ঢাকা ২৫ জুন, ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম
১০ বছরের বেশি প্রধানমন্ত্রী নয়, সুপারিশ মেনে নিচ্ছে বিএনপি মব জাস্টিস' নামে এক হিংস্র উন্মাদনা মানবতার শত্রু হয়ে দাঁড়িয়েছে: তারেক রহমান বাংলাদেশে পাচারের জন্যই ফেনসিডিল তৈরি করে ভারত: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদকে কড়া হুঁশিয়ারি দিলেন ইশরাক সাবেক সিইসি হাবিবুল আউয়াল গ্রেপ্তার বিএনপি মব সংস্কৃতির বিপক্ষে: ফারুক চুল পড়া ও মানসিক উদ্বেগ কমায় কাঁঠালের বীজ তদন্ত কমিশনে ই-মেইল পাঠিয়ে সাক্ষ্য দিলেন নানক-আজম ২০২৬ সালের এইচএসসি পরীক্ষা হবে পূর্ণাঙ্গ পাঠ্যসূচিতে প্লাস্টিক ব্যবস্থাপনা ঠিক না থাকায় জীববৈচিত্র ধ্বংসের মুখে: ড. ইউনূস

‘আগামী বছরের জুনে কক্সবাজার যাবে ট্রেন’

#

নিজস্ব প্রতিবেদক

০৫ নভেম্বর, ২০২২,  10:34 AM

news image

আগামী ২০২৩ সাল নাগাদ কক্সবাজার যাওয়া যাবে ট্রেনে করে। এ লক্ষ্যে কাজ করছে সরকার। এ প্রকল্পের জন্য অর্থ সহায়তা দিয়েছে দাতা সংস্থা এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক (এডিবি)। প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা দাবি করছেন, এই রেললাইনের ৫০ কিলোমিটারের বেশি এখন দৃশ্যমান। এই প্রকল্পের প্রায় ৭৬ শতাংশ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। বাকি কাজ আগামী ২০২৩ সাল নাগাদ সম্পন্ন হবে। এই রেলপথ নির্মিত হলে তা দেশের বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও পর্যটন উন্নয়নকে আরও একধাপ এগিয়ে নিবে বলে আশা করা হচ্ছে। জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১১ সালে দোহাজারী থেকে রামু পর্যন্ত ৮৮ কিলোমিটার, রামু থেকে কক্সবাজার ১২ কিলোমিটার ও রামু থেকে ঘুমধুম পর্যন্ত মিটারগেজ রেলপথ নির্মাণকাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।

প্রকল্পটি বর্তমানে নির্মাণাধীন। ২০২৩ সালের জুন নাগাদ নির্মাণকাজ শেষ হলে জুলাই কিংবা আগস্টে ট্রেন চলাচল শুরু হতে পারে। মোট ১০০ কিলোমিটারের এই রেলপথে মোট আটটি স্টেশন থাকছে। এই গুলো হলো- কক্সবাজার সদর, ডুলাহাজারা, সাতকানিয়া, চকরিয়া, রামু, উখিয়া, ঈদগাঁও ও লোহাগড়া। সাঙ্গু, মাতামুহুরি ও বাঁকখালী নদীর ওপর তিনটি বড় সেতুও নির্মাণ করা হচ্ছে। সাতকানিয়ার কেঁওচিয়ায় ফ্লাইওভার, রামু-কক্সবাজারে দুটি হাইওয়ে ক্রসিং, বন্যপ্রাণীর চলাচলে ওভারপাস ও তিনটি আন্ডারপাস এই প্রকল্পের মধ্যে রয়েছে। এ ছাড়া ১৪৪টি লেভেল ক্রসিং, ৪৩টি ছোট সেতু ও ২০১টি কালভার্টও নির্মাণ করা হচ্ছে। এ বিষয়ে প্রকল্প পরিচালক মফিজুর রহমান বলেন, প্রকল্পের ৫০ কিলোমিটারের বেশি এখন দৃশ্যমান। অধিকাংশ ব্রিজ-কালভার্ট নির্মাণও প্রায় শেষ। বাকিগুলো আগামী ফেব্রুয়ারির মধ্যেই শেষ হবে। প্রত্যাশা করছি, ২০২৩ সালের জুন নাগাদ কাজ শেষ করতে পারবো। রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, কর্ণফুলী নদীর ওপর পদ্মা সেতুর আদলে আরেকটি নতুন রেলসেতু নির্মাণ করা হবে। এর ব্যয় ধরা হয়েছে ছয় হাজার ৩৪১ কোটি টাকা। কোরিয়ান সরকার এই রেলসেতুর সব ব্যয় বহন করবে। শিগগিরই এই সেতুর নির্মাণকাজ উদ্বোধন করা হবে।

logo

সম্পাদক ও প্রকাশক : মো. নজরুল ইসলাম