
নিজস্ব প্রতিবেদক
৩১ ডিসেম্বর, ২০২৪, 2:07 PM

‘আগামী বছর থেকে বর্ষবরণের স্থান নির্দিষ্ট করে দেওয়া হবে’ : ডিএমপি কমিশনার
ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী বলেছেন, ‘সারা পৃথিবীতেই নববর্ষে পটকা-আতশবাজি ফোটান হয়। তবে তারা নির্দিষ্ট স্থানে এই উৎসব করেন। আগামী বছর থেকে বাংলাদেশেও বর্ষবরণ উৎসবের জন্য স্থান নির্দিষ্ট করে দেওয়া হবে।’ আজ মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন। থার্টি ফার্স্ট নাইট ঘিরে কোনো হুমকি নেই জানিয়ে এ রাতে আতশবাজি না ফোটানোর জন্য ঢাকাবাসীর প্রতি অনুরোধ জানান ডিএমপি কমিশনার। ঢাকাবাসী তার আহ্বানে সাড়া দেবেন বলেও আশা করেন তিনি। শেখ মো. সাজ্জাত আলী বলেন, ‘নগরবাসীর সহযোগিতায় নতুন বছর বরণ হবে।’ পুলিশের মনোবল এখন আগের চেয়ে অনেক ভালো বলেও জানান তিনি। ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলীডিএমপি কমিশনারশেখ মো. সাজ্জাত আলীবর্ষবরণ ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী বলেছেন, ‘কেউ চাঁদাবাজি করবেন না। চাঁদাবাজি করলে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। ঢাকা শহরে চাঁদাবাজদের তালিকা তৈরির কাজ চলমান রয়েছে। দুই-তিনদিনের মধ্যে তালিকা ধরে অভিযান শুরু হবে।’ আজ শনিবার দুপুরে রাজধানীর কাকরাইলে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে পুলিশ, ছাত্র, জনতা ও রমনা মডেল থানা এলাকার নাগরিকদের সমন্বয়ে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন। ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘চাঁদাবাজির কারণে নিত্যপণ্যের দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে। এ কারণে নিম্ন ও মধ্যবিত্ত শ্রেণির মানুষের দুর্ভোগ হচ্ছে।’ ঢাকায় ছিনতাই বেড়েছে উল্লেখ করে ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘মোবাইল ছিনতাই বেড়েছে। রাস্তা-ঘাটে বের হলে সবাইকে সচেতন হয়ে চলাচল করতে হবে।’ ফুটপাতের হকারদের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘হকারদের একবারে উচ্ছেদ করে দেওয়া অমানবিক। তবে হকাররা যেন সংযত অবস্থায় রাস্তায় থাকে এ জন্য তাদের প্রতি অনুরোধ। তবে হকারদের কাছ থেকে চাঁদা নেওয়া যাবে না।’ ডিএমপি কমিশনার আরও বলেন, ‘মোটরসাইকেল ঝুঁকিপূর্ণ বাহন। এক মোটরসাইকেলে দুই-তিনজন অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। ঢাকায় ট্রাফিক ব্যবস্থাকে শৃঙ্খলার মধ্যে নিয়ে আসবো। যারা রাস্তা ব্যবহার করবেন অবশ্যই শৃঙ্খলা মেনে চলবেন।’