
নিজস্ব প্রতিনিধি
০৩ জানুয়ারি, ২০২২, 6:09 PM

রংপুরে র্যাব ১৩'র অভিযানে ব্ল্যাকমেইলিং চক্রের সদস্য স্বামী-স্ত্রী গ্রেফতার
র্যাব-১৩, সিপিএসসি, রংপুর অফিসার ইনচার্জ কোতয়ালী, আরপিএমপি, রংপুর কর্তৃক মামলার এজাহার নামীয় এবং অজ্ঞাতনামা আসামী গ্রেফতারে একটি অধিযাচন পত্রের ভিত্তিতে জানতে পারে যে, বেশ কিছুদিন যাবত ব্ল্যাকমেইলিং চক্র রংপুরে তাদের অবৈধ কার্যক্রম চালিয়ে আসছে। অধিযাচন পত্রের সুত্র ধরে সন্ধান মেলে চক্রটির। র্যাব জানায়, রংপুর মহানগরীতে একটি সঙ্ঘবদ্ধ ব্ল্যাকমেইলিং চক্র বিভিন্ন ব্যক্তিকে টার্গেট করে। ভদ্র লেবাসধারী এ চক্রটি তাদের সাথে পরিচিত হয়ে তাকে কৌশলে নিজেদের আস্তানায় নিয়ে যেত। এরপর সেখানে অশ্লীল ছবি তুলে জিম্মি করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছবি ছড়িয়ে দেয়ার ভয় দেখিয়ে টাকা আদায় করতো।
এছাড়াও হত্যার ভয় দেখিয়ে বলপূর্বক অর্থ আদায়, স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর গ্রহন, চুরি এবং ভয়ভীতি প্রদর্শন করে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে এই চক্রটি। উক্ত সংবাদের ভিক্তিতে সিপিএসসি, র্যাব-১৩, রংপুর, অধিযাচনটি আমলে নিয়ে সত্যতা অনুসন্ধানে তাৎক্ষণিক ছায়া তদন্ত শুরু করে জিম্মিকারী ব্যক্তিদের আইনের আনতে গোয়েন্দা নজরদারী বৃদ্ধি করে। এরই ধারাবাহিকতায় উক্ত সংবাদ প্রাথমিকভাবে সত্যতা প্রমানিত হওয়ায় র্যাব-১৩, সিপিএসসি, রংপুর ক্যাম্প এর একটি চৌকস আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গত (২ জানুয়ারি'২২) রংপুর মহানগরীর গ্র্যান্ড হোটেল মোড় এলাকায় অভিযুক্ত ব্যক্তির নিজ বাসায় অভিযান চালিয়ে স্বামী-স্ত্রী দু-জনকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃতরা হলো- আরপিএমপি, এলাকার মোঃ শাহারুখ করিম অনিক (৩৪) ও তার স্ত্রী মোছাঃ আসমানী আক্তার (২৪)। র্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে যায় আরো অজ্ঞাত ৪/৫ জন।উল্লেখ্য যে,অভিযান চলাকালীন সময়ে র্যাব তার নিজ বাসার ৬ষ্ঠ তলায় একটি টর্চার সেলের সন্ধান পায়। উক্ত সেলে টার্গেট করা ব্যক্তিদের এনে জিম্মি করে মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন করতো। এছাড়াও উক্ত সেল থেকে উদ্ধার করা হয়, দুটি চাপাতি, ইলেকট্রিক শর্কের তার, মাদক সেবনের সরঞ্জামাদি, হাতুড়ি, ছুরি, স্ট্যাম্প, ভিডিও ধারনের দুইটি মোবাইল ফোন এবং একটি ল্যাপটপ। র্যাব-১৩'র অধিনায়কের পক্ষে সহকারি পরিচালক (মিডিয়া) ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মাহমুদ বশির আহমেদ স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে, ধৃত আসামীদ্বয় বিভিন্ন ব্যক্তিদের জিম্মি করে টাকা আদায় এবং নির্যাতনের কথা স¦ীকার করে। তাদের সাথে জড়িত অন্যান্য সহযোগীদের আইনের আওতায় আনার জন্য র্যাবের কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।আটককৃতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য আরপিএমপি কোতয়ালী থানার মামলা মূলে হস্থান্তর করা হয়েছে।