
NL24 News
০১ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, 10:38 AM
জাহাঙ্গীর আলম মিয়ার চতুর্থ মৃত্যুবার্ষিকী
আহসানুল হক : আগামীকাল (২রা সেপ্টেম্বর) আলহাজ্ব জাহাঙ্গীর আলম মিয়ার চতুর্থ মৃত্যু বার্ষিকী। আজো যাকে ভোলেনি ভোলার মানুষ,, ১৯৫০ সালে ভোলা সদর উপজেলার জামিরালতা গ্রামে এক সম্ভ্রান্ত পরিবারে তার জন্ম। মরহুম আলহাজ্ব জাহাঙ্গীর আলম মিয়া ছিলেন সমাজসেবার এক জীবন্ত প্রতীক। তিনি ছিলেন এক নিবেদিতপ্রাণ মানুষ, যিনি নিরবে-নিভৃতে মানুষের কল্যাণে কাজ করে গেছেন আমৃত্যু। লোকচক্ষুর অন্তরালেই কাটিয়েছেন জীবন, কিন্তু তাঁর সেবামূলক কর্মকাণ্ড ছুঁয়ে গেছে হাজারো হৃদয়। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে শুরু করে ধর্মীয়, সামাজিক, অর্থনৈতিক ও ব্যবসায়িক অঙ্গনে—সবখানেই তিনি রেখেছেন বলিষ্ঠ নেতৃত্বের ছাপ। তিনি ছিলেন ভোলা পৌরসভার নির্বাচিত কাউন্সিলর, ভোলা জেলা জুয়েলার্স মালিক সমিতির আমরণ সভাপতি, জামিরালতা ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি, জেলা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি, ইটভাটা মালিক সমিতির দীর্ঘ সময় ধরে ছিলেন সভাপতি, ভোলা চেম্বার অব কমার্সের নির্বাচিত সভাপতি, টাউন কমিটি (বাংলা স্কুল) পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি, ঠিকাদার সমিতির দীর্ঘদিনের সভাপতি, ভোলা-লক্ষ্মীপুর ফেরি সার্ভিস বাস্তবায়নের রূপকার এবং প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি, জেলা কমিউনিটি পুলিশের প্রতিষ্ঠা কালীন সাধারণ সম্পাদক সহ আরও বহু প্রতিষ্ঠানের কর্ণধার ও সক্রিয় পথপ্রদর্শক। এই সবকিছুর পাশাপাশি তিনি ছিলেন একজন সৎ, আদর্শবান ও জনকল্যাণে নিবেদিতপ্রাণ। অর্থনৈতিক স্বচ্ছতা, কর্মনিষ্ঠা ও নিরহংকার জীবনের মাধ্যমে অর্জন করেছিলেন মানুষের অগাধ ভালোবাসা ও বিশ্বাস। সবসময় হাস্যোজ্জ্বল, বিনয়ী ও সহজ মানুষটি সমাজসেবার কঠিন বাস্তবতাকে কখনোই নিজের উপর ছাপ ফেলতে দেননি। “২০২১ সালের ২ সেপ্টেম্বর তিনি এই পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করে আল্লাহ্ ঢাকে সাড়া দেন, রেখে যান তাঁর কর্মময় জীবনের অগণিত উদাহরণ।”আজ তাঁর অনুপস্থিতি আমাদের হৃদয়ে এক অপূরণীয় শূন্যতা হয়ে আছে। আমরা প্রার্থনা করি, মহান আল্লাহ তাআলা যেন তাঁকে জান্নাতুল ফেরদৌসের সর্বোচ্চ মর্যাদা দান করেন আমিন।