
নিজস্ব প্রতিবেদক
১৪ আগস্ট, ২০২২, 9:09 PM
খোলাবাজারে কমলো ডলারের দাম
টানা দাপট দেখাতে থাকা ডলার অবশেষে নিস্তেজ হতে শুরু করেছে। রবিবার (১৪ আগস্ট) খোলা বাজারে নগদ ডলারের দাম ১১২ থেকে ১১৪ টাকায় নেমে এসেছে। গত বৃহস্পতিবারও এক ডলার কিনতে গ্রাহকদের গুনতে হয়েছিল ১২০ টাকা পর্যন্ত। অর্থাৎ তিন দিনেরই ডলারের দাম কমলো ৬ থেকে ৮ টাকা। ডলারের সংকট কাটাতে নানা শর্ত আরোপ করেছিল কেন্দ্রীয় ব্যাংক। যার সুফল আসতে শুরু করেছে। কমেছে আমদানির এলসি খোলার পরিমাণও। যার প্রভাবে কমতে শুরু করেছে ডলারের দাম।মতিঝিলের খুচরা ডলার বিক্রেতারা বলছেন, ডলারের বাজার কমতির দিকে। ১১৫ টাকায় দিন শুরু করলেও বিকালে কিনতে হচ্ছে ১১১ টাকায়। মানি এক্সচেঞ্জ কর্মকর্তারা জানান, ডলারের দর অনেক পড়ে গেছে। কেউ বিক্রি করতে আসলে ১১০ টাকা ৫০ পয়সা ধরে কিনছি। আর ১১২ টাকা ৫০ পয়সা থেকে ১১৩ টাকায় বিক্রি করছি। অন্য উপায়ে হাঁটা যাচ্ছে না। বাজারে বাংলাদেশ ব্যাংকসহ বিভিন্ন আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর লোকজন হঠাৎ হঠাৎ অভিযান চালাচ্ছে।
এদিকে আমদানি ব্যয় অস্বাভাবিক বৃদ্ধি পাওয়ায় বড় অংকের বাণিজ্য ঘাটতিতে পড়েছে বাংলাদেশ। দেখা দিয়েছে ডলারের তীব্র সংকট। কমেছে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ। এমন পরিস্থিতিতে আমদানির লাগাম টানতে নানা শর্ত আরোপ করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। আন্তঃব্যাংক মুদ্রাবাজারে প্রতি ডলারে কিনতে খরচ করতে হচ্ছে ৯৫ টাকা। নিয়ম অনুযায়ী এটাই ডলারের আনুষ্ঠানিক দর। চলতি বছরের মে মাসের শুরুর দিকে এ দর ছিল ৮৬ টাকা ৪৫ পয়সা। এ হিসাবে দেড় মাসের ব্যবধানে টাকার মান কমেছে ৮ টাকা ৫৫ পয়সা। তবে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোতেও এখন ১০৬ থেকে ১০৮ টাকায় নগদ ডলার বিক্রি হচ্ছে। আর খোলা বাজারে ডলারের দাম ১১৫ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে। এর আগে দেশে খোলা বাজারে ডলারের দাম প্রথমবারের মতো ১০০ টাকার ঘর পেরিয়ে যায় গত ১৭ মে। উল্লেখ্য, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে বিশ্ববাজারে পণ্যমূল্য অনেক বেড়ে গেছে। ফলে গত কয়েক মাস ধরে আমদানি ব্যয়ে বাড়তি চাপ তৈরি হয়েছে। বৈদেশিক মুদ্রার সরবরাহ ঠিক রাখতে প্রচুর ডলার বিক্রি করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। ১২ আগস্ট পর্যন্ত রিজার্ভ ছিল ৩৯ দশমিক ৫৯ বিলিয়ন ডলার।