
ক্রীড়া প্রতিবেদক
০৫ নভেম্বর, ২০২৩, 3:37 PM

বিসিবি সিদ্ধান্ত নেবে চাকরি থাকবে কি না: হাথুরু
সাত মাস আগে চন্ডিকা হাথুরুসিংহে যখন বাংলাদেশের কোচ হয়ে এলেন দ্বিতীয়বারের মতো, তখন বেশ বড় প্রত্যাশার কথাই শোনা যাচ্ছিল। তার হাত ধরে ওয়ানডে বিশ্বকাপে দারুণ কিছু করার প্রত্যয়ও ছিল। কিন্তু ওই আশা এখন দুঃস্বপ্নের মতো। বিশ্বকাপের সাত ম্যাচের স্রেফ একটিতে জিতে বাংলাদেশ পয়েন্ট টেবিলের ৯ নম্বর দল। মাঠের ক্রিকেটে লড়াইয়ের নমুনাও খুব একটা দেখাতে পারেননি ক্রিকেটাররা। এর পেছনে কোচেরও দায় দেখছেন অনেকে। ব্যাটিং অর্ডারে রদবদল, একাদশ বা স্কোয়াড নির্বাচনে ভুল; এমন নানা কিছু আসছে সামনে। দিল্লিতে শ্রীলঙ্কা ম্যাচের আগে হাথুরুসিংহের চলেই এলো প্রশ্নটা, বিশ্বকাপের পর আপনি কোচ থাকছেন তো? উত্তরে হাথুরুসিংহে বলেছেন, ‘আমি কোচ থাকবো কি না এটা আমার ওপর নির্ভর করে না। এটা আসলে বোর্ডের কাছ থেকে সিদ্ধান্ত আসতে হবে।বিশ্বকাপে শুরুটা ভালোই করেছিল বাংলাদেশ। আফগানিস্তানকে হারিয়েছিল তারা। কিন্তু পরের ম্যাচগুলোতে একদমই লড়াই করতে পারেনি বাংলাদেশ। প্রশ্নবিদ্ধ ছিল ক্রিকেটারদের শরীরী ভাষা। এর দায় কতটুকু নেবেন কোচ? হাথুরু বলেন, ‘আমি এই দলের বাকিদের মতোই দায় নিচ্ছি। আমরা সমর্থক ও নিজেদেরকে হতাশ করেছি। সেরা ক্রিকেটটা খেলতে পারিনি কিন্তু প্রথম ম্যাচ থেকে এখন এসে কিছুই বদলে যায়নি। কেবল আমরা যা শুনছি, সেটা বদলেছে। স্কিল কোথাও চলে যায়নি। ’‘আমার মনে হয় আমরা নিজেদেরকে বাড়তি প্রত্যাশা দিয়ে দমিয়ে রেখেছি। এই একটা ব্যাপার নিয়েই আমরা ভাবতে পারি, কারণ আপনি ঠিকই বলেছেন, সামর্থ্য অনুযায়ী অথবা বিশ্বকাপে আসার আগে খেলা সেরা ক্রিকেটটা খেলতে পারিনি। সেদিক থেকে আমাদের আয়নায় তাকাতে হবে আর দেখতে হবে কী ভুল হলো।বড় কিছু এনে দেওয়ার আশায় দ্বিতীয়বারের মতো কোচ করে আনা হয়েছিল হাথুরুসিংহে। নিজের প্রথম মিশনে ব্যর্থই হয়েছেন লঙ্কান কোচ। এখন আর দলকে তার কি দেওয়ার আছে? উত্তরে তিনি বলছেন, ভাবার সঠিক সময় নয় এটি। হাথুরু বলেন, ‘দেখুন আমি সাত মাস আগে কাজ শুরু করেছি। আমার হাতে কেবল সাত মাস সময় ছিল। এর মাঝে বেশ কিছু জিনিস ঘটেছে যা আমার নিয়ন্ত্রণে ছিল না। আমার মনে হয় এটা নিয়ে আলোচনা করা কিংবা ভাবার সঠিক সময় নয়। ’‘এই মুহূর্তে আমার ভাবনায় শুধু সামনের ম্যাচ। পরের ম্যাচটা আমরা কিভাবে জিততে পারি সেটাই ভাবছি। আমরা সবকিছুই ঠিকঠাক করছি। ট্রেনিং করছি, খেলোয়াড়দের মুড ভালো, তারা সবাই কঠোরভাবে চেষ্টা করছে। তারা সবাই ভালো করতে চায়। এই মুহূর্তে আমার সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ যতটা সম্ভব সবাইকে সবদিক থেকে চাপমুক্ত রাখা। ’