
নিজস্ব প্রতিনিধি
১৭ জুলাই, ২০২২, 10:14 AM

লক্ষ্মীপুরে ভাইবোনের রক্তাক্ত লাশ মিলল ডোবায়
লক্ষ্মীপুরে দশ বছর বয়সী বোন সামিয়া ও সাত বছর বয়সী তার ভাই তাজমুলের রক্তাক্ত লাশ মিলেছে বাড়ির পাশের একটি ডোবায়। বাবার সঙ্গে বের হয়ে নৌকাযোগে বাড়ি ফেরার পথে হঠাৎ জোয়ারের পানি বেড়ে তাদের হারিয়ে যাওয়া এবং কয়েক ঘণ্টা পর রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধারে জনমনে এখন রহস্যঘেরা ঘটনাটি। এমন প্রেক্ষাপটে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগ তুলেছেন পরিবার। শনিবার (১৬ জুলাই) দিবাগত রাতে তাদের (ভাই-বোনের) মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ। সদর উপজেলার চররমনী ইউনিয়নের চর মেঘার নব্যার চরে এ ঘটনা ঘটে। জানা যায়, সদর উপজেলার চররমনিমোহন ইউনিয়নের চর মেঘা এলাকার নব্যার চরে পরিবার নিয়ে বাস করেন কৃষক সুজন ডালি।
তার প্রতিবেশী প্রভাবশালী আক্কাছ ব্যাপারী ও বিলকিছ গংদের সাথে তার জমি সংক্রান্ত বিরোধে মামলা চলমান রয়েছে। তাদের নানা হুমকি-ধামকির মধ্য দিয়েই সুজন ওই চরে দিনাতিপাত করছিলেন। শনিবার বিকেলে ৩ সন্তান নিয়ে নৌকাযোগে বাড়ির পাশের একটি দোকানে সদাই করতে যান তিনি। এরপর বড় সন্তানকে তার সঙ্গে রেখে দিয়ে ছোট দুই সন্তান সামিয়া ও তাজমুলকে নৌকায় উঠিয়ে দিয়ে বাড়ির উদ্দেশে ছেড়ে দেন। এ সময় নদীতে জোয়ারের পানি বৃদ্ধি হতে শুরু করে। ডুবে যায় আশেপাশের বিস্তীর্ণ চর এলাকা। কিছুক্ষণ পর তাদের খোঁজ নিতে গিয়ে খোঁজাখুঁজির এক পর্যায়ে বাড়ির পাশের একটি ডোবায় তাদের লাশ মিলে। এতে স্বজন ও এলাকাবাসীর মধ্যে শোক নেমে আসে। এ সময় নিহতদের শরীরের বিভিন্ন স্থান থেকে রক্তক্ষরণের দৃশ্য চোখে পড়ে সবার। ঘটনা নিয়ে রহস্যের সৃষ্টি হয়। পানিতে ডুবে মৃত্যু নাকি হত্যাকাণ্ড এ নিয়ে সংশয় দেখা দেয় জনমনে। ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। এ সময় নিহত দুই শিশুর বাবা সুজন অভিযোগ করেন, পূর্ব পরিকল্পিতভাবে প্রতিপক্ষ বিলকিছ গংরা তার সন্তানদের হত্যা করেছে। এ ঘটনার বিচার দাবি করেন তিনি। এ ব্যাপারে লক্ষ্মীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পলাশ কান্তি নাথ জানান, ভাই ও বোনের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে পুলিশ। ঘটনার তদন্ত করে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে বলে জানালেন তিনি।