
নিজস্ব প্রতিনিধি
১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২২, 8:00 PM
গন্ডাদুলা সেতুপথে ভোগান্তির শেষ কোথায়
পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলার গন্ডাদুলা সেতু। যেটি উপজেলা শহরের সাথে রাঙ্গাবালী ইউনিয়নের দক্ষিণপ্রান্তের বসবাসরত মানুষের যোগাযোগ ব্যবস্থা দীর্ঘদিন ধরে সুষম করে যাচ্ছিল। কিন্তু সেই সেতুটি আজ পুনঃনির্মাণ বা সংস্করণের অভাবে ভেঙে পড়েছে। এতে যানবাহন চলাচলে বিঘ্নতা সৃষ্টি হয়েছে এবং চলাফেরা নিয়ে ভোগান্তিতে পড়েছে উক্ত সেতুগামী এলাকাবাসী। সরজমিনে গিযয়ে দেখা যায়, এলাকাবাসী চলাফেরার জন্য বিকল্প পথ সৃষ্টি লক্ষ্যে ভাঙ্গা সেতুটির পাশ দিয়ে নির্মাণ করেছে কাঠের সেতু। কিন্তু তাতে মিলছেনা যানবাহন চলাচলের নির্ভরতা। ফলে সম্ভব হচ্ছে না, উপজেলা শহর (বাহেরচর) থেকে গন্ডাদুলার পথ ধরে অতীতের ন্যায় নেতাবাজার, জুগির হাওলা, ঊন্নিশ নাম্বার, পুলঘাট, গঙ্গিপাড়া ও সামুদাবাদে যাওয়া-আসা। এদিকে সেতুর নিকটবর্তী থাকা গন্ডাদুলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এ লেখাপড়ারত শিশু-শিক্ষার্থীদের মা-বাবাদেরও রয়েছে অফুরন্ত অভিযোগ,
যা সেতু সংশ্লিষ্ট এলাকাবাসীর অভিযোগকে হার মানাবে! এলাকাবাসীর অভিযোগ যদিও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের উদাসীনতাকে ঘিরে, কিন্তু তাদের অভিযোগ শিশুর শিক্ষাব্যবস্থার নিরাপত্তা নিয়ে। এলজিইডি'র উপজেলা কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, ১৯৯৭ সালে বা তার কয়েকবছর আগে উপজেলার পশ্চিম নেতা ও গন্ডাদুলা গ্রামের মাঝখান দিয়ে বয়ে যাওয়া রুপাইর খালের ওপর নির্মাণ করা হয় সেতুটি। কিন্তু দুই যুগ ধরে যানবাহন চলাচলের কারণে সেতুটি আজ এবারের ভেঙ্গে পড়েছে। এবিষয়ে রাঙ্গাবালী সদর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মু. সাইদুজ্জামান মামুন খান বলেন, ‘গন্ডাদুলা সেতুটি ভেঙে পড়ায় মরণ ফাঁদ সৃষ্টি হয়েছে! ফলে সেতু সংশ্লিষ্ট এলাকাবাসীসহ শিশু-শিক্ষার্থীরাও ভোগান্তিতে পড়েছে। ইতিমধ্যে ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে এবিষয়ে অবহিত করা হয়েছে। আশা করি, তারা খুব দ্রুতই বিষয়টি আমলে নিবেন।’ এবিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে উপজেলা এলজিইডি প্রকৌশলী মিজানুল কবির জানান, ‘সেতুটি পুনঃনির্মাণের জন্য ২০২১-২২ অর্থবছরের আওতায় সুপার বিজ প্রজেক্টে সেতুটি অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে এবং ইতিমধ্যে সংশ্লিষ্ট স্থানে কাগজপত্র পাঠানো হয়েছে। আশা করি, খুব শীঘ্রই এর সমাধান মিলবে।’