
নিজস্ব প্রতিবেদক
১৯ মে, ২০২২, 4:22 PM

আগামীকাল থেকে সারাদেশে ভোটার তালিকা হালনাগাদ শুরু
আগামীকাল শুরু হচ্ছে সারাদেশে ভোটার তালিকা হালনাগাদের কাজ। সারাদেশে চার ধাপে এ কাজ শেষ করা হবে। প্রথম ধাপে ৯ই জুন পর্যন্ত ১৪০টি উপজেলা এবং থানায় তথ্য সংগ্রহ করা হবে। এ সময়ে নির্বাচন কমিশনের তথ্য সংগ্রহকারীরা বাড়ি বাড়ি যাবেন। রোহিঙ্গারা যাতে ভোটার হতে না পারেন সেজন্য কমিশনের বিশেষ নজরদারিতে থাকবে রোহিঙ্গা অধ্যুষিত এলাকা। করোনা মহামারির কারণে দুই বছর বন্ধ ছিল বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটার তালিকা হালনাগাদ করার কাজ। ফলে মানুষ জাতীয় পরিচয়পত্রের জন্য ভিড় করেছে নির্বাচন কমিশনের অফিসগুলোতে।
ভোগান্তিও পোহাতে হয়েছে তাদের। করোনার সংক্রমণ কমে যাওয়ায় আবারও ভোটার তালিকা হালনাগাদ করার কাজে হাত দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। শুক্রবার সিইসিসহ চার কমিশনার বিভিন্ন অঞ্চলে গিয়ে এই কার্যক্রমের উদ্বোধন করবেন। এবার হালনাগাদের সময় দুই বছরের আগাম তথ্যসহ মোট তিন বছরের তথ্য নেয়া হবে। যাদের জন্ম ২০০৭ সালের ১লা জানুয়ারি বা তার আগে তাদের তথ্য সংগ্রহ করা হবে। এছাড়া আগের তালিকায় যারা বাদ পড়েছেন তাদের নিবন্ধনের জন্যও তথ্য সংগ্রহ করা হবে। নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আহসান হাবীব খান বলেন, প্রথম ধাপে ১৪০টি থানা এবং উপজেলায় এই কার্যক্রম শুরু হবে। পর্যায়ক্রমে এই কার্যক্রম অন্যান্য থানা উপজেলাতেও চলতে থাকবে।
ভোটার তালিকায় নাম তুলতে লাগবে-
১. ১৭ ডিজিটের অনলাইন জন্ম নিবন্ধন সনদ।
২. শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদ।
৩. বাবা-মায়ের জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি।
৪. বিদ্যুৎ, গ্যাস কিংবা পানির বিলের কপি।
বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটারের তথ্য নেওয়ার পর সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে নির্দিষ্ট কেন্দ্রে গিয়ে বায়োমেট্রিক ডাটা বা আঙুলের ছাপ, চোখের আইরিশ ও ছবি তুলতে হবে। এছাড়া ভোটারের নাম বাদ দেওয়া হবে তালিকা থেকে। রোহিঙ্গারা যাতে ভোটার তালিকাভুক্ত হতে না পারে সেজন্য চট্টগ্রাম অঞ্চলের ৩২টি বিশেষ এলাকার জন্য বিশেষ কমিটির মাধ্যমে নিবন্ধন যাচাই-বাছাই করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন। কমিশন বলছে, বয়স ১৮ না হলেও জাতীয় পরিচয়পত্র দেওয়া হবে। আর বয়স ১৮ বছর হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভোটার তালিকায় তাদের নাম যুক্ত হয়ে যাবে। আগামী ২০শে নভেম্বর পর্যন্ত চলবে ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রম।