
নিজস্ব প্রতিবেদক
১৩ আগস্ট, ২০২২, 3:34 PM
সাজানো মাদক মামলায় গ্রেফতার সোহাগ মেম্বারের মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন
শুক্রবার (১২ আগষ্ট) জুম্মাবাদ সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধ এলাকায় ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের পাশে এ বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করেন নারী পুরুষ যুবক এবং এলাকাবাসী। বিভিন্ন শ্রেনী পেশার হাজারো নারী পুরুষরা বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে নবীনগর জাতীয় স্মৃতি সৌধের সামনে জড়ো হতে থাকে পড়ে বিকাল তিনটায় মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, জনপ্রতিনিধি আশুলিয়ার ইয়ারপুর ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ড মেম্বার ও সারাদেশের ইউপি মেম্বারদের নিয়ে গঠিত সংগঠনের কেন্দ্রীয় নেতা হাজী হালিম মৃধা। মানববন্ধনে উপস্থিত হয়ে তারা বলেন, সোহাগ মেম্বারের নামে দায়ের করা মাদক ব্যাবসায়ীর পূর্ব পরিকল্পিত মামলা দিয়ে জেল হাজতে পাঠানোর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। সেই সাথে সোহাগ মেম্বারের নিঃস্বর্থ মুক্তি দাবি করছি। সোহাগ আমাদের ওয়ার্ডের শুধু মেম্বার নয় সে আমাদের ভাই, সন্তান ও অভিভাবক এবং আমাদের আগামি দিনের আমাদেরকে মাদকমুক্ত সমাজ উপহার দিবে। তারা আরও বলেন, সোহাগ মেম্বার মাদকের বিরুদ্ধে লড়াই করার কারনেই মূলত এলাকার চিহ্নিত মাদক কারবারীরা তার বিরুদ্ধে ভাংচুরের একটি পূর্ব পরিকল্পিতভাবে সাজানো মামলা দিয়ে জেল হাজতে পাঠিয়েছে ।
আজ সেই মামলায় জেল খাটছে আমাদের সবার প্রিয় মেম্বার। আর সেই মাদক কারবারিদের পক্ষ নিয়ে বিভিন্নভাবে সাহায্য করছে এবং আমাদের মেম্বারের নামে পরিকল্পিতভাবে মিথ্যা তথ্য দিয়ে দু'একজন অপসাংবাদিক বিভিন্ন মিডিয়া এবং ফেইসবুকে অপপ্রচার চালাচ্ছে । আমরা পাথালিয়ার মানুষ যখন এক হয়ে সোহাগ মেম্বারের নেতৃত্বে মাদক কারবারিদের বিরুদ্ধে লড়াই করছি। ঠিক তখনই সেই মাদক কারবারিদের সাহায্য করছে নামধারী এই অপ-সাংবাদিকরা। মানববন্ধনে উপস্তিত হয়ে ইয়ারপুর ইউনিয়নের মেম্বার হাজী হালিম মৃধা বলেন, আমরা মেম্বাররা সব সময় চাই এলাকার মানুষ ভালো থাকুক, মাদক মুক্ত সমাজ গড়ার চেষ্টা করতে গিয়ে মাদক বেচাকেনা কারীর পক্ষে বিভিন্নভাবে কিছু অপ-সাংবাদিক আমাদের বিরুদ্ধে ফেসবুকে লেখালেখি করে। এরা সাংবাদিকতার ছত্রছায়ায় বিভিন্ন জায়গা থেকে চাঁদাবাজী সহ অনেক অপরাধ মূলক কাজ করে থাকে। বিশেষ করে মাদক ব্যাবসায়ীদের কাছে প্রতিমাসে মান্থলি করা তাদের এমন অনেক অপরাধের ডকুমেন্টস আমার কাছে আছে। অন্যান্যদের মধ্যে আশুলিয়া থানা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি এসএ শামিম তার বক্তব্যে বলেন, আপনারা যারা সাংবাদিকতার পেশায় কাজ করেন আমি তাদের শ্রদ্ধা করি। আমার কথা হলো শফিউল আলম সোহাগ যদি কোন অপরাধ করে থাকেন, তাহলে আপনারা সত্য তথ্যের মাধ্যমে তার বিরুদ্ধে নিউজ করেন। এতে আমাদের কোন আক্ষেপ নাই, কিন্তু সাংবাদিকতার নামে একজন মানুষের নামে ফেসবুকে আবল তাবোল লেখার কারন কি? আমি এর তিব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি সেই সাথে মাদক ব্যাবসায়ীর সাজানো মামলায় গ্রেফতার আমার ভাই শফিউল আলম সোহাগের নিঃস্বর্থ মুক্তি চাই এবং অপ-সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে সাংবাদিকদের সঠিক তথ্য দিয়ে সংবাদ পরিবেশনের উদাত্ত আহ্বান জানাচ্ছি পেশাদার সাংবাদিক ভাই ও বোনদেরকে। এসময় মানববন্ধনে বিভিন্ন ওয়ার্ডের মেম্বার, সাধারণ মানুষ, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও রাজনৈতিক নেতারা সহ সর্বস্তরের কয়েক হাজার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।
সাজানো মামলার সুত্রপাত: পাথালিয়া ইউনিয়ন পরিষদের ৩নং ওয়ার্ড ও এলাকাবাসীর জনপ্রিয় জনদরদী এবং সফল মেম্বার মাদক মুক্ত ওয়ার্ড গড়তে মাদকবিরোধী কর্মকান্ড পরিচালিত করায়। পরিকল্পিতভাবে ডেকে নিয়ে নিজ ঘরের আসবাবপত্র ভাংচুর করে থানায় মামলা দায়ের করে আশুলিয়া থানা পুলিশের সহযোগিতায় থানায় ডেকে নিয়ে আটক করে জেল হাজতে প্রেরণ করার অভিযোগ উঠেছে পুরো এলাকায় চাঞ্চল্যের ও ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে জনমনে। মেম্বারের সমর্থকরা মাদক সম্রাজ্ঞী বকুল আক্তারের বিচারের দাবীতে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের প্রকৃত ঘটনা তুলে ধরে বিচার দাবি জানিয়েছেন। পেশাদার সাংবাদিকদের মাদক ব্যাবসায়ী বকুল বেগমের সঠিক তথ্য তুলে ধরে সংবাদ পরিবেশনের কথা থাকলেও কিছু অপ-সাংবাদিক মাদক ব্যাবসায়ীর পক্ষ নিয়ে সংবাদ পরিবেশন করাটাও দুঃখ জনক। সেই সঙ্গে সোহাগ মেম্বারের মুক্তির দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী। উল্লেখ্য বুধবার (১০ আগস্ট) বিকেলে আসামিদের আদালতে তোলা হলে বিজ্ঞ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টের বিচারক আরাফুল ইসলাম সোহাগ মেম্বারকে জেল হাজতে পাঠানোর আদেশ দেন।