
নিজস্ব প্রতিনিধি
১৮ এপ্রিল, ২০২২, 3:49 PM

পানির নিচে আধাপাকা ধান
কালনী ও মেঘনা নদীর পানি প্রবেশ করে হবিগঞ্জের লাখাই উপজেলায় তিনটি হাওরের শতাধিক হেক্টর বোরো ধানের জমি তলিয়ে গেছে। পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলে কৃষকের গোলায় ওঠার অপেক্ষায় থাকা ৩ হাজার হেক্টর জমির ফসল তলিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা করছে কৃষকরা। এই অনিশ্চয়তা থেকে কৃষকরা আধাপাকা ধান কাটা শুরু করেছে। লাখাই উপজেলার এক নম্বর লাখাই ইউনিয়নে অবস্থিত মেঘনা ও কালনী নদী সরাসরি হাওরর সঙ্গে যুক্ত।
ফসল রক্ষা বাঁধ না থাকায় গত দুই দিন ধরে নদীর পানি ব্যাপকহারে হাওরে প্রবেশ করছে। এতে ইউনিয়নটির শিবপুর, সুজনপুর ও বারচর হাওরের শতাধিক হেক্টর জমির আধাপাকা ধান পানির নিচে তলিয়ে গেছে। লাখাই উপজেলায় এ বছর বোরো ধানের আবাদ হয়েছে ১১ হাজার ২০০ হেক্টর। এর মধ্যে শুধু লাখাই ইউনিয়নে ৩ হাজার ৪০০ হেক্টর। কিছু জমিতে ব্রি-২৮ জাতের ধান প্রায় ৬০ শতাংশ পেকেছে। বাকি অধিকাংশ জমির ধান এখনো অর্ধেকও পাকেনি। হাওরগুলোতে ধানের শীষ এখন ডুবুডুবু অবস্থায়।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, ৭০ হেক্টর বোরো জমি পুরোপুরিভাবে তলিয়ে গেছে বলে অফিস থেকে তালিকা করা হয়েছে। আগামী দুই দিন এভাবে পানি বাড়লে কমপক্ষে আরো ৫০০ হেক্টর জমি তলিয়ে যাবে। হাওরের সঙ্গে নদী সরাসরি যুক্ত হওয়ায় বেশি পরিমাণ পানি প্রবেশ করছে। হাওরের কিছু ধান প্রায় ৬০ শতাংশ পেকেছে। অনেক স্থানে অর্ধেকও পাকেনি। অনেক কৃষক আধাপাকা প্রায় ৫০০ হেক্টর জমির ধান ঘরে তুলেছেন। এখনও বাকি ৩ হাজার হেক্টর জমি তলিয়ে যাওয়ার ঝুঁকিতে। তবে কিছু ধান কাঁচা থাকতেই কৃষকদের কাটার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। অনেক তা করছেনও।
লাখাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. শরীফ উদ্দিন বলেন, লাখাই ইউনিয়নের বোরো জমিগুলো তুলনামূলক নিচে। পরিদর্শনে দেখেছি, ধানগাছগুলো পানির নিচে তলিয়ে যায় যায় অবস্থায়। এ অবস্থায় দ্রুত ধান কাটার জন্য সকল কৃষককে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। হবিগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী মিনহাজ উদ্দিন আহমেদ শোভন জানান, হবিগঞ্জের নদনদীগুলো স্বাভাবিক অবস্থায় রয়েছে। হাওরগুলোও এখন নিরাপদ। তবে যে স্থান দিয়ে পানি প্রবেশ করছে সেটি অনেক নিচু এলাকা।
সূত্র : কালেরকন্ঠ