পটুয়াখালীর কলাপাড়া পৌরসভার সরবরাহকৃত পানিতে ব্যাকটেরিয়া, রাসায়নিক পদার্থ থাকায় হুমকীর মুখে পড়েছে নাগরিকদের নিরাপদ পানি সেবা। এছাড়া পৌরসভার শতকরা ৮৭ ভাগ নাগরিক স্বাস্থ্য সম্মত টয়লেট ব্যবহার না করায় পৌরশহরে দূষন বাড়ছে প্রতিনিয়ত। নাগরিক অসচেতনায় সঠিক ময়লা ব্যবস্থাপনা না থাকার পরও পৌর প্রশাসন কোন অ্যাকশন না নেয়ায় প্রতিনিয়ত দূষনের চিত্র ভয়াবহ আকার ধারন করছে। মঙ্গলবার বিকেলে কলাপাড়া প্রেসক্লাব হলরুমে বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থা উত্তরন এর সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য উঠে আসে।

এনজিও উত্তরন’র কলাপাড়া পৌরসভা এলাকার ওয়াশ প্রকল্প কর্মকর্তা মো: হাসিবুজ্জামান হাসিব সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, ’কলাপাড়া পৌরসভার সরবরাহকৃত পানিতে ব্যাকটেরিয়া, রাসায়নিক পদার্থ’র অস্বিত্ব রয়েছে। এর সঠিক নাম তিনি বলতে না পারলেও যা ব্যবহারে নাগরিকদের চুল আঠালো হয়ে একসময় পড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে দাবী তার। এতে পৌরসভার শতকরা ৮৫ ভাগ মানুষ অনিরাপদ পানি পান করছে। এছাড়া ভুল ব্যবহার বিধি অনুসরন করায় তারা নিরাপদ পানি পান থেকে বঞ্চিত থাকছে।’

্উত্তরন’র ওয়াশ প্রকল্পের টেকনিক্যাল অ্যান্ড অ্যাডভোকেসি কর্মকর্তা এসকে রুশায়েদুল্লাহ বলেন, ’আমরা পৌরসভায় জরিপ করে দেখেছি অসচেতনতার কারনে নাগরিকরা প্রতিনিয়ত দূষনের কবলে পড়ছেন। পৌরসভার শতকরা ৮৭ ভাগ নাগরিক স্বাস্থ্য সম্মত টয়লেট ব্যবহার না করায় পৌরশহরে দূষন বাড়ছে। এছাড়া অধিকাংশ নাগরিকের ময়লা ট্যাঙ্কির আউটলেট লাইন সরাসরি ড্রেনের সাথে যুক্ত থাকার পরও পৌর প্রশাসনের পক্ষ থেকে অদ্যবধি এ বিষয়ে কোন পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে না।’ প্রেসক্লাব সভাপতি মো: হুমায়ুন কবির’র সভাপতিত্বে সংবাদ সম্মেলনে প্রশ্নোত্তর পর্বে অংশ নেন সাংবাদিক মেজবাহ উদ্দীন মান্নু, গোফরান পলাশ, শরিফুল হক শাহিন, অশোক মুখার্জী, মিলন কর্মকার রাজু। এসময় এনজিও উত্তরন’র ওয়াশ প্রকল্পের মাঠ কর্মকর্তা মো: শাহিন ইকবাল সহ কলাপাড়ায় কর্মরত প্রিন্ট, ইলেকট্রনিক ও অনলাইন নিউজ পোর্টাল’র গনমাধ্যম কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।তবে উত্তরন’র সংবাদ সম্মেলনে উপস্থাপিত তথ্যের সাথে একমত নন কলাপাড়া পৌরসভার মেয়র বিপুল চন্দ্র হাওলাদার। তিঁনি বলেন, ’পৌরসভার পানির ওভার হেড ট্যাঙ্ক প্রতিমাসে পরিস্কার করা হয়। তাই সাপ্লাই পানিতে ব্যাকটেরিয়া ও রাসায়নিক পদার্থের কোন অস্তিত্ব নেই বলে দাবী তার। এছাড়া ময়লা ট্যাঙ্কির আউটলেট লাইন যাদের সরাসরি ড্রেনের সাথে যুক্ত আছে সেগুলো চিহ্নিত করে অপসারন করা হচ্ছে।’