
NL24 News
০১ জুন, ২০২৫, 1:22 PM
উখিয়ায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ১২৫০ শিক্ষকের চাকরি চলে গেল হঠাৎ, প্রতিবাদ বিক্ষোভ স্থানীয়রা
উখিয়া প্রতিনিধি: কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফের রোহিঙ্গা ক্যাম্পে এনজিও পরিচালিত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো থেকে স্থানীয় ১২৫০ জন শিক্ষককে হঠাৎ চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। এর প্রতিবাদে বিক্ষোভ করেছেন ভুক্তভোগীরা। শনিবার (৩১ মে) দুপুরে উখিয়া কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার চত্বরে এ বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। বিক্ষোভে অংশগ্রহণকারী শিক্ষকরা জানান, ব্র্যাক, কোডেক, ফ্রেন্ডশিপ, মুক্তি, কোস্ট ফাউন্ডেশন ও জেসিএফ–এর মতো বিভিন্ন এনজিও সংস্থা রোহিঙ্গা শিশুদের জন্য পরিচালিত স্কুলগুলোতে স্থানীয় ও রোহিঙ্গা উভয় সম্প্রদায়ের শিক্ষক নিয়োগ দিয়েছিল। তবে হঠাৎ করে ‘অর্থ সংকটের’ কথা বলে শুধু স্থানীয় ১২৫০ জন শিক্ষককে চাকরিচ্যুত করা হয়, যেখানে রোহিঙ্গা শিক্ষকরা বহাল থাকেন। অভিযোগ রয়েছে, আরও প্রায় ৩ হাজার শিক্ষকদের ছাঁটাই করার প্রস্তুতি চলছে। ভুক্তভোগী শিক্ষক মোহাম্মদ শামীম হোসেন বলেন, রোহিঙ্গা শিক্ষকরা যদি কাজ করতে পারে, তাহলে আমরা কেন পারবো না। অথচ শুধু আমাদেরই চাকরিচ্যুত করা হলো। এ বৈষম্যমূলক সিদ্ধান্ত আমরা কখনোও মেনে নেব"না।’ আন্দোলন কারীরা ২৪ ঘণ্টার মধ্যে চাকরি পুনর্বহালের দাবি জানিয়েছেন। যদি না হয়" তারা এনজিও সংস্থার যানবাহন চলাচলে বাধা এবং উখিয়া ও টেকনাফে এনজিওগুলোর সব কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়ার হুঁশিয়ারি ঘোষণা দে।
উখিয়া উপজেলা কৃষকদলের সদস্য সচিব
সাদমান জামি চৌধুরী বলেন! আজ বাস্তবতা কী?
বেতন বাড়ানো তো দূরের কথা—এখন স্থানীয় শিক্ষকদেরই ছাঁটাইয়ের পাঁয়তারা চলছে!
সেই চাকরি দেওয়া হচ্ছে সুবিধাবাদী, বহিরাগত 'নন-হোস্ট'দের।
উখিয়া উপজেলার জামাতের আমীর মাওলানা আবুল ফজল জানান তহবিল সংকটের অজুহাত দেখিয়ে হোস্ট কমিউনিটির চার হাজার শিক্ষককে চাকরি থেকে ছাটাই করার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে জোর প্রতিবাদ জানাচ্ছি। রোহিঙ্গা ক্যাম্পের চাকরির ক্ষেত্রে সর্বাবস্থায় স্থানীয়দের কে অগ্রাধিকার দেওয়ার দাবি জানান তিনি। এবিষয়ে উখিয়া উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান সওয়ার জাহান চৌধুরী বলেন, তহবিল সংকট থাকলে স্থানীয়দের বাদ দিয়ে রোহিঙ্গাদের জন্য শিক্ষা কার্যক্রম চালানো যৌক্তিক নয়। বরং শিক্ষা প্রকল্পই বন্ধ করে দেওয়া উচিত।’ উখিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ কামরুল ইসলামের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ না করায় কথা বলা সংযোগ হয়নি। এদিকে, শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মিজানুর রহমান জানিয়েছেন, অর্থ সংকটের কারণে শিক্ষা প্রকল্প বন্ধ হয়ে যেতে পারে। রবিবার (১ জুন) ইউনিসেফের সঙ্গে এ বিষয়ে একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।