
নিজস্ব প্রতিনিধি
৩০ জানুয়ারি, ২০২২, 11:12 AM
পাকুন্দিয়ায় পানের বাণিজ্যিকভাবে আবাদ
কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলায় বাণিজ্যিকভাবে আবাদ হচ্ছে পানের। কারো একটি ভাল পানের বরজ থাকেল তার আর অন্য কোন আয়ের উৎসের দরকার পড়ে না। সারাদিন বরজের পরিচর্যা করে পান সংগ্রহ করে বাজারে বিক্রি করে বেশ ভালই আয় করতে পারেন। আর এই পান কেবল স্থানীয় বাাজরেই বিক্রি হয় না, দেশের বিভিন্ন জেলায়, এমনকি বিদেশেও যাচ্ছে। পাকুন্দিয়া উপজেলার প্রায় সব এলাকায় পানের বরজ থাকলেও বরাটিয়া, লক্ষিয়া, সৈয়দগাও এলাকায় উপজেলার সর্বাধিক পানের বরজ রয়েছে। এসব বরজ থেকে পান সংগ্রহ করে পান চাষীরা প্রতি শনি ও বুধবার সপ্তাহে দুইদিন ভোর সকালে পাকুন্দিয়া বাজারের পৌরসভার ভবনের সামনে পান বাজারে এনে পান বিক্রি করা হয়।
প্রতি হাটে লেনদেন হয় অন্তত ৪৯ থেকে ৫০ লাখ টাকার।সরজমিনে বুধবার ভোর সকালে পাকুন্দিয়া বাজারের দেখা যায় উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে কৃষক পান নিয়ে এসেছেন, তিন শতাধিক ক্রেতা ( ব্যাপারী) এসে পান কিনে নিয়ে যাচ্ছেন। কৃষক ও ক্ষুদ্র ব্যাবসায়ীরা জানান এবছর পানের দাম কিছুটা কম। নামা লক্ষিয়ার বরজ মালিক মো. জিন্নাত আলী জানান, তার বরজ থেকে নিয়মিত পান এই বাজারে পান নিয়ে আসেন। তিনি জানান, তার ১০০ শতাংশ জমিতে পানের বরজ করা হয়েছে। এর থেকে তিনি বছরে ১৫ লাখ টাকার পান বিক্রি করতে পারেন। পানের বরজে লাভ বেশি বলে তিনি এখন আর অন্য ফসল চাষাবাদ ছেড়ে দিয়েছেন। কেবল পানের বরজের যতœ আর পরিচর্যা নিয়েই পড়ে থাকেন। তিনি জানান, পানের বরজে ক্ষয়ক্ষতির মাত্রা খুবই কম। শিলাবৃষ্টি আর ছত্রাক জাতীয় রোগের প্রাদুর্ভাব না হলে পানের কোন ক্ষয়ক্ষতি হয় না। তবে বিভিন্ন কীটনাশক কোম্পানির ওষুধ রয়েছে। রোগবালাই হলে সেগুলি প্রয়োগ করলেই সেরে যায়। খুচরা ব্যবসায়ীরা জানালেন, তারা বর্তমানে বিভিন্ন আকার ও মানভেদে ৬০ টাকা থেকে ২৫০ টাকা বিড়া দরে পান বিক্রি করছেন।এলাকার উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা নাদিরা আক্তার বলেন, পাকুন্দিয়ায় পান চাষিদের সফলতা দেখে তাদের পরামর্শ দিয়ে থাকি। পাকুন্দিয়া উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. রফিকুল ইসলাম জানান, পাকুন্দিয়ার বিভিন্ন ইউনিয়নে এলাকার অসংখ্য চাষি পান চাষের মাধ্যমে স্বাবলম্বী হওয়ার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন, যা অন্য এলাকার চাষিদের জন্য অনুকরণীয়। বর্তমানে লাভবান ফসল হিসেবে পাকুন্দিয়ার পান সমাদৃত হওয়ায় প্রতি বছরই পান চাষির সংখ্যা বাড়ছে। কোনো কোনো গ্রামে পান উৎপাদনই তাদের প্রধান কৃষি কাজ।