ঢাকা ১৯ জুন, ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম
জাতীয় ট্যালেন্ট হান্ট ক্রিকেটে সাপাহারের ২ শিক্ষার্থী স্বর্ণের দামে বড় পতনের পূর্বাভাস আগামীকাল সচিবালয়ে বিক্ষোভের ঘোষণা ১১ মাসে রাজস্ব আদায় ৩ লাখ ২৭ হাজার কোটি টাকা: এনবিআর দেশে ফিরেছেন ২৯ হাজার ৭৩ হাজি ঈদযাত্রার ১২ দিনে সড়কে ঝরল ৩১২ প্রাণ নির্বাচন নিয়ে সরকারের প্রতিশ্রুতি দ্রুত বাস্তবায়ন চান রিজভী জনসংযোগ-নিরাপত্তার মিশ্রণে দায়িত্ব পালনে এসএসএফের সদস্যদের প্রতি প্রধান উপদেষ্টার আহ্বান সন্ধ্যায় হাসপাতালে যাবেন খালেদা জিয়া বন্দর নবীগঞ্জে পাষণ্ড স্বামীর হাতে স্ত্রী খুন

সাকিব, তামিম ও হাথুরুসিংহেকে সেরার তালিকায় রাখলেন ইমরুল

#

ক্রীড়া প্রতিবেদক

১৮ নভেম্বর, ২০২৪,  4:41 PM

news image

টেস্ট ও চার দিনের প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট থেকে বিদায়ের ঘোষণা কয়েকদিন আগেই দিয়েছিলেন ইমরুল কায়েস। আজ শেষবারের মতো লাল বলের ক্রিকেটে মাঠে নেমেছিলেন এই টপ অর্ডার ব্যাটার। যদিও বিদায়ী ইনিংস গতকালই খেলে ফেলেছিলেন তিনি। মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে জাতীয় ক্রিকেট লিগের (এনসিএল) ম্যাচের তৃতীয় দিনে আজ ইমরুলের খুলনা বিভাগকে ৯ উইকেটে হারিয়েছে ঢাকা বিভাগ।ফলে শেষ হয় সাদা পোশাকে ইমরুল অধ্যায়। আজ সোমবার ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে আসেন ইমরুল। সেখানে টেস্ট ও লাল বলের ক্রিকেট ছাড়ার কারণ এবং ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট চালিয়ে যাওয়ার পেছনে ব্যাখ্যা দিয়েছেন তিনি। ইমরুল কথা বলেছেন বাংলাদেশের ক্রিকেট নিয়েও।  সংবাদ সম্মেলনে ইমরুল জানিয়েছেন, তার কাছে বাংলাদেশের সেরা ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান। উদ্বোধনী সঙ্গী হিসেবে সেরা তামিম ইকবাল। আর কোচদের থেকে শেখার প্রসঙ্গে চন্ডিকা হাথুরুসিংহেকেই সেরা মানলেন ইমরুল। বাংলাদেশের কোচ হিসেবে হাথুরুসিংহের প্রথম অধ্যায়ে (২০১৪ থেকে ২০১৭) অনেককিছু শিখেছেন বলে স্বীকার করেছেন ইমরুল।  দীর্ঘ সংস্করণের ক্রিকেট ছাড়ার ব্যাখায় জাতীয় দলের হয়ে ৩৯ টেস্ট খেলা ইমরুল বলেন, ‘আমার ফিটনেস এখন যে পর্যায়ে আছে, তাতে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টির জন্য নিজেকে টিকিয়ে রাখতে পারব এবং আরও কয়েক বছর খেলতে পারব। চার দিনের ম্যাচ খেলার জন্য যে পরিমাণ শক্তি ও দৃঢ় মনোবল থাকতে হয়, তা এখন আর নেই। আমার মনে হয়েছে, আমি যদি নিজেকে তরুণদের সঙ্গে তুলনা করি এবং ওদের মতো ছন্দে খেলতে গিয়ে যদি না পারি, তাহলে নিজেকে ছোট মনে হয় এবং লজ্জা লাগে। কিন্তু সংক্ষিপ্ত সংস্করণের ক্রিকেটে একদিনেই খেলা শেষ হয়ে যায়। এখানে ফুল এনার্জি দেওয়া সম্ভব।’ দীর্ঘ ক্যারিয়ার নিয়ে ৩৭ বছর বয়সী ইমরুল বলেন, ‘২০০৬ সালে যখন আমার প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে অভিষেক হয়, আমি চিন্তা করিনি যে বাংলাদেশ দলের হয়ে এতগুলো টেস্ট খেলতে পারব। আর সব শেষে এখন যেভাবে বিদায় নিলাম, আমি খুব খুশি যে বাংলাদেশের হয়ে ৩৯টি টেস্ট ম্যাচ খেলতে পেরেছি। এটা আমার জন্য অনেক বড় প্রাপ্তি। ২০১৯ সালের পর আর বাংলাদেশ জাতীয় দলের জার্সি গায়ে ওঠেনি ইমরুল কায়েসের। ওই বছর ইডেন গার্ডেন্সে বাংলাদেশের সাদা জার্সি গায়ে জড়িয়েছিলেন এই টপ অর্ডার ব্যাটার। এরপর ফেরার চেষ্টা করলেও আর দলে জায়গা করে নিতে পারেননি। ২০০৮ সালের নভেম্বরে ব্লুমফন্টেইনে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে টেস্ট অভিষেক হয় ইমরুলের। ১১ বছরের টেস্ট ক্যারিয়ারে মোটে ৩৯টি ম্যাচ খেলেছেন ইমরুল। ৭৬ ইনিংস খেলা ইমরুল করেছেন ১ হাজার ৭৯৭ রান। যেখানে ৩টি সেঞ্চুরির পাশাপাশি হাঁকিয়েছেন ৪টি ফিফটি। প্রথম শ্রেণিতে ২০টি সেঞ্চুরিসহ প্রায় ৮ হাজার রান রয়েছে ইমরুলের।  ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট থেকে এখনো অবসর না নিলেও এই দুই সংস্করণে ইমরুলের জাতীয় দলে ফেরা বেশ কঠিন। সবশেষ ২০১৮ সালে ওয়ানডে ক্রিকেট খেলেছেন এই সংস্করণে ২ হাজার ৪৩৪ রানের মালিক ইমরুল। আর টি-টোয়েন্টিতে সবশেষ ২০১৭ সালে খেলেছেন মাগুরার এই ক্রিকেটার। যেখানে ১৪ ম্যাচে করেছেন মোটে ১১৯ রান। 

logo

সম্পাদক ও প্রকাশক : মো. নজরুল ইসলাম