
নিজস্ব প্রতিনিধি
২৯ ডিসেম্বর, ২০২১, 11:47 AM

চুয়াডাঙ্গা দুর্বৃত্তের গুলিতে বিজিবির ‘সোর্স’ নিহত
চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার নাস্তিপুরে দুর্বৃত্তের গুলিতে হযরত আলী (৫৫) নামে একজন নিহত হয়েছেন। মঙ্গলবার দিবাগত রাত পৌনে ৩ টার দিকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে তার মৃত্যু হয়। এর আগে রাত সাড়ে ১২টার দিকে নিজ ঘরে ঘুমন্ত অবস্থায় জানালা দিয়ে হযরত আলীকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে দুর্বৃত্তরা। গুলির শব্দ শুনে পরিবারের লোকজন ছুটে গিয়ে তাকে মাথায় গুলিবিদ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করে। পরে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নিলে পৌনে ৩টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। হযরত আলী দামুড়হুদা উপজেলার পারকৃষ্ণপুর-মদনা ইউনিয়নের নাস্তিপুর গ্রামের মৃত রহিছ উদ্দীনের ছেলে।
নিহতের ছেলে তৌফিক হোসেনের দাবি, তার বাবা বাংলাদেশ বর্ডার গার্ডের (বিজিবির) সোর্স বা লাইন ম্যান হিসেবে কাজ করতেন। তিনি একাধিক চোরাচালানের তথ্য বিজিবিকে দিয়েছেন। চোরাকারবারীরা তার বাবাকে হত্যা করেছে বলে মনে করছেন তিনি। এদিকে এই হত্যার ঘটনার সঙ্গে সম্প্রতি দর্শনা বিজিবির হাতে দুই দফায় স্বর্ণের চালান আটকের ঘটনার যোগসূত্র থাকতে পারে বলে ধারণা করছেন স্থানীয় অনেকে। নিহতের ছেলে তৌফিক বলেন, অন্যান্য দিনের মতো গতরাতেও আমরা ঘুমিয়ে ছিলাম। রাত আনুমানিক সাড়ে ১২টার দিকে বিকট শব্দে আমার ঘুম ভেঙে যায়। পরে পাশের কক্ষে বাবার গোঙরানির আওয়াজ শুনতে পেয়ে সেখানে গিয়ে দেখি বাবার মাথা থেকে প্রচুর রক্তক্ষরণ হচ্ছে। পরে বাবাকে দ্রুত উদ্ধার করে চাচাতো ভাইকে সঙ্গে নিয়ে মোটরসাইকেলে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নিই। রাত পৌনে ৩টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বাবার মৃত্যু হয়। চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. সোহরাব হোসেন বলেন, রাত ১টা ২০মিনিটের দিকে তাকে মুমূর্ষু অবস্থায় নিয়ে আসা হয়। তার মাথায় গুলি করা হয়েছে। রাত পৌনে ৩টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। দর্শনা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এএইচএম লুৎফুল কবীর বলেন, ঘুমন্ত অবস্থায় ঘরের জানালা দিয়ে হযরত আলীকে গুলি করেছে দুর্বৃত্তরা। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। খবর পেয়ে আমি ঘটনাস্থলে যাই। তিনি বিজিবির সোর্স ছিলেন। অভিযুক্তদের ধরতে পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে।