
নিজস্ব প্রতিনিধি
২০ জানুয়ারি, ২০২২, 10:41 AM

তীব্র শীতে কাঁপছে উত্তরের জেলা পাবনার মানুষ
ছবি : সংগৃহীত
পাবনার মেরিল বাইপাস মোড়ে আবর্জনা জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন দুই ব্যক্তি মাঘের প্রথম সপ্তাহ থেকে পাবনা জেলায় হাড় কাঁপানো ঠান্ডা শুরু হয়েছে। দেশের উত্তরাঞ্চলে শৈত্যপ্রবাহ ও কুয়াশার কারণে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা স্থবির হয়ে পড়েছে। চার দিন ধরে জেলাজুড়ে বইছে শীতল হাওয়া। যার ফলে শ্রমজীবী মানুষ চরম বিড়ম্বনার সম্মুখীন হচ্ছেন। শিশু-বৃদ্ধরা শীতজনিত নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। ভোরের আলো উঠা শুরু করলেই ঘন কুয়াশায় ফিরে আসে যেন শীতের ছবি। শহরে গরম কাপড়ের দোকানে বেড়েছে মানুষের সমাগম। সকাল-সন্ধ্যা, শীতের পোশাকেও মানুষ কাঁপছে।
সন্ধ্যায় শহরে পোড়া কাগজের আগুনে হাত গরম করতে দেখা যায় লোকজনকে। রাত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে রাস্তায় নেমে আসে ঘন কুয়াশা। তিন দিনে পাবনায় এমন চিত্র দেখা যাচ্ছে। পাবনার ঈশ্বরদী আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ অফিসের পর্যবেক্ষণ মো. নাজমুল হক জানান, উত্তরাঞ্চলের ওপর দিয়ে শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। কয়েক দিন শীতের তীব্রতা বৃদ্ধি পেয়েছে। বিশেষ করে ঈশ্বরদীতে আলোর দেখা পাওয়াই কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। ঢাকা আবহাওয়া অফিসের বরাত দিয়ে তিনি জানান, আগামী কয়েক দিনে তাপমাত্রা আরও নিচে নেমে যাবে এবং শীতের তীব্রতা বাড়বে। গতকাল জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১০ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর আজ (বৃহস্পতিবার) সকালে তা ১০ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমে আসে। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, প্রচণ্ড ঠান্ডা বাতাস বয়ে যাওয়ায় জনসাধারণের স্বাভাবিক কাজকর্ম ব্যাহত হচ্ছে। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বৃদ্ধ, নারী ও শিশুরা। শীতবস্ত্র ও খাবারের সংকটে হাজার হাজার দরিদ্র মানুষ চরম দুর্ভোগে পড়েছেন। জেলাজুড়ে এক সপ্তাহ শৈত্যপ্রবাহ অব্যাহত থাকবে বলে মনে করছেন তারা। শীতের তীব্রতা ও ঘন কুয়াশায় সকালে কৃষকরা পেঁয়াজ, রসুন ও বিভিন্ন সবজিখেতের জমিতে পরিচর্যা করতে যেতে পারছেন না। যার জন্য পেঁয়াজসহ বিভিন্ন সবজি পরিচর্যার অভাবে জমিতে ফসল নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। ফলন বিপর্যয়ের শঙ্কায় দিন পার করছেন তারা।