতি সম্পর্কে সম্যক ধারণা পাওয়া যাবে। পরিপ্রেক্ষিতে মার্কিন ট্রেজারি ইল্ড ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে। সেই সঙ্গে ডলারের মূল্যও চড়া রয়েছে। রাতারাতি ডলার সূচক শূন্য দশমিক ৫৭ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।
বর্তমানে তা ১১০ দশমিক ১৭-এ অবস্থান করছে। চলতি মাসের শুরুতে যা ১১০ দশমিক ৭৯ ছিল। গত ২০ বছরের মধ্যে সেটি সর্বোচ্চ। এতে স্পষ্ট বর্তমান সূচক সেসময়ের কাছাকাছি পর্যায়ে রয়েছে। ফেডের সুদহার বৃদ্ধির প্রত্যাশায় দুই বছর মেয়াদী ইউএস ট্রেজারি ইল্ড দ্রুত ৩ দশমিক ৯৯২ শতাংশ ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে। ২০০৭ সালের পর যা সর্বোচ্চ। পাশাপাশি ১০ বছর মেয়াদি মার্কিন ইল্ড ৩ দশমিক ৬০৪ শতাংশ বেড়েছে। ২০১১ সালের যা সর্বোচ্চ। ইল্ডের ঊর্ধ্বমুখিতা ট্রেজারির মালিকানা হতে এবং ডলার কিনতে বিনিয়োগকারীদের উৎসাহিত করে। কমনওয়েলথ ব্যাংক অব অস্ট্রেলিয়ার জ্যেষ্ঠ অর্থনীতিবিদ এবং মুদ্রা বিশেষজ্ঞ ক্রিস্টিনা ক্লিফটন বলেন, পরের স্তরে ডলার সূচক ১১২ পয়েন্টে পৌঁছতে পারে। ফেড বেসিস পয়েন্ট ৭৫ বাড়ালেই সেটা দেখতে পারি আমরা। ইতোমধ্যে সুইডেনের কেন্দ্রীয় ব্যাংক (রিক্সব্যাংক) সুদহার ১০০ বেসিস পয়েন্ট বাড়িয়েছে। তবে এতে দেশটির মুদ্রার কোনো উন্নতি হয়নি। ডলারের গত ২০ বছরের মধ্যে সর্বনিম্নে নেমে গেছে সুইডিশ ক্রোনার দাম। ব্রিটেনের মুদ্রা স্টার্লিং সবশেষ বিক্রি হয় ১ দশমিক ১৩৮১ ডলারে। গত ৩৭ বছরের মধ্যে যা রয়েছে সর্বনিম্ন স্তরে। ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের (ইইউ) মুদ্রা ইউরোর দরপতন হয়েছে শূন্য দশমিক ০২ শতাংশ। প্রতি ইউরো বিক্রি হয়েছে শূন্য দশমিক ৯৯৬৭ ডলারে। তবে জাপানের মুদ্রার মূল্যমান শূন্য দশমিক ১ শতাংশ বেড়েছে। প্রতি ডলার বিকিয়েছে ১৪৩ দশমিক ৫৬ ইয়েনে। তবে তা এখনও গত ২৪ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন স্তরে আছে। বৃহস্পতিবার বৈঠকে বসবেন ব্যাংক অব ইংল্যান্ড এবং ব্যাংক অব জাপানের কর্তারাও। তারা সুদের হার বাড়াতে পারেন। ফলে নিঃসন্দেহে বলা যায়, এসব সিদ্ধান্ত সামনের দিনগুলোতে আর্থিক বাজারে বড় ধরনের প্রভাব ফেলবে।