
NL24 News
২৬ মে, ২০২২, 2:25 PM

স্বামী-সন্তান ছেড়ে পরকীয়ায় বিয়ে, দ্বিতীয় স্বামীর নির্যাতনে গৃহবধূর মৃত্যু
চান্দিনা (কুমিল্লা) প্রতিনিধি : কুমিল্লার বরুড়ায় স্বামী ও ২ সন্তান ছেড়ে পরকীয়া প্রেমে জড়িয়ে বিয়ে করেন রূপালী আক্তার নামে এক গৃহবধূ। এর ২ বছর পর নির্যাতনে মৃত্যু হয় তার। ঘটনাটি ঘটেছে কুমিল্লার বরুড়া উপজেলার খোশবাস ইউনিয়নের মস্কিপুর গ্রামে। ওই ঘটনার পর থেকে আত্মগোপনে রয়েছেন স্বামী ফয়সালসহ তার পরিবার। এ ঘটনায় নিহতের মা বাদী হয়ে আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলার এজাহার ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কুমিল্লার চান্দিনা উপজেলার বরকইট ইউনিয়নের পূর্ব রামচন্দ্রপুর গ্রামের মৃত শাহআলম এর মেয়ে রূপালী আক্তার। প্রায় ১১ বছর পূর্বে পারিবারিকভাবে একই ইউনিয়নের শ্রীমন্তপুর গ্রামে বিবাহের পর এক ছেলে ও এক কন্যা সন্তানের জননী হন রূপালী। বাপের বাড়িতে থেকে সন্তানকে পার্শ্ববর্তী একটি মক্তবে আরবি পড়ানোর সুবাদে ঘনিষ্ঠ হন ওই মক্তবের শিক্ষক ফয়সালের সঙ্গে।
একপর্যায়ে ১ম স্বামীকে তালাক দিয়ে প্রায় দুই বছর পূর্বে ফয়সালের সঙে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। দ্বিতীয় স্বামী ফয়সালের সংসারে আরও একটি কন্যাসন্তান জন্ম দেন রুপালী। কয়েক মাস পর ওই কন্যাশিশুটিকে অন্যত্র দত্তক দিয়ে দেন রুপালীর দ্বিতীয় স্বামী ফয়সাল। আর যৌতুকসহ নানা অজুহাতে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করতে থাকেন স্বামী ফয়সাল ও তার পরিবার। রুপালীর মা সাফিয়া বেগম অভিযোগ করেন, গত মঙ্গলবার রুপালীকে অমানবিক নির্যাতনের একপর্যায়ে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে। আমার মেয়ের মৃত্যুকে ভিন্ন দিকে প্রভাবিত করতে সিএনজি অটোরিকশায় আমার বাড়ি (চান্দিনার পূর্বরামচন্দ্রপুরে) পাঠিয়ে দেন তারা। পরে রামচন্দ্রপুর গ্রামের লোকজন অপর একটি সিএনজি অটোরিকশাযোগে রুপালীর মরদেহ তার স্বামীর বাড়ি মস্কিপুরে নিয়ে গিয়ে দেখে তার স্বামীসহ পরিবারের কেউ বাড়িতে নাই। খবর পেয়ে বরুড়া থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে রুপালির মৃতদেহ উদ্ধার করে। থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা রেকর্ড করেন এবং কুমেক হাসপাতালে মরদেহ ময়নাতদন্ত করেন। পরদিন মৃতদেহ মায়ের কাছে হস্তান্তর করলে পিত্রালয়েই দাফন করা হয় তাকে। এ বিষয়ে জানতে স্বামী ফয়সালের সাথে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও মোবাইল ফোন বন্ধ থাকায় তাকে পাওয়া যায়নি। থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইকবাল বাহার জানান, ফয়সালের বাড়ি হতে রুপালী আক্তারের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ময়নাতদন্ত করার জন্য কুমিল্লা সরকারি মেডিকেল কলেজে পাঠানো হয়েছে। তবে ময়নাতদন্ত রিপোর্ট আসার আগ পর্যন্ত কোন কিছু বলা যাচ্ছে না।