
নিজস্ব প্রতিনিধি
১৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২২, 4:15 PM

রাজাপুরে স্কুল ছাত্রের রহস্যজনক মৃত্যু
ঝালকাঠির রাজাপুরে বরিউল হাওলাদার (১১) নামে এক স্কুল ছাত্রের মরদেহ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে উদ্ধার করেছে থানা পুলিশ। ১৩ ই ফেব্রুয়ারি রবিবার বিকাল আনুমানিক ৪টার দিকে উপজেলার শুক্তাগড় ইউনিয়নের কেওতা এলাকায় নিহতের নানা’র বাড়ীর পিছনে খালের পাড়ে একটি চাড়া আম গাছে কোমড়ের বেল্ট গলায় লাগানো এবং হাটু মাটিতে থাকা অবস্থায় শিশুটিকে দেখতে পায় স্থানীয়ররা। রবিউল কেওতা এলাকার মো. রুবেল হাওলাদারের ছেলে ও ১৯ নং কেওতা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৫ম শ্রেনীর ছাত্র। স্থানীয়রা জানান,
লোকজনের চিৎকার শুনে আমরা ছুটে এসে শিশু রবিউল হাওলাদারকে একটি চাড়া আম গাছের সাথে গলায় বেল্ট লাগানো এবং হাটু মাটিতে থাকা অবস্থায় দেখতে পেয়ে পরিবারকে খবর দিলে তারা এসে রবিউলকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায় এবং উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে’র কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করে। নিহত রবিউলের নানা মো.হানিফ জানান, অতটুকু একটা চাড়া গাছের সাথে কখনো গলায় দিয়ে ঝুলে থাকা সম্ভব না,আমার নাতি রবিউলের শরিরের ওজন অতটুকু চাড়া আম গাছে কখনো বহন করতে পারবে না।আমার ভাই কুদ্দুসের সাথে আমাদের জমিজমা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিলো। কিছুদিন আগে আমার ভাই কুদ্দুস রবিউলের মা (আমার মেয়েকে) মারদর করে। সে সময় আমার নাতি নিহত রবিউল আমার ভাইকে লাঠি দিয়ে আঘাত করে। হিহতের বাবা মো.রুবেল জানান, জমিজমা নিয়ে আমার চাচা শশুর কুদ্দুসের সাথে দির্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে। কুদ্দুসের পুত্রবধু নাসরিন কিছুদিন আগে আমায় হুমকি দিয়েছে যে আমাদের সারাজীবন কান্না করতে হবে এবং এটাই মনেহয় সেই কান্না। আমার ছেলে অতটুকু আম গাছের সাথে কখনো গলায় ফাঁস দিতে পারে না এবং ওই চারা আমগাছে কখনো আমার ছেলের শরিরের ওজন নিতে পাারবেনা। আমার ছেলেক হত্য করা হয়েছে। রাজাপুর থানা পুলিশ নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য ঝালকাঠি মর্গে পাঠায় এবং থানায় অপমৃত্যুর মামলা রেকর্ড করা হয়।এ বিষয়ে রাজাপুর থানার ওসি তদন্ত মোঃ মোস্তফা ক্যামেরার সামনে কথা বলতে রাজি হননি।