
স্পোর্টস ডেস্ক
০৭ আগস্ট, ২০২২, 9:33 PM

রাজার কাছেই সিরিজ হারলো বাংলাদেশ
ছবি : সংগৃহীত
১৫ ওভারেই নিতে পেরেছিল ৪ উইকেট। তখন জিম্বাবুয়ের দলীয় স্কোর মাত্র ৪৯ রান। শুরুটা আশা জাগানিয়া হওয়ার পরেও কে ভেবেছিল ম্যাচটা বের করে নিতে পারবে স্বাগতিক দল? অসম্ভব সেই কাজটি জিম্বাবুয়ে শেষ পর্যন্ত করেছে যদিও। কিন্তু সেখানে অবদান ছিল বাংলাদেশের বাজে ফিল্ডিংয়েরও। তাতে বাংলাদেশের মুঠো গলে বেরিয়ে গেলো সিরিজ বাঁচানোর সব চেষ্টা। দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ৫ উইকেটের পরাজয়ে ৯ বছর পর জিম্বাবুয়ের কাছে ওয়ানডে সিরিজ হারের লজ্জায় ডুবলো তামিম ইকবালের দল। সর্বশেষ বাংলাদেশ ২০১৩ সালে সিরিজ হেরেছিল। তিন ওভারের মাঝে জোড়া আঘাতে স্বাগতিকদের কাঁপিয়ে দিয়েছিলেন হাসান মাহমুদ। তুলে নেন তাকুদজোয়ানাশে কাইতানো ও ইনোসেন্ট কাইয়ার উইকেট। অষ্টম ওভারে ওয়েসলি মাধেভেরের উইকেট মিরাজ তুলে নিলে বিপদ আরও বাড়ে। ১৫ ওভারে তাইজুল মারুমানিকে ফেরালে হারই উঁকি দিতে থাকে জিম্বাবুয়ের। তার পরেও জিম্বাবুয়েকে ম্যাচ থেকে ছিটকে যেতে দেননি সিকান্দার রাজা ও অধিনায়ক রেজিস চাকাভা।ঠিক এই সময়ে জিম্বাবুয়ের ত্রাতা হয়ে দাঁড়ান দুজন।
এই জুটি এত দ্রুত রান তুলতে থাকে যে রান রেটের শুরুর ঘাটতিও পূরণ হয়ে যায় তাতে। প্রথম পঞ্চাশে লাগে ৯৬ বল, দ্বিতীয় পঞ্চাশে ৫৬। তার পর ধীরে ধীরে রানের গতিও বাড়তে থাকে। তৃতীয় পঞ্চাশে পৌঁছাতে লেগেছে মাত্র ৩১ বল! পরের দুই পঞ্চাশ পূরণেও বলা লেগেছে ৪৬ ও ৩৬। যার পুরো কৃতিত্ব চাকাভা ও রাজার। অথচ এই জুটিকে ২৫.২ ওভারে ভেঙে দেওয়ার সুযোগ হাতছাড়া করে হারের গতিপথ নির্ধারণের দায়টা বাংলাদেশরই। ২৫.২ ওভারে বল করছিলেন মিরাজ। অযথা রান নিতে গেলে রানআউটের দ্বারপ্রান্তেই ছিলেন রাজা। কিন্তু ননস্ট্রাইকে মিরাজ এমন বোকামি করলেন। যাতে জীবন পেয়ে যান জিম্বাবুয়ের এই ম্যাচ জেতানো তারকা। রিপ্লেতে দেখা গেলো মিরাজ যে হাতটিতে বল নিলেন, সেই হাতে স্টাম্প ভাঙলেন না। ভাঙলেন অন্য হাতে! তাতে এক রান পূরণও হয়ে যায় স্বাগতিকদের। রাজা তখন ৪২ রানে ব্যাট করছিলেন। গত ম্যাচে ঠিক এমন স্কোরেই তাকে আউটের সুযোগ মিস করেছিল বাংলাদেশ। বাকিটা সবারই জানা। জীবন পেয়ে তার পর ছক্কা মেরে পূরণ করেন ক্যারিয়ারের ২১তম ফিফটি। পরে তো সেঞ্চুরি পেয়েছেন দুজনেই। রাজা পেয়েছেন ব্যাক-টু ব্যাক। আর ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি পেয়েছেন চাকাভা। জয়ের মঞ্চ গড়তে এই দুজনের ২০১ রানের জুটি ছাপিয়ে গেলো গত ম্যাচের রেকর্ডকেও। দলীয় ২৫০ রানে এই জুটি ভাঙেন মিরাজ। ততক্ষণে জয়ের কাছে পৌঁছে গেছে স্বাগতিক দল। মিরাজের ঘূর্ণিতে ১০২ রানে তালুবন্দি হন রেজিস চাকাভা। যা তার ক্যারিয়ার সেরাও। ৭৫ বলের অসাধারণ ইনিংসটিতে ছিল ১০টি চার ও ২টি ছয়। রাজা একপ্রান্ত আগলে পথটা ঠিক রাখলেও সেটা ছিল মন্থর গতির। কিন্তু ৪৭তম ওভারে ম্যাচটা প্রায় শেষ করে ছাড়েন অভিষেক ম্যাচ খেলতে নামা টনি মুনিয়োঙ্গা। শরিফুলের এই ওভারে দুটি ছয় ও এক চারে ম্যাচটা নিয়ে আসেন হাতের মুঠোয়। অবশ্য এমন সময়ে ক্যাচ ছাড়ার নজিরও রাখে বাংলাদেশ।
৫ উইকেট হারানো জিম্বাবুয়ে ম্যাচটা জেতে ৪৭.৩ ওভারে।