
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
০৪ জুন, ২০২২, 10:28 AM

ভোজ্যতেলসহ খাদ্যের দাম কমেছে: এফএও
সদ্য বিদায়ী মে মাসে বিশ্বজুড়ে খাদ্যের দাম কমেছে। এ নিয়ে টানা দুই মাস এর মূল্য কমল। এর আগে গত মার্চে রেকর্ড সর্বোচ্চে ওঠে খাদ্যের দাম। তবে আলোচিত সময়ে খাদ্যশস্য ও মাংসের দর বেড়েছে। গতকাল শুক্রবার (৩ জুন) জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এফএও) প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে। এফএও’র খাদ্যমূল্যের সূচকে সদ্য সমাপ্ত মাসে গড় পয়েন্ট দাঁড়িয়েছে ১৫৭ দশমিক ৪। এপ্রিলে যা ছিল ১৫৮ দশমিক ৩। মাসিক ভিত্তিতে কমলেও গত বছরের একই সময়ের তুলনায় মে মাসে সূচক এখনও ২২ দশমিক ৮ শতাংশ বেশি। ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনের পর থেকেই বিশ্বব্যাপী খাদ্যের দাম বাড়ন্ত ছিল। বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডের প্রতিবেদনে বলা হয়-খাদ্যপণ্য সরবরাহ ও চাহিদা নিয়ে পৃথক অনুমানে এফএও জানায়, ২০২২-২৩ অর্থবছরে গোটা বিশ্বে খাদ্যশস্যের উৎপাদন কমবে। চার বছরের মধ্যে যা প্রথম।
২০২১ সালে রেকর্ড পরিমাণ উৎপাদন হয়। সেই তুলনায় ১ কোটি ৬০ লাখ টন কমে ২ হাজার ৭৮৪ কোটি টনে দাঁড়াবে। গত মাসে দুগ্ধপণ্য, চিনি ও ভোজ্যতেলের মূল্য সূচক কমেছে। তবে মাংসের সূচক বেড়ে সর্বকালের সর্বোচ্চে পৌঁছেছে। খাদ্যপণ্যের সূচক বেড়েছে ২ দশমিক ২ শতাংশ। আগের মাসের চেয়ে এ মাসে গমের মূল্য সূচক ৫ দশমিক ৬ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। গত বছরের ওই সময়ের তুলনায় যা ৫৬ দশমিক ২ শতাংশ বেশি। এফএও জানায়, রাশিয়ায় আগ্রাসনের কারণে ইউক্রেনে গমের উৎপাদন কমেছে। এছাড়া খাদ্যশস্যটি রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা দেয় ভারত। ফলে গমের দাম ঊর্ধ্বমুখী রয়েছে। এপ্রিলের চেয়ে মে মাসে ভোজ্যতেলের মূল্য সূচক ৩ দশমিক ৫ শতাংশ কমেছে। পাম অয়েল রপ্তানিতে ইন্দোনেশিয়ার নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়ায় হচ্ছে এর নেপথ্য কারণ। এফএও-র প্রধান অর্থনীতিবিদ ম্যাক্সিমো টোরেরো কুলেন বলেন, পণ্য রপ্তানিতে বিধিনিষেধ আরোপ বাজারে অনিশ্চয়তা সৃষ্টি করে। ফলে দাম বেড়ে যায়। পাশাপাশি এ নিয়ে অস্থিরতা সৃষ্টি হয়। নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার এবং রপ্তানি মসৃনভাবে হতে দেয়া কতটা গুরুত্বপূর্ণ তেলবীজের মূল্য হ্রাস তা প্রমাণ করে। এসময়ে দুগ্ধপণ্যের সূচক পড়েছে ৩ দশমিক ৫ শতাংশ। চীনে দীর্ঘমেয়াদি লকডাউন থাকায় বাজারে গুঁড়ো দুধের সরবরাহ ব্যাপকভাবে হ্রাস পায়। সদ্য সমাপ্ত মাসে মাংসের সূচক শূন্য দশমিক ৬ শতাংশ বেড়েছে। হাঁস-মুরগির দাম বাড়ায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। বৈশ্বিক খাদ্যশস্য উৎপাদন নিয়ে এবারই প্রথমবারের মতো পূর্বাভাস দিয়েছে এফএও। সংস্থাটি জানায়, চলতি বছর ভুট্টা, গম ও চালের উৎপাদন কমবে।শস্যের অবস্থা ও রোপণের ওপর ভিত্তি করে এ পূর্বাভাস দেয়া হয়েছে।