ঢাকা ২৪ জুন, ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম
গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে ১ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট অনুষ্ঠান ঈদের ছুটিতে সড়কে ঝরেছে ১৬৯ প্রাণ: বিআরটিএ মূল্যস্ফীতি ৫ শতাংশে নামিয়ে আনতে চাই : গভর্নর ইসরাইলের সাথে যুদ্ধবিরতির আনুষ্ঠানিক ঘোষণা ইরানের একনেকে ৮৯৭৪ কোটি টাকার ১৭ প্রকল্প অনুমোদন দেশের ৫৭ কলেজের নাম পরিবর্তন সরকারি চাকরিজীবীদের ভাতা বাড়িয়ে প্রজ্ঞাপন জারি নগর ভবনে ইশরাক সমর্থকদের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত ২ ঠাকুরগাঁওয়ে সড়ক দুর্ঘটনায় বাবা-মেয়ে নিহত সাতক্ষীরায় স্বাস্থ্য সহকারীদের ৬ দফা দাবিতে দুই ঘণ্টার কর্মবিরতি পালিত

সিলেটে বাড়ছে পানিবাহিত রোগীর সংখ্যা

#

নিজস্ব প্রতিনিধি

২৮ জুন, ২০২২,  12:53 PM

news image

সিলেটজুড়ে বন্যা বিপর্যয়ের পর এবার স্বাস্থ্য খাতে বিপর্যয়ের আশঙ্কা! নানা ব্যাধী ও রোগের আশঙ্কা রয়েছে। পানিবাহিত বিভিন্ন সংক্রামক রোগসহ নানা কারণে বন্যাপীড়িত এলাকায় স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ভেঙে পড়ার উপক্রম। বিশেষ করে শিশু ও বয়স্করা রয়েছেন চরম ঝুঁকিতে। স্বাস্থ্য বিভাগ সিলেটের তথ্য মতে, গেল ২৪ ঘন্টায় সিলেট বিভাগে পানিবাহিত রোগে আক্রান্ত হয়েছেন ৬০৬ জন। এর মধ্যে ডায়রিয়া আক্রান্ত হয়েছেন ৩৬২ জন। বাকীরা চর্মরোগসহ অন্যান্য রোগে আক্রান্ত হয়েছেন। গত ২৪ ঘন্টায় সিলেটে পানিবাহিত রোগে আক্রান্ত হয়েছেন ৬৮ জন। এর মধ্যে ডায়রিয়া আক্রান্ত হয়েছেন ৪৮ জন, বাকীরা অন্যান্য রোগে আক্রান্ত হয়েছেন। এই সময়ে সুনামগঞ্জে পানিবাহিত  রোগে আক্রান্ত হয়েছেন ১৬৬ জন।

এর মধ্যে ৯২ জন ডায়রিয়া বাকীরা অন্যান্য রোগে। হবিগঞ্জ জেলায় পানিবাহিত রোগে আক্রান্ত হয়েছেন ২০৩ জন। এর মধ্যে ৯৯ জন ডায়রিয়া ও বাকীরা অন্যান্য রোগে আক্রান্ত হয়েছেন। মৌলভীবাজার জেলায় পানিবাহিত রোগে আক্রান্ত হয়েছেন ১৬৯ জন। এর মধ্যে ৭৪ জন ডায়রিয়া বাকীরা অন্যান্য রোগে আক্রান্ত। দিকে গত সপ্তাহ থেকে সিলেটের বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি শুরু হয়। এই এক সপ্তাহে সিলেট বিভাগে ডায়রিয়া আক্রান্ত হয়েছেন ১ হাজার ৮৮৫ জন। এর মধ্যে সিলেটে ৪৬৫ জন, সুনামগঞ্জে ৫৪৫ জন, হবিগঞ্জে ৪৮৭ জন ও মৌলভীবাজারের ৩৮৮ জন রয়েছেন। এই সময়ে ডায়রিয়া ছাড়াও অন্যান্য রোগে আক্রান্ত হয়েছেন সহস্রাধিক বন্যা কবলিত মানুষ।  স্বাস্থ্য বিভাগের হিসাবের বাইরে বিপুল সংখ্যা মানুষ পানিবাহিত রোগে আক্রান্ত হয়েছেন বলে মনে করছেন অনেকে। নগর থেকে শুরু করে জেলা, উপজেলা, বিভিন্ন বাজার, এমনকি পাড়া মহল্লার ওষুধের দোকান গুলোতে ডায়রিয়া, চর্মরোগসহ পানিবাহিত রোগের ওষুধ বিক্রি বেড়েছে কয়েকগুণ। কয়েকটি ফার্মেসীর সাথে আলাপকালেও এর সত্যতা পাওয়া গেছে। সিলেটের বন্যাকবলিত প্রতিটি এলাকায় ভয়াবহ স্বাস্থ্য বিপর্যয় ঘটতে পারে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা। জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা জানান, বন্যার পানি নেমে যাওয়ার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে রোগব্যাধি বাড়বে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার সুযোগ না থাকায় বাড়তে পারে করোনা। এ সময় মশাবাহিত রোগ ডেঙ্গু, ম্যালেরিয়া ও চিকুন গুনিয়ার প্রকোপ মারাত্মক রূপ নিতে পারে।  বিশেষ করে যেসব এলাকার সুষ্ঠু পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা নেই সেখানে জলাবদ্ধতার কারণে স্বাস্থ্যসমস্যা প্রকট আকার ধারণ করবে। স্বাস্থ্য সংশ্লিষ্টরা জানান, বন্যার কারণে বাথরুম ও সেনিটারী টয়লেট ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় অনেকেই নদীর আশপাশে খোলা জায়গায় মলমূত্র ত্যাগ করছে। মানুষের এ পয়োবর্জ্য এবং ওই এলাকার বিভিন্ন ময়লা-আবর্জনা মিলে জলাশয়ের পানি দূষিত হয়ে পড়ছে। লোকজন তখন যদি এসব জলাশয়ের পানি বিশুদ্ধ না করে পান করে, খাবারের কাজে ব্যবহার কিংবা থালাবাসন ধোয়া, কাপড় কাচা ইত্যাদি কাজে ব্যবহার করে, তখন ডায়রিয়া বা পানিবাহিত রোগবালাই হতে পারে। স্বাস্থ্য অধিদফতর সিলেট বিভাগীয় কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, সাম্প্রতিক বন্যায় সিলেট বিভাগে পানিবাহিত  রোগে আক্রান্ত হয়েছেন ৪ হাজার ৫৪১ জন। তারা ডায়রিয়া, চর্মরোগ সহ বিভিন্ন ধরনের পানিবাহিত রোগে আক্রান্ত হয়েছেন। এর মধ্যে সিলেটের ২ হাজার ২৫৭ জন, সুনামগঞ্জের ৫৪৭ জন, হবিগঞ্জের ১ হাজার ৭ জন ও মৌলভীবাজারের ৭৩০ জন রয়েছেন।

logo

সম্পাদক ও প্রকাশক : মো. নজরুল ইসলাম