
আরিফ প্রধান
১৫ ডিসেম্বর, ২০২১, 8:04 PM

নিজেকে জীবিত প্রমান করতে ধারে ধারে ঘুরছেন শ্রীপুরের জয়নাল, পেনশন উত্তোলন বন্ধ
জীবিত থেকেও মৃত হয়ে পেনশনের টাকা উত্তোলন করতে পারছেননা অবসর প্রাপ্ত সরকারি কর্মচারি গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার রাজাবাড়ি ইউনিয়নের নোয়াগাও গ্রামের সুরত আলীর সন্তান জয়নাল আবেদিন। নিজেকে জীবিত প্রমান করার জন্য বৃদ্ধ বয়সে মানুষের ধারে ধারে ঘুরছেন জয়নাল। তিনি প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনে ইউ এস এম পদে চাকুরী করতেন। চাকুরী শেষ করে ১৯৯৯ সাল থেকে ২০২০ সালের অক্টোবর মাসে শেষ পেনশনের টাকা উত্তোলন করেন। এর পরের মাস নভেম্বরের টাকা উত্তোলন করতে গিয়ে দেখেন তাকে মৃত দেখিয়েছে উপজেলা হিসাবরক্ষন অফিস।
এরপর থেকে আর পেনশনের টাকা উত্তোলন করতে পারছেননা। এর পর থেকে কাগজপত্র নিয়ে বিভিন্ন দফতর ও বিভিন্ন জনের কাছে ঘুড়তে ঘুড়তে ও ধরনা দিয়ে দিন কাটছে বৃদ্ধ জয়নালের। পরে অবশেষ তিনি চলতি বছরের ৩ অক্টোবর বিষয়টি সমাধানের জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। পেনশন বন্ধ হওয়ায় পরিবারের সদস্যদের নিয়ে খুবই কষ্টে দিন কাটছে তার। গত তিনমাস পূর্বে আবার নতুন করে কাগজপত্র দিলেও আশার আলো দেখতে পাচ্ছেননা জয়নাল আবেদিন। শ্রীপুর উপজেলা হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা মো. সেলিম হোসেন বলেন, ২০১৯ সালের মাঝামাঝি সময় থেকে এনালগ থেকে ডিজিটাল পদ্ধতিতে পেনশন উত্তোলনের জন্য ভুক্তভোগীদের চাহিদা সম্পন্ন কাগজপত্র জমা দিতে বলা হয়েছিলো। পাশাপাশি মাইকিং ও পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দেয়া হয়েছিলো। তারপরও যাঁরা কোন ধরনের যোগাযোগ, কাগজপত্র জমা দেয়নি, তাঁদের মৃত দেখিয়ে রিপোর্ট পাঠানো হয়েছে। তা-ই জয়নাল আবেদীনের পেনশন আটকে গেছে। ২০১৯ সালে ডিজিটাল পদ্ধতি পেনশন উত্তোলন কাজ শুরু করেন? এরপর ভুক্তভোগী জয়নাল আবেদীন তো ২০২০ সালের অক্টোবর মাসে পেনশন উত্তোলন করেছেন? তবে কি ধরনের কাগজপত্র আর যোগাযোগ করেননি? এসকল প্রশ্নের উত্তরে হিসাবরক্ষক কর্মকর্তা তেমন কোন সঠিক জবাব দিতে পারেননি। অপর এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, দ্রুত সঙ্গে মধ্যে ভুক্তভোগী জয়নাল আবেদীনের পেনশন উত্তোলনের ব্যবস্থা করা হবে। ইতিমধ্যে তাঁর ফাইল ঢাকায় হেড অফিসে পাঠানো হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো.তরিকুল ইসলাম জানান, এবিষয়ে খোঁজ খবর নিয়ে দ্রুত সময়ের মধ্যে আঁটকে থাকা পেনশন চালুর ব্যবস্থা নেয়া হবে।