ঢাকা ২৪ ডিসেম্বর, ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম
আসন্ন নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না আওয়ামী লীগ: প্রেস সচিব গাজীপুরে জাসাস নেতাকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যা এভারকেয়ার হসপিটাল ও সংলগ্ন এলাকায় ড্রোন উড়ানো নিষিদ্ধ আতাউর রহমান বিক্রমপুরীকে নরসিংদী থেকে গ্রেপ্তার বেনাপোল বন্দরে আমদানি-রপ্তানি ২ দিন বন্ধ চাঁনখারপুলে আনাসসহ ৬ জনকে হত্যা: ট্রাইব্যুনালের রায় ২০ জানুয়ারি ২৭ ডিসেম্বর পদত্যাগ করবেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান তারেক রহমানের প্রত্যাবর্তনের কর্মসূচি জানাল বিএনপি বাংলাদেশের তরুণদের কর্মসংস্থানে ১৫ কোটি ডলার দিচ্ছে বিশ্বব্যাংক সেনা কর্মকর্তা রেদোয়ানসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে বিচার শুরুর আদেশ

যা নেওয়া হারাম তা দেওয়াও হারাম

#

১০ নভেম্বর, ২০২৫,  10:44 AM

news image

ফিকহের একটি গুরুত্বপূর্ণ কায়দা বা নীতি হলো কোনো অন্যায় কাজ বা লেনদেন যদি একজনের জন্য নিষিদ্ধ হয়, তবে অপর পক্ষের জন্যও তা নিষিদ্ধ। ইসলাম শুধু অন্যায়কে নিষেধ করেনি, বরং অন্যায়ে সহযোগিতাকেও পাপ হিসেবে গণ্য করেছে। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘তোমরা পাপ ও সীমা লঙ্ঘনের কাজে একে অপরকে সহায়তা কোরো না; আল্লাহকে ভয় করো, নিশ্চয়ই আল্লাহ কঠোর শাস্তিদাতা।’

(আল-কুরআন, ৫:২)

যেমন—সুদ নেওয়া যেমন হারাম, তেমনি সুদ দেওয়াও হারাম।

রাসুলুল্লাহ (সা.) সুদখোর, সুদদাতা, সুদলিপিকার ও সাক্ষীদের ওপর অভিশাপ দিয়েছেন এবং বলেছেন : এরা সবাই সমান।

(মুসলিম, আস-সহিহ : ১৫৯৮)

একইভাবে ঘুষ নেওয়া যেমন গুনাহ, ঘুষ দেওয়াও গুনাহ। মদ, জুয়া বা অন্য কোনো হারাম বস্তুর বিক্রেতা যেমন পাপ করে, ক্রেতাও তাতে অংশীদার হয়।

ইসলাম চায় এমন এক অর্থনীতি ও সমাজ, যেখানে ন্যায়, সততা ও হালাল উপার্জন প্রতিষ্ঠিত হয়।

তাই আমাদের উচিত প্রতিটি লেনদেনে এই নীতি মনে রাখা, যা নেওয়া হারাম, তা দেওয়াও হারাম।

ইসলামী ব্যাংকিং এই নীতিকেই বাস্তবায়নের চেষ্টা করে। এখানে সুদভিত্তিক লেনদেনের পরিবর্তে লাভ-ক্ষতির ভাগাভাগি (মুশারাকা, মুদারাবা) ও পণ্যভিত্তিক বাণিজ্যের (মুরাবাহা, ইজারা) মাধ্যমে ন্যায়সংগত আর্থিক সম্পর্ক গড়ে তোলা হয়। ফলে কেউ অন্যায়ভাবে লাভবান হয় না এবং কেউ ক্ষতির দায় থেকে মুক্তও থাকে না।

ইসলামী অর্থব্যবস্থা এই নীতির মাধ্যমে ন্যায়, ভারসাম্য ও পারস্পরিক দায়বদ্ধতার ভিত্তিতে অর্থনৈতিক নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠা করে।

logo

সম্পাদক ও প্রকাশক : মো. নজরুল ইসলাম