
নিজস্ব প্রতিনিধি
১০ ফেব্রুয়ারি, ২০২২, 3:40 PM

দুমকিতে বিলুপ্তির পথে পুরনো কুটির শিল্প
পটুয়াখালীর দুমকি উপজেলার আংগারিয়া ও লেবুখালী ইউনিয়নের কিছু অংশে ৫০টি পরিবার প্রায় ৫০ বছর ধরে রশি শিল্পের কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করত। পায়রা নদীর ভাঙ্গনের কারণে এখন তা বিলুপ্তির পথে। বেশিরভাগ রশি শিল্পের কাজের সাথে হিন্দু পরিবার জড়িত ছিল বলে স্থানীয় লোকজনের কাছ থেকে জানা যায়।হিন্দু পরিবারের লোকজন কিছু তাদের আত্মীয় স্বজনদের মাধ্যমে ভারতে পাড়ি জমিয়েছে।বাকীরা রাস্তার পাশে ও অন্যের বাড়ীতে গিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছে।করোনা কালীন সময়ে তাদের ব্যবসায় ধ্বস নামার কারণে অনেকেই রশি শিল্পের কাজ ছেড়ে দিয়ে দিন মজুরের কাজে চলে গেছেন বলে জানান রাম ও সুধীর চন্দ্র। রশি শিল্পের কাজে নিয়োজিত বজলু,হাকিম ও রাসেল বলেন,
৫০ বছর ধরে আমাদের পরিবারসহ কিছু হিন্দু পরিবারের লোকজন একত্রিত হয়ে লেবুখালীর পশ্চিম আংগারিয়ায় এ ব্যবসা করে আসছিলাম।কিন্তু পায়রা নদীর করাল গ্রাসের ভাঙ্গনের ফলে সম্পূর্ণ জায়গা-জমি বিলিন হওয়ার কারণে রশি শিল্প বিলুপ্তির পথে।দক্ষিনাঞ্চলের বরগুণা,পটুয়াখালী, আমতলী,পাথরঘাটা ও ভোলাসহ বিভিন্ন এলাকায় প্লাস্টিক জাতীয় রশি তৈরি করে বিক্রি করত।বর্তমানে বিভিন্ন প্রকার চট ও পুরাতন জালের দাম বেশী হওয়ায় রশি শিল্পের কাজ থেকে অন্য কাজে যাওয়ার জন্য চেষ্টা করছে বলে জানান সেলিম মোল্লা।অন্যদিকে রশি শিল্পে কর্মরত ১০টি পরিবার বিভিন্ন এনজিও থেকে ঋন নিয়ে কাচামাল ক্রয় করে বিভিন্ন বাজারে পাইকারি ও খুচরা মূল্যে বিক্রি করছে।সরকারি সাহায্য সহযোগীতা পেলে পূর্বের ন্যায় রশি শিল্পের ব্যবসা তরান্বিত হবে বলেন জানান শাহ-আলম মোল্লা।রশি শিল্পের ১০টি পরিবার সনাতন পদ্ধতিতে তারা রশি তৈরি করে আসছে। লেবুখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শাহ আলম আকনের সাথে আলাপকালে বলেন, তাদেরকে পুর্নবাসনের চেষ্টা চলছে এবং সরকারি সাহায্য সহযোগীতা ইতিমধ্যে দেয়া হইছে।এবিষয়ে দুমকি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহাদাৎ হোসেন মাসুদ বলেন,বিষয়টি চেয়ারম্যানের সাথে আলোচনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।