ঢাকা ২০ জুন, ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম
এ পর্যন্ত দেশে ফিরেছেন ৩৬ হাজার ৬০১ হাজি জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের ১৮ সুপারিশ দ্রুত বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত এশিয়া কাপ আর্চারিতে সোনা জিতলেন বাংলাদেশের আলিফ পরমাণু ইস্যুতে ‘রেড লাইন’ স্পষ্ট করল ইরান সাতক্ষীরা সীমান্ত দিয়ে ৬ জনকে পুশইন করেছে বিএসএফ ৫ আগস্ট সরকারি ছুটির ঘোষণা আসছে ২৫৩ জনের গুমের অভিযোগের প্রমাণ পেয়েছে কমিশন প্রবাসীরা ফেরার সময় শুল্ক ছাড়াই আনতে পারবেন যে ১৯ পণ্য বাংলাদেশকে দুই প্রকল্পে ৬৪০ মিলিয়ন ডলার দিচ্ছে বিশ্বব্যাংক আসছে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় ‘এরিক’

আধুনিকতার ছোঁয়ায় বিলুপ্ত প্রায় চন্দনাইশের মৃৎশিল্প

#

নিজস্ব প্রতিনিধি

২৩ জানুয়ারি, ২০২২,  3:16 PM

news image

চট্টগ্রামের চন্দনাইশের ঐতিহ্য মৃৎশিল্প এখন মৃতপ্রায়। প্রযুক্তি ও  আধুনিকতার ছোঁয়ায় হারিয়ে যাচ্ছে গ্রাম- বাংলার ঐতিহ্য চনদনাইশের মৃৎ শিল্প। প্লাষ্টিক ও এ‍্যালুমিনিয়াম এর দাপটে ধরাশায়ী চন্দনাইশের কুলালপাড়ার এই ঐতিহ্যবাহী মৃৎশিল্প। এক সময়  শীতের আগমনের সাথে সাথে উপজেলার উত্তর জোয়ারা কুলাল পাড়ায় ব‍্যস্হতার মাঝে দিন কাটাত  মাটির তৈরী জিনিস পত্রের তৈরীতে এই এলাকার মৃৎশিল্পীরা । মানুষের ঘরে ঘরে নিত্য প্রয়োজনীয় ব্যবহারিক কাজ কর্মে মাটির তৈরী জিনিসপত্র  থালা ,বাসন, হাঁড়ি পাতিল,বাটি ,মাটির ব্যাংক ইত্যাদি ব্যবহার করা হতো।

এক সময় রাজা বাদশা বা জমিদারের বাড়িতে শোভা পেত মাটির তৈরী এইসব জিনিসের। কিন্তু এখন আর সেই দিন নেই কোথাও চোখে পড়ে না মাটির তৈরী জিনিস পত্রের। কালের বিবর্তনে  প্রযুক্তি ও বিজ্ঞানের আধুনিকতার ছোঁয়ায় প্লাস্টিকের জিনিসের কাছে মার খেয়ে হারিয়ে যেতে বসেছে এসব মৃৎশিল্প। চন্দনাইশ উপজেলার উত্তর জোয়ারা কুলাল পাড়া মৃৎ শিল্পের ইতিহাস প্রায় দুই শত বছরের। এককালে এ এলাকার মাটির তৈরী জিনিস পত্রের যথেষ্ট কদর ছিল। স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে দেশের বিভিন্ন এলাকার হাট বাজারে বিক্রি করা হতো মাটির তৈরী  জিনিস পত্র। সুন্দরভাবে চলত কুমারদের সংসার। সরেজমিনে দেখা গেছে- নেই আগের সেই পরিবারগুলো--মাত্র  গুটি কয়েকটি পরিবার মাটির  জিনিসপত্র তৈরী করছেন। উত্তর জোয়ারা ছৈয়দ আমির কুলাল পাড়ার আবুল কালাম বলেন, এ পেশায় এখন আগের মতো কোন লাভ নেই। প্লাস্টিকের আসবাব পত্রের কারণে বাজারে এক ধরনের অসহায় অধিকাংশ মৃৎশিল্পী এখন বেকার হয়ে পড়েছে।

অভাবের তাড়নায় অনেকেই  অন্য পেশায় নিয়োজিত হয়েছেন। কুলাল পাড়ার মৃৎশিল্পী পেয়ার আহমদ আক্ষেপ করে বলেন, অন্য কোন কাজ না জানায় বাপ-দাদার জাতপেশাকে আকঁড়ে ধরে আছেন তিনি এর মাঝে ও  পরিবারের খরচ যোগান দিতে বাসের হেল্পার হিসেবে পার্ট টাইম চাকরি করেন। এতে পরিবার পরিজন নিয়ে  কোন রকমে তার সংসার চলছে। মৃৎশিল্পী  হালিমা খাতুন বলেন দীর্ঘ ৬৫ বছর ধরে এ কাজ করে যাচ্ছি। কেউ কুলাল পাড়ার মৃৎশিল্পীদের খোঁজ খবর নিচ্ছে না।  সরকার যদি আমাদের মাটির কাজকে  প্রাধান্য দিয়ে মাটির তৈরী জিনিসের দাম বাড়িয়ে এ খাতে বরাদ্দের ব‍্যবস্হা করেন তা হলে গ্রাম- বাংলার ঐতিহ্য মৃৎশিল্পকে টিকিয়ে রাখা সম্ভব হবে। এতে  বেকারত্ব কমে আসত হতো যুবকদের কর্মসংস্থান। চন্দনাইশ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাদিয়া ইসলাম বলেন, বর্তমান সরকার জনবান্ধব সরকার। এলাকার উন্নয়নে সরকার বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করে আসছে। এসব মৃৎশিল্পীরা এগিয়ে আসলে তাদের জন‍্য প্রযোজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে বলে জানান তিনি ।

logo

সম্পাদক ও প্রকাশক : মো. নজরুল ইসলাম