ঢাকা ১৯ জুন, ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম
সাতক্ষীরা সীমান্ত দিয়ে ৬ জনকে পুশইন করেছে বিএসএফ ৫ আগস্ট সরকারি ছুটির ঘোষণা আসছে ২৫৩ জনের গুমের অভিযোগের প্রমাণ পেয়েছে কমিশন প্রবাসীরা ফেরার সময় শুল্ক ছাড়াই আনতে পারবেন যে ১৯ পণ্য বাংলাদেশকে দুই প্রকল্পে ৬৪০ মিলিয়ন ডলার দিচ্ছে বিশ্বব্যাংক আসছে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় ‘এরিক’ ইসরায়েল-ইরান সংঘাত: জরুরি বৈঠক ডেকেছে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ সাবেক প্রতিমন্ত্রী শামসুল আলম গ্রেপ্তার বিএনপির রাষ্ট্র মেরামতের ৩১ দফা প্রচারে লিফলেট বিতরণ ইসলামপুরে শরীর সুস্থ রাখতে কাঁঠালের উপকারিতা

আর্থিক প্রতিষ্ঠানে লুটপাট বন্ধে হাইকোর্টে ৯ দফা সুপারিশ

#

নিজস্ব প্রতিবেদক

০৭ জানুয়ারি, ২০২৩,  5:03 PM

news image

বাংলাদেশ ইন্ডাস্ট্রিয়াল ফাইন্যান্স কোম্পানি লিমিটেড (বিআইএফসি) থেকে নামে-বেনামে ঋণের মাধ্যমে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার বিষয়ে ৯ দফা সুপারিশ করে হাইকোর্টে প্রতিবেদন দাখিল করা হয়েছে। হাইকোর্টের নির্দেশে গঠিত বাংলাদেশ ব্যাংকের উচ্চ পর্যায়ের ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি এ প্রতিবেদন দাখিল করেছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের আইনজীবী ব্যারিস্টার খান মোহাম্মদ শামীম আজিজ এ প্রতিবেদন দাখিল করেন। প্রতিবেদনে বিআইএফসির মতো অন্যান্য আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোতে লুটপাট বন্ধ ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর সচ্ছতা নিশ্চিত করতে ৯ দফা সুপারিশ করা হয়েছে।

সুপারিশগুলো হলো-

১. বিআইএফসিতে সব অনিয়ম ও অবৈধ কর্মকাণ্ডের জন্য দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

২. নন-ব্যাংকিং আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট বজায় রাখতে ও পাবলিক মানির ঝুঁকিবৃদ্ধি বন্ধে আন্তব্যাংক লেনদেন কার্যক্রম পরিচালনা পুরোপুরি পরিহার করার ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

৩. আর্থিক প্রতিষ্ঠান আইন ১৯৯৩-এর ১৮ ধারার বিধান মতে উল্লিখিত আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর-

(ক) নেওয়া আমানতের প্রদেয় সুদের সব্বোর্চ হার;

(খ) কার কাছ থেকে কত ঋণ গৃহীত হবে তার সর্বোচ্চ পরিমাণ;

(গ) প্রদত্ত ঋণ পরিশোধের সর্বোচ্চ সময় সীমা;

(ঘ) প্রদত্ত বিভিন্ন শ্রেণীর ঋণের সুদের সর্বোচ্চ হার ও হিসাব পদ্ধতি;

(ঙ) ঋণ দেওয়ার সবোর্চ্চ সীমা;

(চ) বাংলাদেশ ব্যাংকে রক্ষিত রিজার্ভ এবং

(ছ) আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর দায় পরিশোধের সক্ষমতার মতো যৌক্তিক পর্যায়ে ইক্যুইটি উন্নীত করাসহ জনস্বার্থে মুদ্রানীতির উন্নতি বিধানকল্পে অন্যান্য বিষয় নিয়ন্ত্রণে বাংলাদেশ ব্যাংককে অবিলম্বে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

৪. আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর সুষ্ঠু তদারকির জন্য নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থা বাংলাদেশ ব্যাংক, আরজেএসসি, বিএসইসির মধ্যে কার্যকর সমন্বয় জোরদার করতে হবে।

৫. আর্থিক প্রতিষ্ঠানের পরিচালক পর্ষদে পরিচালক নিয়োগের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন অথবা অনাপত্তি গ্রহণে শর্তারোপ করা প্রয়োজন।

৬. বহির্নিরীক্ষক ফার্মের জরিমানা কিংবা দণ্ড হওয়া মাত্রই সংশ্লিষ্ট ফার্মকে আর্থিক প্রতিষ্ঠানের নিরীক্ষা কার্যক্রম পরিচালনার যোগ্য ফার্মের তালিকা থেকে বাদ দিতে হবে।

৭. বাংলাদেশ ব্যাংকের নথি ব্যবস্থাপনা ও সংরক্ষণ আধুনিকায়ন করতে হবে। এ জন্য নথির নোটাংশ, পত্রাংশ ও অনুচ্ছেদে নাম্বারিং করতে হবে। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাকে চিহ্নিত করার সুবিধার্থে নথির নোট উপস্থাপনকারী হতে অনুমোদনকারী পর্যন্ত প্রত্যেককে স্বাক্ষরের সঙ্গে তার নামের সিল ব্যবহার বাধ্যতামূলক করতে হবে।

৮. আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর ওপর কার্যকর তদারকি রাখার জন্য আর্থিক প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন বিভাগ এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও বাজার বিভাগের মধ্যে কার্যকর আন্তঃবিভাগীয় সমন্বয় গড়ে তুলতে হবে।

৯. প্রতিবছর ভিজিলেন্স, অফসাইট সুপারভিশন ও মনিটরিংয়ে প্রাপ্ত তথ্য বিশ্লেষণে ঝুঁকি বিবেচনায় সংশ্লিষ্ট আর্থিক প্রতিষ্ঠানে বিশেষ পরিদর্শন কার্যক্রম পরিচালনার ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। অবশিষ্ট আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে দৈবচয়নের ভিত্তিতে প্রতিবছর কমপক্ষে একটিতে বিশেষ পরিদর্শন করতে হবে।

logo

সম্পাদক ও প্রকাশক : মো. নজরুল ইসলাম