ঢাকা ২৪ জুন, ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম
ঝালকাঠি-২ আসনে ইসরাত সুলতানা ইলেন ভুট্টো জনপ্রিয়তার শীর্ষে ইসরায়েলি হামলায় আইআরজিসির ১০ সদস্য নিহত ভোক্তা অধিদপ্তরের অভিযানে কলারোয়ায় দুই প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা যশোরে বাসচাপায় কলেজ শিক্ষার্থী নিহত নতুন বাংলাদেশ সৃষ্টিতে স্কাউটরা ইতিহাস সৃষ্টি করেছে: প্রধান উপদেষ্টা লাগাতার কর্মসূচি ঘোষণা এনবিআর কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ইরানের ৬ বিমানবন্দরে হামলা, ১৫ উড়োজাহাজ–হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত ইরানের দফায় দফায় হামলা, ইসরায়েলজুড়ে বিস্ফোরণ বরগুনায় বাংলাদেশ নৌবাহিনীর বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা প্রদান রাষ্ট্রপতিকে স্পিকারের শপথ পড়ানোর বিধান নিয়ে রুলের শুনানি ৭ জুলাই

থানচিতে ডায়রিয়ায় ২ জনের মৃত্যু

#

নিজস্ব প্রতিনিধি

১৩ জুন, ২০২২,  11:15 AM

news image

বান্দরবানে থানচি উপজেলার দুর্গম রেমাক্রী ইউনিয়নের মিয়ানমার-বাংলাদেশ সীমান্তের পাহাড়ি গ্রামে গত এক সপ্তাহে ডায়রিয়ার প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে। গত ৭ জুন থেকে ১১ জুনের মধ্যে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে ২ জন মারা গেছেন। তবে ওই এলাকা দুর্গম ও মোবাইল নেটওয়ার্ক না থাকার কারণে কতজন আক্রান্ত সেই বিষয়ে সঠিক তথ্য পাওয়া যাচ্ছেনা। ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়া ব্যক্তিরা হলেন, থানচি উপজেলার রেমাক্রী ইউপি ৬ নম্বর ওয়ার্ডের মেনতাং পাড়ার মেনতাং ম্রো (৪৮) এবং রেংহিং পাড়ার বাসিন্দা লংঙিং ম্রো (৫০)। ১ নম্বর রেমাক্রী ইউপি চেয়ারম্যান মুইশৈথুই মারমা রনি জানান, রেমাক্রী ইউনিয়নের ৬-৯ নম্বর ওয়ার্ডে ঙাঁরেসা পাড়া, ইয়াংরে পাড়া, ইয়াংব পাড়াসহ ৪-৫টা পাহাড়ি গ্রামে গত এক সপ্তাহ ধরে ডায়রিয়া প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে। জানা যায়,

বিশুদ্ধ পানির সংকটের কারণে পাহাড়ি ঝিরি-ঝর্ণার পানি পান করা ও পারিবারিক কাজে দুষিত পানি ব্যবহার করার কারণে উপজেলার ৪-৫ পাড়ার অর্ধশতাধিক মানুষ ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়েছেন। খবর পেয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ গত শুক্রবার একটি চিকিৎসক টিম পাঠালেও ডায়রিয়া নিয়ন্ত্রণে আনতে হিমশিম খাচ্ছে। তাছাড়া প্রয়োজনীয় ঔষধ, স্যালাইন অপ্রতুল বলে জানান স্থানীয়রা। থানচি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. ওয়াহিদুজ্জামান মুরাদ বলেন, গত কয়েকদিনে ডায়রিয়ায় দুই জন মারা গেছেন, তবে আক্রান্তের সংখ্যা জানা যায়নি, তবুও পর্যাপ্ত ঔষধ, স্যালাইন, পানি বিশুদ্ধ করার ট্যাবলেট, মশারি, ম্যালেরিয়া পরীক্ষা জন্য ডিভাইজ কীট, ম্যালেরিয়া সংক্রান্ত ঔষধ পাঠানো হচ্ছে দুর্গম গ্রামগুলোতে। তিনি বলেন, আমাদের স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মীরা ডায়রিয়া মোকাবিলার জন্য প্রস্তুত আছি, তবে দুর্গম এলাকা বা সীমান্ত অঞ্চল হওয়ায় আমাদের কর্মীদের চিকিৎসা সেবা দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। এদিকে বান্দরবানের সিভিল সার্জন ডা. নিহার রঞ্জন নন্দী জানান, দুর্গম এলাকা হওয়ায় অনেক সংবাদ  দেরীতে পাই, তবে সংবাদ আসা মাত্রই মেডিক্যাল টিম ওই এলাকায় স্বাস্থ্যসেবা জোরদার করে।

logo

সম্পাদক ও প্রকাশক : মো. নজরুল ইসলাম