
নিজস্ব প্রতিনিধি
২২ মে, ২০২২, 4:21 PM

কমলগঞ্জে নিত্য পণ্যের মূল্য বৃদ্ধিতে অসহায় ক্রেতারা
মৌলভীবাজার কমলগঞ্জে নিত্যপ্রয়োজনীয় সকল পণ্যের মূল্য অস্বাভাবিক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে, হাট-বাজারগুলোতে । ক্রেতারা পণ্য কিনতে গিয়ে দীর্ঘশ্বাস নিচ্চ্ছেন গতকাল শনিবার বিকালে উপজেলার ভানুগাছ বাজার, মুন্সিবাজার আদমপুর , রানীরবাজর, মাধবপুর, শমসেরনগর, ও পতনউষারের কাঁচাবাজার গিয়ে ও খুচরা বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, প্রতি বস্তা চাল পূর্বে ছিল ২৪০০ টাকা বর্তমানে ২৫০০ টাকা, গুড়া মরিছ প্রতি কেজি পূর্বে ছিল ২৫০ টাকা, বর্তমানে ২৮০ টাকা, হলুদ প্রতি কেজি পূর্বে ছিল ১২৫ টাকা বর্তমানে ২শ টাকা, আলু প্রতি কেজি পূর্বে ছিল ১২ টাকা বর্তমানে ১৫টাকা, পেয়াজ প্রতি কেজি পূর্বে ছিল ৩০ টাকা বর্তমানে ৪০ টাকা। রসুন প্রতি কেজি পূর্বে ছিল ৪০ টাকা, বর্তমানে ৬০ টাকা, মুশুড় ডাল পূর্বে ছিল ৯৫ টাকা বর্তমানে ১০৫ টাকা, ছানার ডাল পূর্বে ছিল ৬০ টাকা বর্তমানে ৬৫ টাকা, চিনি পূর্বে ছিল ৭৭ টাকা বর্তমানে ৯৫ টাকা, আদা প্রতি কেজি পূর্বে ছিল ৮০ টাকা বর্তমানে ১০০ টাকা, ঢেরশ প্রতি কেজি পূর্বে ছিল ২০ টাকা বর্তমানে ৫০ টাকা, টমেটো প্রতি কেজি পূর্বে ছিল ২০ টাকা বর্তমানে ৫০ টাকা, পুঁই শাক পূর্বে ছিল ২০ টাকা বর্তমানে ৩০ টাকা, ঝিঁঙ্গা পূর্বে ছিল ২০ টাকা বর্তমানে ৬০ টাকা। বেগুন প্রতি কেজি পূর্বে ছিল ১০০ টাকা বর্তমানে ৫০ টাকা, লেবু প্রতি হালি পূর্বে ছিল ২০ টাকা বর্তমানে ১০ টাকা, কাঁচা মরিচ প্রতি কেজি পূর্বে ছিল ১০০ টাকা বর্তমানে ৮০ টাকা, সয়াবিন তেল প্রতি লিটার পূর্বে ছিল ১৬০ টাকা বর্তমানে ২০৫ টাকা, ছানা পূর্বে ছিল ৬০ টাকা বর্তমানে ৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। গরু ও মহিষের মাংস ৭০০ থেকে ১০০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, বয়লার মুরগী কেজি প্রতি ১৪০ থেকে ১৯০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, লাল মুরগী ৫০০ থেকে ৬০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। প্রতি কেজি মাছে আগের তুলনায় ৮০ থাকে ১৫০ টাকা বাড়িয়ে বিক্রি করা হচ্ছে। তবে এ বিষয়ে প্রশাসনের পক্ষ থেকে বাজারে কোন ধরনের তদারকি লক্ষ্য করা যায়নি। বাজার করতে আসা শিহাব মিয়া, বেসরকারি অফিস কর্মরত সাবিনা আক্তার অভিযোগ করে বলেন, সন্তানদের পড়াশোনা বাসাভাড়া, গ্যাস,পানি, বিদ্যুৎ বিল নিত্য পন্যের মূল বৃদ্ধি এ যেনো এক অসহনীয় অবস্থা। দিনমজুর শফিক মিয়া ও অসীম শব্দকর বলেন, এমনিতেই প্রায় প্রতিদিন বৃষ্টির কারণে কাজ করতে পারছি না। ফলে আয়-রোজগার কমে গেছে। বাজার করতে গেলে জিনিসের দাম শুনে আর মাথা ঠিক থাকে না। পরিবার নিয়ে খেয়ে-পড়ে বাঁচা বড়ই কঠিন হয়ে পড়েছে। ভানুগাছ বাজারের কাঁচামাল ব্যবসায়ী রুবেল আহমদ বলেন, ‘আমরা যে সময় যে দামে ক্রয় করি তার চেয়ে একটু লাভ করেই বিক্রি করে থাকি। এখানে আমাদের কোন হাত নেই। বাজারে সব পণ্যই আছে, তবে আগের চেয়ে বেশ কিছু সবজির দাম একটু বেড়েছে।’ পাইকারী ব্যবসায়ী কেশব পাল বলেন, ‘বাজারে পণ্যের কোন কমতি নেই। আমরা শ্রীমঙ্গলের পাইকারী বাজার থেকে পণ্য কিনে আনি। তারা যে সময় যে দাম দরে দেয়, আমরা সেই দামেই বিক্রি করি।’ নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন সমাজকর্মী বলেন দ্রব্যমূল্য যেভাবে বৃদ্ধি হচ্ছে এভাবে চলতে থাকলে আমরা হয়তো অনাহারে থাকতে হবে। শুধু দ্রব্যমূল্য নয় প্রতিটি জিনিসপত্রের মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে।’ জেলা জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মো. আল আমীন বলেন, ‘নিয়মিত ভাবে প্রতিদিনই ভোক্তা অধিকার দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য প্রতিটা বাজারগুলো জনস্বার্থে অভিযান চলিয়ে যাচ্ছে।’ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সিফাত উদ্দিন বলেন, ‘দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য উপজেলা প্রশাসন থেকে নিয়মিত বাজারগুলো তদারকি করা হচ্ছে।’