
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
০২ নভেম্বর, ২০২২, 10:29 AM

ইউক্রেন থেকে গম আমদানি বন্ধ, বাড়ছে দাম
আবারও বন্ধ হলো ইউক্রেন থেকে আমদানি। তেমন আসছে না ভারত থেকেও। সেটারই প্রভাব পড়তে শুরু করেছে বাজারে। চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জে গত দুই দিনে কিছুটা ঊর্ধ্বমুখী দাম। ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, এমন সংকটের মধ্যে বিকল্প দেশ থেকে আমদানির সুযোগও কম। কারণ ডলার সঙ্কট। তাই এলসি সহজ করার তাগিদ তাদের। এমনিতেই গত প্রায় ৬ মাস ধরে ওঠা-নামার মধ্য দিয়ে চলছে গমের বাজার। সেই সঙ্গে এবার যোগ হয়েছে ইউক্রেন থেকে সরবরাহ বন্ধের খবর। যার প্রভাব পড়তে শুরু করেছে খাতুনগঞ্জের পাইকারি বাজারে। যুদ্ধের আগে স্বাভাবিক সময়ে এ বাজারে প্রতিদিন গড়ে ২০ হাজার টন গম বেচাকেনা হয়। তবে পরে তা নেমে আসে ১০-১২ হাজার টনে। এখন তা আরও অর্ধেকে নেমেছে। একইসঙ্গে বাড়তে শুরু করেছে দামও। গেল সপ্তাহে যে গমের দাম ছিল কেজিপ্রতি ৪৪ টাকা, মঙ্গলবারে তা দাঁড়ায় ৪৬ টাকায়। আলম ট্রেডিং করপোরেশনের পরিচালক জাবেদুল আলম বলেন, ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত গম রপ্তানি করেছে ভারত। এরপর দেশটি আমাদের তা দেয়নি। ফলে মজুত কমে গেছে। মেসার্স মুনাল ট্রেডিংয়ের পরিচালক সুমন কুমার সাহা বলেন, বাজারে ঊর্ধ্বগতি একটু আছে। কারণ, গমের সংকট রয়েছে। তবে যে জাহাজগুলো আসছে, সেগুলো খালাস হলে সমস্যা থাকবে না। ইউক্রেন আর ভারত থেকে সরবরাহ স্থবির হওয়ার পর আমদানির জন্য বিকল্প দেশ খুঁজলেও তাতে অন্যতম বাধা ডলার সংকট। এ কারণে কমেছে আমদানির ঋণপত্রের পরিমাণ। সুমন কুমার সাহা বলেন, ব্যাংকগুলো যদি আমদানিকারকদের আরও আমদানি করার সুযোগ দেয় এবং সহযোগিতা করে, তাহলে তা বাড়বে। আশা করি, এমনটা হলে সংকট থাকবে না। জাবেদুল আলম বলেন, ইউক্রেন-রাশিয়া গম রপ্তানি বন্ধ করেছে। তবে রোমানিয়া, বুলগেরিয়া, কানাডা থেকে আনার সুযোগ আছে। এলসি সুযোগ দিলে তা আনা যাবে। খাদ্য বিভাগের তথ্যমতে, চট্টগ্রামে সরকারিভাবে গমের মজুত আছে ৫৪ হাজার ৩৭৫ টনের মতো। খালাসের অপেক্ষায় আরও ৫৫ হাজার টন। তবে ব্যবসায়ীদের দাবি, ইউক্রেন থেকে আসা বেসরকারি পর্যায়ে আমদানি করা ১ লাখ ২০ হাজার টন গম ভর্তি দুটি জাহাজ ১০ দিন ধরে প্রক্রিয়াগত জটিলতায় চট্টগ্রাম বন্দরে আটকে আছে।সূত্র : চ্যানেল২৪.কম