
নিজস্ব প্রতিবেদক
১৮ জুলাই, ২০২২, 12:28 PM

খোলাবাজারে ডলারের ফের সেঞ্চুরি
কোনোভাবেই যেন ডলারের দামে লাগাম টেনে ধরা যাচ্ছে না। খোলাবাজারে টাকার বিপরীতে আবারও ডলারের দাম একশ ছাড়াল।খোলাবাজারে ফের সেঞ্চুরি ডলারের! রোববার (১৭ জুলাই) প্রতি ডলারের বিপরীতে টাকার মান ছিল ১০০ টাকা ২০ পয়সা থেকে ১০০ টাকা ৪০ পয়সা। ব্যাংকগুলোতে ডলার বিক্রি হয়েছে ৯৭ টাকা থেকে ৯৮ টাকা ৯০ পয়সায়। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য মতে, এক মাসের ব্যবধানে ডলারের বিপরীতে টাকার মান কমেছে ১ দশমিক ২৩ শতাংশ। আর এক বছরের ব্যবধানে কমেছে ১০ দশমিক ৮০ শতাংশ। গত বছরের ১৩ জুলাই প্রতি ডলারের জন্য ৮৪ টাকা ৮০ পয়সা খরচ করতে হয়েছিল। এক মাস আগে ১৬ জুন লেগেছিল ৯২ টাকা ৮০ পয়সা। মূলত বড় রকমের আমদানি ব্যয় মেটাতে গিয়ে দেখা দিচ্ছে ডলার সংকট। এতে ডলারের বাজার অস্থিতিশীল হয়ে উঠেছে।
২০২০ সালের জুলাই থেকে গত বছরের আগস্ট পর্যন্ত আন্তঃব্যাংক মুদ্রাবাজারে ডলারের দাম ৮৪ টাকা ৮০ পয়সায় স্থিতিশীল ছিল। পরবর্তীতে ২০২১ সালের ২২ আগস্ট ডলারের দাম ৮৫ টাকা ছাড়িয়ে যায়। চলতি বছরের জানুয়ারির ৯ তারিখে ডলারের দাম হয় ৮৬ টাকা। ২২ মার্চ পর্যন্ত দর স্থির থেকে ২৩ মার্চ ডলারের দাম হয় ৮৬ টাকা ২০ পয়সা। ২৭ এপ্রিল আরও ২৫ পয়সা বেড়ে দাঁড়ায় ৮৬ টাকা ৪৫ পয়সা। ১০ মে বাড়ে আরও ২৫ পয়সা। ১৬ মে বাড়ে ৮০ পয়সা। ২৩ মে বাড়ে ৪০ পয়সা। এতে আন্তঃব্যাংক মুদ্রাবাজারে ডলারের দাম গিয়ে ঠেকে ৮৭ টাকা ৯০ পয়সায়। এরপর গত ৩১ মে আন্তঃব্যাংক মুদ্রাবাজারে প্রতি ডলারে ৮৯ টাকা নির্ধারণ করা হয়। ৪ জুন হয় ৮৯ টাকা ৯০ পয়সা। ৫ জুন হয় ৯১ টাকা ৫০ পয়সা। ৬ জুন দাঁড়ায় ৯১ টাকা ৯৫ পয়সা। ৭ জুন ডলারের দাম গিয়ে ঠেকে ৯২ টাকায়। এরপর ৮ জুন কমে ৯১ টাকা ৫০ পয়সা হয়। পরদিন ৯ জুন আবার ৯২ টাকা হয়। ১৩ জুন ৯২ টাকা ৫০ পয়সায় এবং ২৩ জুন হয় ৯২ টাকা ৯৫ পয়সা, ২৮ জুন হয় ৯৩ টাকা ৪৫ পয়সা। একদিকে বেড়েছে আমদানি ব্যয়, অন্যদিকে কমছে রেমিট্যান্স। এতে করে কমে গেছে টাকার মান। কেন্দ্রীয় ব্যাংক দেদারসে ডলার বিক্রি করেও দাম নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না। গত ১৭ মে খোলা বাজারে ডলারের দাম ১০২ টাকায় উঠেছিল। এখন পর্যন্ত বাজারে ডলারের ঊর্ধ্বগতি অব্যাহত রয়েছে।