
লাইফস্টাইল ডেস্ক
১৯ জানুয়ারি, ২০২২, 2:20 PM

ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য রাজমা যে কারণে উপকারী
রাজমা, ইংরেজিতে যাকে বলে কিডনি বিনস। সাদা, ক্রিম, কালো, লাল, বেগুনি, স্পটেড, স্ট্রাইপড এবং মোটলড নানা রকম কিডনি বিনস পাওয়া যায়। পার্শবর্তী দেশ ভারতে এটি বেশ জনপ্রিয় একটি খাবার। রাজমা উদ্ভিজ্জ প্রোটিনের একটি প্রধান উৎস এবং এর উপকারিতা অনেক। ডায়াবেটিস রোগীদের জন্যেও সুগার লেভেল নিয়ন্ত্রণে রাখতে দারুন ভুমিকা রাখে এই রাজমা। ডায়াবেটিস আক্রান্ত হলেই খাবার খাওয়ার আগে ভাবতে হয় কোনটি কোনটি খাওয়া যাবে আর কোনটি যাবে না। কী খেলে নিয়ন্ত্রণে থাকবে রক্তের শর্করার মাত্রা, আর কী খেলে তড়াক করে লাফিয়ে বাড়বে ডায়াবেটিস, তা নিয়ে সর্বক্ষণ চিন্তিত থাকেন রোগীরা। যারা স্বাস্থ্যকে অবহেলা না করেই কিঞ্চিত রসনাতৃপ্তির খোঁজ করে থাকেন, তাদের কাছে বড় সমাধান হতে পারে রাজমা।
১। ক্যালশিয়াম, ম্যাগনেশিয়ামের মতো খনিজে সমৃদ্ধ রাজমায় থাকে প্রচুর পরিমাণ প্রোটিন। যা ওজন কমাতে ও হার মজবুত করতে সাহায্য করে।
২। যেহেতু স্বাদের দিক থেকেও রাজমা অতি উপাদেয় তাই, ওজন নিয়ন্ত্রণে এটি খুব কার্যকর। পাশাপাশি, হৃদ্যন্ত্র ভাল রাখতেও সাহায্য করে এটি। ডায়াবেটিস রোগীদের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত ওজন ও হৃদ্যন্ত্রের সমস্যা বড় বিপদ ডেকে আনতে পারে। ফলে রাজমায় কমে এই ঝুঁকি।
৩। প্রোটিনের পাশাপাশি রাজমায় থাকে প্রচুর ফাইবার। তা ছাড়া, রাজমায় যে ধরনের শর্করা থাকে, তার প্রায় শতকরা ৪০ ভাগেরই বিপাক হয় ধীর গতিতে। ফলে এর গ্লাইসেমিক সূচক অত্যন্ত কম, যা ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য অত্যন্ত উপযোগী।
৪। রাজমা খেলে পেটের উপকারী ব্যাক্টিরিয়ার সংখ্যা বৃদ্ধি পায়। উপকারী জীবাণু ও ফাইবারের যৌথ ক্রিয়ায় মল সুগঠিত হয়।
৫। রাজমায় থাকে প্রচুর পরিমাণ অ্যামাইলোজ, যার বিপাক হয় ধীর গতিতে।
কাজেই ডায়াবেটিস রোগীরা চাইলে জিভের তৃপ্তির জন্য সেই সাথে সুগার লেভেল নিয়ন্ত্রণের জন্যে কিছুটা রাজমা পাতে নিতেই পারেন।