ঢাকা ২১ জুন, ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম
এ পর্যন্ত দেশে ফিরেছেন ৩৬ হাজার ৬০১ হাজি জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের ১৮ সুপারিশ দ্রুত বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত এশিয়া কাপ আর্চারিতে সোনা জিতলেন বাংলাদেশের আলিফ পরমাণু ইস্যুতে ‘রেড লাইন’ স্পষ্ট করল ইরান সাতক্ষীরা সীমান্ত দিয়ে ৬ জনকে পুশইন করেছে বিএসএফ ৫ আগস্ট সরকারি ছুটির ঘোষণা আসছে ২৫৩ জনের গুমের অভিযোগের প্রমাণ পেয়েছে কমিশন প্রবাসীরা ফেরার সময় শুল্ক ছাড়াই আনতে পারবেন যে ১৯ পণ্য বাংলাদেশকে দুই প্রকল্পে ৬৪০ মিলিয়ন ডলার দিচ্ছে বিশ্বব্যাংক আসছে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় ‘এরিক’

চৌহালীর কাঁদা মাটিতে বুনছে কৃষকের স্বপ্ন

#

নিজস্ব প্রতিনিধি

১৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২২,  1:56 PM

news image

ইরি-বোরো ধান লাগানোর মৌসুম চলছে। আর তাই শীতের তীব্রতা ও বৃষ্টি উপেক্ষা করেই ইরি-বোরো লাগাতে ব্যস্ত সময় পার করছেন সিরাজগঞ্জের চৌহালী উপজেলার কৃষাণ-কৃষাণীরা। আবহাওয়া অনুকূলে থাকা ও  বাজারে কৃষি উপকরণ ( চারা, সার, তেল) পর্যাপ্ত থাকায় ইরি-বোরো আবাদে তেমন সমস্যা হচ্ছে না। তবে ধানের দাম বাড়ানোর দিকে সরকারের সুদৃষ্টি দেয়ার দাবি জানিয়েছেন কৃষকরা। উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, উপজেলায় চলতি মৌসুমে ৩ হাজার ২৬৫ হেক্টর জমিতে ইরি-বোরো ধান লাগানোর লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এ পর্যন্ত ৬৫% জমিতে ইরি-বোরো লাগানো হয়েছে। গত বছর অর্জিত লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৩ হাজার ২৩০ হেক্টর।  অর্জন ৩ হাজার ২৬৫ হেক্টর যার গড় ফলন  ৩.৩৩ মে.টন (চাউলে) ৷ উপজেলার ৭টি ইউনিয়নের মধ্যে খাষকাউলিয়া,  সদিয়াচাঁদপুর, খাষপুখুরিয়া, বাঘুটিয়া ইউনিয়নে ইরি-বোরোর আবাদের পরিমাণ বেশি। এবার উন্নত জাতের জিরাশাইল, ব্রি-২৮, ২৯, ৩৬ , ৫০ ও  ৮৯   ধানের আবাদ করা হচ্ছে ৷

সবচেয়ে বেশি আবাদ হয়েছে ব্রি-২৯ । রাতে ও সকালে শীত থাকলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সূর্যের তীব্রতা বাড়তে  থাকে ৷ বর্তমানে উপজেলায় শুষ্ক আবহাওয়া বিরাজ  করছে । উজ্জল রোদ  ধানের চারা জমিতে লাগানোর পর শিকড় দ্রুত বৃদ্ধি হওয়ায় চারা মরে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে না ৷ উপজেলার খাষকাউলিয়া গ্রামের আব্দুল মান্নান জানান, শীতের কুঁয়াশা আর গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি থাকলেও বীজতলায় কোনো প্রকার ক্ষতি হয়নি। এছাড়া বাজারে সার, তেল ও কীটনাশক পর্যাপ্ত থাকায় ইরি-বোরো আবাদে কোন সমস্যা হচ্ছে না। এবার চার বিঘা জমিতে ব্রি-২৮ ও ২৯ ধানের আবাদ করেছেন। ধান আবাদে যে পরিমাণ খরচ হয়, বাজারে ধানের দাম কম থাকায় কৃষকদের ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয়। কোদালিয়া গ্রামের কৃষক ইউনুছ সিকদার জানান, এবার প্রায় ১০ বিঘা জমিতে ব্রি-২৯ আবাদ করেছেন। শ্রমিক সঙ্কট থাকায় চুক্তি দিতে হয়েছে। বিঘা প্রতি সাড়ে আট’শ থেকে হাজার টাকার মতো দিতে হচ্ছে। বীজতলা থেকে শুরু করে সার, কীটনাশকসহ জমি লাগানো পর্যন্ত বিঘা প্রতি প্রায় সাড়ে তিন থেকে চার হাজার টাকার মতো খরচ হয়েছে। এছাড়া অনেকে ৩০০ টাকা করে শ্রমিক দিয়ে সকাল থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত কাজ করে নিচ্ছেন। এছাড়া  উপজেলার উত্তর খাষকাউলিয়া গ্রামের কৃষক সাইফুল ইসলাম জানান, ৫বিঘা জমিতে ধানের চারা রপন করেছি৷ তারমধ্যে দেড় বিঘা    ব্রি-২৮, সাড়ে ৩ বিঘা ব্রি-২৯ ধান রপন করেছি ৷ কৃষিতে উৎপাদন খরচ দিন দিন যেভাবে বাড়ছে সে তুলনায় ধানের দাম বাড়ছে না। সার বস্তা প্রতি ১০০ টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে ৷ কীটনাশকের দামও বৃদ্ধি পেয়েছে ৷ ধানের চারার দাম বৃদ্ধি পেয়ে সাড়ে ৪ শ' থেকে ৫০০টাকা হয়েছে ৷ এর আগে ২০০- ২৫০ টাকা ছিলো ৷ নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম বাড়লেও ধানের দাম বাড়েনি ৷ বর্তমানে ধানের দাম ১১০০ থেকে ১২০০ টাকা মন। বেশি ক্ষতির সম্মুখীন হয় জমি বর্গা নিয়ে আবাদ করেন যেসব কৃষক। সরকারকে সরাসরি কৃষকদের কাছ থেকে ধান ক্রয় এবং দাম বাড়ানোর জন্য দাবি জানিয়েছেন তিনি ৷ উপজেলা কৃষি অফিসার মোঃ জেরিন আহমেদ জানান, উপজেলায় চলতি মৌসুমে ৩ হাজার ২৬৫ হেক্টর জমিতে ইরি-বোরো ধান লাগানোর লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। বাজারে ইউরিয়া, ফসফেট, টিএসপি, পটাশসহ সকল প্রকার সার, তেলের পর্যাপ্ত সরবরাহ থাকায় ইরি-বোরো ধানের ভরা মৌসুমেও সঙ্কট থাকবে না। এছাড়া কৃষকদের সাবির্ক পরামর্শ দেয়া হচ্ছে বলে তিনি জানান।


logo

সম্পাদক ও প্রকাশক : মো. নজরুল ইসলাম