ঢাকা ১৯ জুন, ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম
জাতীয় ট্যালেন্ট হান্ট ক্রিকেটে সাপাহারের ২ শিক্ষার্থী স্বর্ণের দামে বড় পতনের পূর্বাভাস আগামীকাল সচিবালয়ে বিক্ষোভের ঘোষণা ১১ মাসে রাজস্ব আদায় ৩ লাখ ২৭ হাজার কোটি টাকা: এনবিআর দেশে ফিরেছেন ২৯ হাজার ৭৩ হাজি ঈদযাত্রার ১২ দিনে সড়কে ঝরল ৩১২ প্রাণ নির্বাচন নিয়ে সরকারের প্রতিশ্রুতি দ্রুত বাস্তবায়ন চান রিজভী জনসংযোগ-নিরাপত্তার মিশ্রণে দায়িত্ব পালনে এসএসএফের সদস্যদের প্রতি প্রধান উপদেষ্টার আহ্বান সন্ধ্যায় হাসপাতালে যাবেন খালেদা জিয়া বন্দর নবীগঞ্জে পাষণ্ড স্বামীর হাতে স্ত্রী খুন

অর্থপাচার মামলায় খালাস পেলেন খন্দকার মোশাররফ হোসেন

#

নিজস্ব প্রতিবেদক

২২ আগস্ট, ২০২৪,  1:01 PM

news image

অর্থপাচার মামলায় খালাস পেয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য এবং সাবেক স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন। বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) ঢাকার বিশেষ জজ-১-এর বিচারক আবুল কাশেম এ রায় ঘোষণা করেন। তার আইনজীবী তাহেরুল ইসলাম তৌহিদ জানান, খন্দকার মোশাররফরের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় রায়ে তাকে খালাস প্রদান করেন আদালত। এ সময় মোশাররফর আদালতে উপস্থিতি ছিলেন। খন্দকার মোশাররফ বলেন, ‘২০১২ সালে একটি আইন হলো যে, বিদেশে যাদের সম্পদ আছে, সেটাও ঘোষণা দিতে হবে। ২০১৩ সালের আইন অনুযায়ী বিদেশে থাকা আমার এবং আমার স্ত্রীর সম্পদ ঘোষণা করি। এই ঘোষণার মাধ্যমে ট্যাক্স কর্মকর্তারা আমার থেকে ট্যাক্স গ্রহণ করেন। কিন্তু পরবর্তীতে সে ঘোষণার অঙ্ক ধরেই আমার বিরুদ্ধে মামলা করা হয়।’ তিনি আরও বলেন, ‘২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত কোনো টাকা বিদেশে পাচার করেছি, এমন কিছু তারা প্রমাণ করতে পারেননি। আইনজীবীরা স্বীকার করেছেন যে, আমার বিরুদ্ধে করা এই মামলা কেবলই রাজনৈতিক একটি প্রতিহিংসা। এই মামলার কারণে আমাকে জেলে যেতে হয়েছে, নির্যাতিত হতে হয়েছে। বিশেষ আদালতের বিচারক আজ সৎ সাহসের সঙ্গে সঠিক রায় দিয়েছেন, এ জন্য তাকে ধন্যবাদ জানাই।’ মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন মন্ত্রী থাকাকালীন ক্ষমতার অপব্যবহার, দুর্নীতি ও মানিলন্ডারিংয়ের মাধ্যমে অবৈধভাবে অর্জিত বৈদেশিক মুদ্রাপাচার করে আইনপরিপন্থি কাজ করেছেন। মামলায় তার বিরুদ্ধে যুক্তরাজ্যে মোট ৯ কোটি ৫৩ লাখ ৯৫ হাজার টাকা অর্থপাচারের অভিযোগ আনা হয়। প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি রমনা মডেল থানায় মোশাররফের বিরুদ্ধে অর্থপাচারের অভিযোগে মামলা করে দুদক। পরে একই বছরের ১৪ আগস্ট দুদকের পরিচালক নাসিম আনোয়ার তার বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। পরের বছর ২৮ অক্টোবর তার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত।

logo

সম্পাদক ও প্রকাশক : মো. নজরুল ইসলাম