
নিজস্ব প্রতিবেদক
১১ মার্চ, ২০২২, 9:06 PM

প্রেসক্রিপশন ছাড়া ঘুমের ঔষধ বিক্রি করছে- নরসিংদী ২ ফার্মেসী
মহান সৃষ্টি কর্তা এই আসমান জমিনে সৃষ্টির সেরা জীব হিসেবে গড়েছেন মানব জাতিকে। আর সেই মানব জাতিকে দিয়েছেন অফুরন্ত জ্ঞান বুদ্ধি, সেই মেধাকে কাজে লাগিয়ে তৈরি করছেন রোগ প্রতিষেধক ঔষধও।ঔষধ যেমন জীবন বাচায়, রোগ প্রতিষেধকেও কাজ করে তেমনি ঔষধের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াও রয়েছে,এবং অতিরিক্ত মাত্রায় সেবনে জীবন বিপন্নও হতে পারে,হতে পারে অকাল মৃত্যু, অসময়ে ঝরে যেতে পারে একটি সম্ভাবনাময় উজ্জ্বল নক্ষত্র। সব দিক বিবেচনা করে সরকার স্বাস্হ্য মন্ত্রনালয়ের মাধ্যমে ঔষধ বিক্রেতা বা ফার্মেসীদের জন্য তৈরী করেছেন নীতিমালা, গঠন করেছেন বিধিনিষেধ নিয়মনীতি আইন। বাড়ি নং ৪৫,রোড নং ৪, উত্তরা ১০ নং সেক্টরের মধ্যে অবস্থিত নরসিংদী ২ ঔষধ ফার্মেসী কোন নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে অবাদে বিক্রয় করছে বিভিন্ন প্রকার ঘুমের ঔষধ, কাশের সিরাপ বিনা প্রেসক্রিশনে। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় বিভিন্ন বয়সের যুবক'রা নরসিংদী ২ নামক ঔষধের দোকানে গিয়ে ১পাতা হতে ৫ পাতা পর্যন্ত ঘুমের ঔষধ কিনছে অনায়াসে,কোন প্রকার রেজিস্ট্রার্ড ডাক্তার কর্তৃক প্রেসক্রিপশন ছাড়াই।এভাবে যুব সমাজের হাতে প্রেসক্রিপশন ছাড়া ঘুমের ঔষধ বিক্রয় কতটা যৌক্তিক এমন প্রশ্ন এখন অনেক সচেতন নাগরিকের।মেয়াদোত্তীর্ন ঔষধও বিক্রয় করে বলে অনেকেই জানান। নাম প্রকাশ না করার সত্বে একজন ফার্মেসী কর্মী বলেন,কিছু ফার্মেসীর মালিক অধিক মুনাফা ও সেল বাড়ানোর জন্য কোন নিয়মনীতি না মেনেই বেপরোয়া ভাবে ঘুমের ঔষধ বিক্রি করছে প্রেসক্রিপশন ছাড়া,যা আসলে উচিত নয়।কারন ঘুমের ট্যাবলেট ও কাশির সিরাপ নেশা হিসেবে যুবক'রা সেবন করে। কতিপয় যুবক যে উক্ত ফার্মেসী থেকে প্রেসক্রিপশন ছাড়া মাইলাম,নকটিন,ট্রীপটিন,সর্বোচ্চ পাওয়ারের ঘুমের ঔষধ ক্রয় করেন প্রতিনিয়তই প্রেসক্রিপশন ছাড়া অকপটে শিকার করেছেন ক্যামেরার সামনে।এবিষয়ে উত্তরার ১০ নম্বর সেক্টরে অবস্হিত নরসিংদী ২ ঔষধ ফার্মেসী'র মালিক কামাল হোসেনের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি প্রেসক্রিপশন ছাড়া ঘুমের ঔষধ বিক্রয়ের বিষয়ে কোন কর্নপাত না করেই কোন মন্তব্য করবেন না বলে সাফ জানিয়ে দেন। তবে তার এমন দাম্ভিকতার উৎস খুজতে অনুসন্ধান চলমান।চোখ রাখুন ২ পর্বে।