
নিজস্ব প্রতিবেদক
১৮ এপ্রিল, ২০২২, 2:35 PM

ডিআইজি মিজানের সাজা বাড়াতে হাইকোর্টের রুল
ঘুষ লেনদেনের মামলায় তিন বছরের দণ্ডিত পুলিশের বরখাস্ত উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) মিজানুর রহমানের দণ্ড কেন বৃদ্ধি করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। দুদকের আবেদনের শুনানি নিয়ে সোমবার বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেছেন। আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান। গত ২৩ ফেব্রুয়ারি ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এর বিচারক শেখ নাজমুল আলম এ মামলায় রায় দেন। রায়ে দুদকের বরখাস্ত পরিচালক খন্দকার এনামুল বাছিরকে আট বছর ও পুলিশের বরখাস্ত উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) মিজানুর রহমানকে তিন বছর কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এছাড়া বাছিরকে ৮০ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। এর মধ্যে ঘুষ লেনদেনের অভিযোগে মিজানকে দণ্ডবিধির ১৬১ ধারায় ও বাছিরকে দণ্ডবিধির ১৬৫ (এ) ধারায় তিন বছর করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়। অপরদিকে মানি লন্ডারিং আইনের ৪ ধারায় বাছিরকে পাঁচ বছর কারাদণ্ড ও ৮০ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। বাছিরের দুটি দণ্ড একসঙ্গে চলবে বলে তাকে পাঁচ বছর দণ্ড ভোগ করতে হবে। এরপর দণ্ডের বিরুদ্ধে আপিল করেন মিজানুর রহমান ও খন্দকার এনামুল বাছির। এছাড়া মিজানুর রহমানকে অর্থ পাচার আইনে খালাসের বিরুদ্ধে ও আপিল করে দুদক। আইনজীবী খুরশীদ আলম খান বলেন, দণ্ড বিধি অনুসারে মিজানুর রহমানকে ৩ বছরের সাজা দিয়েছেন। কিন্তু দুর্নীতি দমন প্রতিরোধ আইনের ৫ (২) ধারায় তাকে সাজা দেওয়া হয়নি। এ ধারায় ৭ বছরের সাজা আছে। তাই দুদক সাজা বৃদ্ধি চেয়ে আবেদন করেছে। ৪০ লাখ টাকার ঘুষ কেলেঙ্কারির অভিযোগে ২০১৯ সালের ১৬ জুলাই দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১ এ দুদকের পরিচালক শেখ মো. ফানাফিল্লাহ বাদী হয়ে মামলাটি করেন।