ঢাকা ০৩ আগস্ট, ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম
সুনামগঞ্জে অর্ধ-বার্ষিক বিচার বিভাগীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত বারহাট্টায় গোপনাঙ্গ কেটে বানানো হচ্ছে হিজড়া, চলছে মাসিক চাঁদাবাজি যেমন থাকবে আগামী ৫ দিনের আবহাওয়া কক্সবাজারে অটোরিকশাকে ট্রেনের ধাক্কা, নিহত ৪ নতুন বাংলাদেশের ইশতেহার ঘোষণা আগামীকাল: এনসিপি বর্ষায় শাকপাতা খান নিয়ম মেনে খিলগাঁওয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পিটুনিতে একজনের মৃত্যুর অভিযোগ সুন্দরবন স্কয়ার মার্কেট ঝুঁকিপূর্ণ ছিল, ফায়ার সার্ভিসও সতর্ক করেছিল দেশের স্বার্থ বিসর্জনের কোনো সুযোগ নেই: বাণিজ্য উপদেষ্টা জুলাই ঘোষণাপত্র জাতির সামনে উপস্থাপন ৫ আগস্ট

শরীরে ‘ইসলামিক’ ট্যাটু করা কি জায়েজ

#

০২ জুলাই, ২০২৫,  10:44 AM

news image

বিশ্বায়নের এই যুগে উঠতি বয়সী ছেলেমেয়েদের মধ্যে নিজেকে আলাদা করে উপস্থাপন করার প্রবণতা বাড়ছে। যার মধ্যে একটি হলো- শরীরে উল্কি আঁকা। যাকে আমরা ট্যাটু বলে চিনি। মানুষের শরীরের চামড়ায় মোট সাতটি স্তর থাকে। এর মধ্যে দ্বিতীয় স্তরের চামড়ায় সুই বা এজাতীয় কোনো কিছু দিয়ে ক্ষত করে তাতে বাহারি রং দিয়ে নকশা করাকে উল্কি বা ট্যাটু বলে। শরীরের বিভিন্ন স্থানের পাশাপাশি মুখ, কানসহ বিভিন্ন স্পর্শকাতর ও গোপন স্থানেও ট্যাটু করতে দ্বিধাবোধ করে না অনেকে। ইসলাম সম্পর্কে উদাসীনতা ও না জানার কারণে অনেক মুসলমান এমন কাজ করছে। অথচ ইসলামের দৃষ্টিতে শরীরের ট্যাটু অঙ্কনকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। বেশির ভাগ ইসলামী আইন বিশেষজ্ঞের দৃষ্টিতে শরীরে ট্যাটু আঁকা হারাম।  তাঁরা বলেছেন, যেসব উপায়ের মাধ্যমে আল্লাহর সৃষ্ট অঙ্গে পরিবর্তন আনা হয়, তার সবই নিষিদ্ধ। আলাদা চুল লাগানো, ভ্রু প্লাক করা, চোখে আলাদা পালক লাগানো ইত্যাদি ইসলাম অনুমোদন করে না। ইসলামের দৃষ্টিতে এই কাজকে এতটাই জঘন্য হিসেবে বিবেচনা করা হয়, নবীজি (সা.) এ ধরনের কাজে লিপ্তদের অভিশাপ করতে বাধ্য হয়েছেন। আবদুল্লাহ (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) এমন সব নারীর ওপর অভিসম্পাত করেছেন, যারা অঙ্গে উল্কি আঁকে, অন্যকে দিয়ে উল্কি আঁকায় এবং সৌন্দর্যের জন্য ভ্রুর চুল উপড়িয়ে আল্লাহ তাআলার সৃষ্টিকে পরিবর্তন করে।’ (তিরমিজি, হাদিস : ২৭৮২)। অন্য হাদিসে ইরশাদ হয়েছে, ইবনে উমর (রা.) বর্ণনা করেন, ‘যেসব নারী নকল চুল ব্যবহার করে, যারা অন্য নারীকে নকল চুল এনে দেয় এবং যেসব নারী উল্কি অঙ্কন করে ও যাদের জন্য করে, রাসুল (সা.) তাদের অভিশাপ দিয়েছেন।’ (তিরমিজি, হাদিস : ১৭৫৯)। হাদিস শরিফে নারীদের নির্দিষ্ট করে বলার কারণ হলো, আগেকার যুগে নারীরাই বেশি উল্কি অঙ্কন করাত। বর্তমান বিশ্বেও উল্কি অঙ্কনে নারীদের হার বেশি। সমীক্ষায় পাওয়া যায়, বিশ্বের ৫৮ শতাংশ নারীর শরীরে অন্তত একটি ট্যাটু বিদ্যমান, সে তুলনায় পুরুষের শতাংশ ৪১। ইদানীং অনেককে দেখা যায়, শরীরে ইসলামিক ট্যাটু অঙ্কন করে, যেখানে মহান আল্লাহ ও নবীজি (সা.)-এর নামের ক্যালিগ্রাফি থাকে বা কোরআন-হাদিসের অংশবিশেষ বা আরবি বা অন্য ভাষায় ইসলামের আলোকে মোটিভেশনাল উক্তি থাকে। কেউ কেউ আবার মক্কা-মদিনার ছবিকেও লাইন আর্ট স্টাইলে সাজিয়ে অনলাইনে ইসলামী ট্যাটু হিসেবে প্রচার করছে।  ইসলামের দৃষ্টিতে শরীরে এ ধরনের ট্যাটু অঙ্কন আরো জঘন্য হারাম। কেননা মানুষকে সারা দিন অনেক অবস্থায় থাকতে হয়, শৌচাগারসহ এমন আরো বহু জায়গায় যেতে হয়, যেখানে এসব পবিত্র জিনিস নিয়ে যাওয়া নিষেধ। অথচ শরীরে ট্যাটু আকারে তা অঙ্কন করে ফেললে তা রেখে যাওয়ার সুযোগ নেই। আবার কেউ যদি ইসলামী রূপ দেওয়ার কারণে এগুলোকে হালাল মনে করে, তবে সে কোনো দিন তাওবাও করার সুযোগ পাবে না। নাউজুবিল্লাহ। মহান আল্লাহ এ ধরনের কাজ করা থেকে সবাইকে বিরত রাখুন এবং কেউ না বুঝে এসব কাজে লিপ্ত হয়ে গেলে তাওবা করার তাওফিক দান করুন। মহান আল্লাহ সবাইকে এ ধরনের কাজ থেকে বিরত থাকার তাওফিক দান করুন। আমিন।

logo

সম্পাদক ও প্রকাশক : মো. নজরুল ইসলাম