
নিজস্ব প্রতিবেদক
১৮ ডিসেম্বর, ২০২২, 10:51 AM

বিপাকে পোলট্রি খাত
বিশ্ববাজারে পোলট্রি খাদ্যের কাঁচামালের দাম বেড়েছে। ডলারের বিপরীতে টাকার অবমূল্যায়নে কাঁচামালের জন্য আগের চেয়ে খরচ বেড়েছে। ডলার সংকটে অনেক ক্ষেত্রে এলসি খুলতে পারছেন না আমদানিকারকরা। এ ছাড়া দেশে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও পরিবহন ব্যয় বেড়ে গেছে। এসব কারণে সংকটে পড়েছেন পোলট্রি খাতের উদ্যোক্তারা। বাংলাদেশ পোলট্রি ইন্ডাস্ট্রিজ সেন্ট্রাল কাউন্সিলের (বিপিআইসিসি) হিসাবে, বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদিত মুরগির ডিমের ১২ থেকে ১৫ শতাংশ আসে প্রাতিষ্ঠানিক খামারগুলো থেকে। বাকি ডিম আসে প্রান্তিক খামার থেকে।
আমদানিনির্ভর খাদ্যসামগ্রী ও ওষুধের পাশাপাশি দেশে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি ব্যয় এবং পরিবহন খরচ বাড়ার কারণে বর্তমানে প্রান্তিক খামারিদের প্রতিটি ডিমে উৎপাদন খরচ হচ্ছে প্রায় সাড়ে ১০ টাকা। খামারিদের হিসাবে, ডিম ও মুরগির উৎপাদন খরচের ৬০ থেকে ৭০ শতাংশই ব্যয় হয় খাবার বাবদ। খাবার উৎপাদনকারীদের তথ্য মতে, এসব খাবারে ব্যবহৃত প্রধান উপকরণ ভুট্টার চাহিদার ৩৬ শতাংশই আমদানি করতে হয়। সয়াবিন আমদানি করতে হয় ৯০ শতাংশ। এ খাতের উদ্যোক্তাদের সংগঠন ফিড ইন্ডাস্ট্রিজ অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশের (এফআইএবি) সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম জানান, দুই বছর আগে বিশ্ববাজারে প্রতি টন ভুট্টার দাম ছিল ২২০ থেকে ২৩০ ডলার, যা বেড়ে হয়েছে ৩৩০ থেকে ৩৬৪ ডলার। কাঁচামালের আমদানি খরচ শতকরা ৬০ থেকে ৭০ ভাগ বাড়লেও পোলট্রি খাবারের দাম বেড়েছে ৪০ শতাংশের মতো। এতে ফিড মিলগুলোর লোকসান হচ্ছে। তাই পোলট্রি খাবার ও ডিমের দাম বাড়াতে হবে। ব্রিডার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (বিএবি) সভাপতি কাজী জাহিন হাসান বলেন, ডিমের বাজারে 'সিন্ডিকেট' বলে কিছু নেই। দেশে মুরগি বা ডিমের দাম কোথায় কত, তা নিমেষেই জানা সম্ভব। প্রান্তিক খামারি, আড়তদার কিংবা খুচরা বিক্রেতা কারও পক্ষেই হঠাৎ দাম বাড়ানোর সুযোগ নেই।