ঢাকা ১৯ জুন, ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম
সাতক্ষীরা সীমান্ত দিয়ে ৬ জনকে পুশইন করেছে বিএসএফ ৫ আগস্ট সরকারি ছুটির ঘোষণা আসছে ২৫৩ জনের গুমের অভিযোগের প্রমাণ পেয়েছে কমিশন প্রবাসীরা ফেরার সময় শুল্ক ছাড়াই আনতে পারবেন যে ১৯ পণ্য বাংলাদেশকে দুই প্রকল্পে ৬৪০ মিলিয়ন ডলার দিচ্ছে বিশ্বব্যাংক আসছে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় ‘এরিক’ ইসরায়েল-ইরান সংঘাত: জরুরি বৈঠক ডেকেছে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ সাবেক প্রতিমন্ত্রী শামসুল আলম গ্রেপ্তার বিএনপির রাষ্ট্র মেরামতের ৩১ দফা প্রচারে লিফলেট বিতরণ ইসলামপুরে শরীর সুস্থ রাখতে কাঁঠালের উপকারিতা

আওয়ামী লীগ নির্বাচন ব্যবস্থা পুরোপুরি ধ্বংস করে দিয়েছে : মির্জা ফখরুল

#

নিজস্ব প্রতিবেদক

১৭ জুলাই, ২০২২,  4:37 PM

news image

দলীয় সরকারের অধীনে কোনো গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হতে পারে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বাংলাদেশের নির্বাচন ব্যবস্থা আওয়ামী লীগ পুরোপুরিভাবে ধ্বংস করে দিয়েছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি। গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে আজ রোববার সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন মির্জা ফখরুল। ফখরুল বলেন, ‘দেশে গণতন্ত্র নেই। নির্বাচন হচ্ছে গণতন্ত্রের প্রধান মাধ্যম। বাংলাদেশের নির্বাচন ব্যবস্থা আওয়ামী লীগ পুরোপুরিভাবে ধ্বংস করে দিয়েছে। অথচ এ দলটি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের জন্য আন্দোলন করেছে। তখন আমরাও বুঝতে পেরেছি যে, এ তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা নির্বাচনের জন্য সবচেয়ে জরুরি।

২০০৮ সালের পর আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে আদালতের মাধ্যমে সিস্টেমেটিকভাবে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা থেকে সরে এসেছে।’বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘এক দিনের মধ্যেই শেখ হাসিনা আদালতের রায়ের কথা বলে দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের জন্য সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন। উদ্দেশ্য—তারা চিরকাল ক্ষমতায় থাকতে চায়। তবে, এটাও সত্য কথা, দলীয় সরকারের অধীনে পৃথিবীর অনেক দেশেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। কিন্তু, সেখানে গণতান্ত্রিক পরিবেশটাও বুঝতে হবে।’ মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমাদের দেশে একটি রাজনৈতিক দলের প্রতি অপর একটি রাজনৈতিক দল বিশ্বাস করে না। আওয়ামী লীগ বিগত নির্বাচনে এটাই প্রমাণ করেছে যে, দলীয় সরকারের অধীনে কোনো গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হতে পারে না। এমনকি স্থানীয় সরকার নির্বাচনগুলোতেও তারা জোর করে কেড়ে নিয়েছে।’ নির্বাচন কমিশনের সংলাপ প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘অতীতে নির্বাচন কমিশন গঠনের ক্ষেত্রে রাষ্ট্রপতির আহ্বানে সাড়া দিয়ে আমরা দলের পক্ষ থেকে একটি প্রস্তাব দিয়েছিলাম। আমরা আশা করেছিলাম, তারা যথাযথ পদক্ষেপ নেবে। কিন্তু, কিছুই নেয়নি। এবারও একই পদ্ধতিতে একইভাবে নির্বাচন কমিশন গঠন করা হয়েছে।’বিএনপির এ নেতা বলেন, ‘আমাদের অভিজ্ঞতা হচ্ছে, সরকার যদি আওয়ামী লীগ থাকে, তাহলে যে নির্বাচন কমিশনই দেন না কেন, সে কমিশন কখনোই একটি নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করতে পারবে না। ২০১৪ সালে আমরা নির্বাচন বয়কট করেছি। ১৮ সালে গিয়েছি এ প্রত্যাশায় যে, হয়তো প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া প্রতিশ্রুতি তিনি রক্ষা করবেন। কিন্তু, দেখা গেল দিনের ভোট আগের দিন রাতেই কেটে রাখা হয়েছে। এসব বিবেচনায় আপনারা (সাংবাদিক) কী করে আশা করেন, আমরা নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে সংলাপে যাব, আলোচনা করব, কথা বলব? কী করে তারা (নির্বাচন কমিশন)? তারা কিছুই করে না, তাদের কিছু করার ক্ষমতাই নেই।’ বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘এ দেশের মানুষ চায় না এ সরকার এবং এ নির্বাচন কমিশনের অধীনে কোনো নির্বাচন হোক। তাই, আমরা সংলাপ-আলোচনা-ইভিএম কোনো কিছুতেই কোনো কমেন্ট করছি না। আমরা যদি এ সরকারকে বিদায় করতে না পারি, তাহলে এ নির্বাচন কমিশনের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন হতে পারে না।’ মির্জা ফখরুল বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন যতো কথাই বলুক, প্রশ্নটা হচ্ছে নির্বাচনকালীন সরকার ব্যবস্থা নিয়ে। সে সময় সরকার যদি ওরা (আওয়ামী লীগ) থাকে, এবং শেখ হাসিনা যদি প্রধানমন্ত্রী থাকেন, তাহলে নির্বাচন সুষ্ঠু হবে না, যা আমরা অতীতে দেখেছি।’ এ নির্বাচন কমিশন সরে গেলে নির্বাচন সুষ্ঠু হবে কিনা কিংবা নির্বাচন কমিশনের পদত্যাগ দাবি করছেন কিনা—এমন প্রশ্নের জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘সরকার যদি আওয়ামী লীগ থাকে এবং প্রধানমন্ত্রী যদি শেখ হাসিনাই থাকেন, তাহলে এ নির্বাচন কমিশন গেলেই কি আর না গেলেই কি?’ এ সময় নড়াইলে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের ওপর হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান মির্জা ফখরুল। সাম্প্রদায়িকতা কোনোমতেই কাম্য নয় বলে মন্তব্য করেন তিনি।

logo

সম্পাদক ও প্রকাশক : মো. নজরুল ইসলাম