
নিজস্ব প্রতিনিধি
০৭ মার্চ, ২০২২, 2:54 PM

চান্দিনায় প্রতিটি দোকানেই বাড়তি দরেই বিক্রি হচ্ছে সয়াবিন তেল
দ্রব্যমূল্যের দাম বেশি হওয়ায় চরম ভোগান্তিতে ক্রেতারা। এখনো বাড়তি দরেই বিক্রি হচ্ছে ভোজ্যতেল। প্রতিলিটার বোতলজাত সয়াবিন ভোক্তাকে ১৮০ থেকে ২০০ টাকায় কিনতে হচ্ছে। পাশাপাশি পর্যাপ্ত তেল সরবরাহ থাকার পরও খুচরা বাজারে সর্বোচ্চ ২০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। এতে ক্রেতার বেশি টাকা খরচ করতে হচ্ছে। সোমবার নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে খোলা সয়াবিন কেজিতে ৪০ টাকা বেশি দরে বিক্রি করছে উপজেলার মাধাইয়া, চান্দিনা, নবাবপুর সহ গ্ৰাম অঞ্চলের ছোট খাট বাজার গুলোতে । এদিন কুমিল্লার চান্দিনা উপজেলার মাধাইয়া বাজারের মেসার্স হোসেন ষ্টোর, মামুন ষ্টোর, ফরহাদ ষ্টোর, এমরান ভেরাইটিজ ষ্টোর, উত্তম কুমার রায়, সন্তোষ সহ বেশ কয়েকটি নামের প্রতিষ্ঠানে খোলা সয়াবিন তেল কেজিতে ৪০ টাকা বেশি মূল্যে বিক্রি করতে দেখা যায়। সরকারের খোলা সয়াবিন তেলের বর্তমানে নির্ধারিত মূল্য ১৪৩ টাকা।
তবে তারা বিক্রি করেছে ১৮৫ থেকে ২০০ টাকায়। প্রতিষ্ঠানগুলো বেশি দামে কেন তেল বিক্রিয় করছেন জানতে চাইলে ব্যবসায়ীরা জানান, আমরা পাইকারী বাজার থেকে ১৮২ টাকায় কিনতে হচ্ছে তাই একটু বাড়তি দরেই বিক্রি করতে হচ্ছে আমাদের। একইসঙ্গে উপজেলার ছোট বড় বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে এমন চিত্র। তেল কিনতে আসা আমেনা বেগম নামে এক নারী ক্রেতা জানান, আমার স্বামী একজন দিনমজুর, দিন এনে দিন খাই, বাজারে দ্রব্যমূল্যের দাম যেভাবে বাড়ছে, তাতে করে ছেলে সন্তানদের কে নিয়ে, না খেয়ে মরা ছাড়া উপায় থাকবে না। কয়েকদিন আগে আমার বাবার বাড়ি থেকে কিছু গরুর মাংস পাঠিয়েছেন তেলের অভাবে এখন পর্যন্ত ছেলে সন্তানদের কে রেঁধে খাওয়াতে পারিনি। দাম বেশি হওয়ায় তেল না নিয়েই বাড়ি ফিরতে হচ্ছে। আমেনা বেগম এর মত অনেক ক্রেতাই অভিযোগ জানিয়েছেন, দাম নিয়ে অসন্তুষ্ট প্রকাশ করায় অনেক দোকানদার পর্যাপ্ত তেল সরবরাহ থাকা সত্বেও বিক্রয় করবেন না বলে তাড়িয়ে দিয়েছেন। পাশাপাশি পেঁয়াজ বিক্রি করছে ৫০-৫৫ টাকায়, রশুন বিক্রি করছেন ৪০-৪৫টাকায়, মিনকেট চাউলের প্রতি বস্তায় বারতি দরে ২৫০-৩০০টাকায় বিক্রি করছে। এবিষয়ে চান্দিনা উপজেলা (নির্বাহী অফিসার আশরাফুন নাহার), মুক্ত খবর কে জানান, ভোক্তা অধিকার এর সমন্বয় মিলিতভাবে অভিযান পরিচালনা করবেন বলে জানিয়েছেন। যদি কোনো ব্যবসায়ী অবৈধভাবে বেশি মুনাফার লোভে নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে বেশি দামে পণ্য বিক্রি করে তাহলে তার বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সোমবার (৭মার্চ) চান্দিনা উপজেলার খুচরা বিভিন্ন বাজারের বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, এ দিন খুচরা বাজারে খোলা সয়াবিন বিক্রি হয়নি। প্রতিলিটার বোতলজাত সয়াবিন ১৮০-২০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। পাশাপাশি হঠাৎ করেই অস্থির হয়েছে পেঁয়াজের বাজার। বিক্রেতারা বলছেন, খুচরা বাজারে প্রতিকেজি দেশি পেঁয়াজ ৫৫-৬০ টাকায় বিক্রি হয়েছে, যা একদিন আগেও ৪০-৪৫ টাকায় বিক্রি হয়েছে। দাম বাড়ার কারণ হিসাবে ইলিয়টগঞ্জ বাজারের খুচরা বিক্রেতা মো. মোঃ হাবিবুর রহমান মুক্ত খবর কে বলেন, পাইকারি মোকামে হঠাৎ করেই পেঁয়াজের দাম বাড়ানো হয়েছে। তাই বেশি দরে এনে বেশি দরে বিক্রি করতে হচ্ছে।