
স্পোর্টস ডেস্ক
০৪ আগস্ট, ২০২২, 3:19 PM

৯ বছর ৩ মাস পর মায়ের দেখা
ক্রিকেটে সফলতা না পেলে বাড়ি ফিরবেন না - এমন প্রতিজ্ঞা করে ঘর ও পরিবার-পরিজন ছেড়েছিলেন ভারতীয় ক্রিকেটার কুমার কার্তিকেয়া সিং। এরপর কেটে গেছে প্রায় এক দশক সময়। এতো দীর্ঘ সময় পর সাফল্য ধরা দিলো। ভারতের জনপ্রিয় ফ্রাঞ্চাইজি লিগ আইপিএলে খেলার সুযোগ মিলল। এবার তার দল মধ্যপ্রদেশ ভারতের সম্মানজনক ঘরোয়া টুর্নামেন্ট রঞ্জি ট্রফির ২০২১-২২ সংস্করণ জয় করেছে। আর বিজয়ের সুসংবাদ নিয়ে ঘরে ফিরেছেন কুমার। ৯ বছর ৩ মাস পর ছেলেকে বিজয়ী বেশে দেখলেন মা। বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েন কুমারের মা। সে অনুভূতির কথা জানাতে সামাজিক মাধ্যমে কুমার লিখেছেন, ‘৯ বছর ৩ মাস পর আমার পরিবার আর মায়ের সঙ্গে দেখা হলো। এই অনুভূতি প্রকাশের ভাষা নেই আমার কাছে।’ ‘ভার্সেটাইল’ স্পিনার হিসেবে ভারতীয় ক্রিকেটে এরই মধ্যে সুনাম কুড়িয়েছেন কুমার।
২৪ বছর বয়সি এ স্পিনার - লেগ ব্রেক, গুগলি, ফিঙ্গার স্পিন এবং ক্যারম বলে পারদর্শী। আর সেই পারদর্শিতা দিয়েই মধ্যপ্রদেশকে রঞ্জি ট্রফির শিরোপা জিতিয়েছেন কুমার। আসরের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ উইকেটশিকারী তিনি। ১১ ইনিংসে শিকার করেছেন ৩২ উইকেট, যার মধ্যে ইনিংসে ৫ উইকেট পেয়েছেন ৩ বার! সাফল্য পেতে কেন ঘর ছেড়েছিলেন? সে প্রশ্নের জবাবে কুমার ক্রিকেট ডট কমকে বলেন, ‘বাড়িতে যাওয়ার মতো সময় আমার ছিল। তবে শেষবার যখন বাবার সঙ্গে কথা বলি, তিনি আমাকে বলেছিলেন, যেহেতু তুমি চলেই গেছ, কিছু অর্জন করে তবেই ফিরে এসো। জবাবে আমি শুধু একটা শব্দই বলেছিলাম, ‘জি’। আর যেহেতু আমি ‘জি’ বলেছিলাম, তাই আমি বাড়ি যাইনি। শুধু কিছু অর্জন করতে পারলেই বাড়ি যাব।’ একসময় ভিডিওকলে বাড়িতে যোগাযোগ করাও বন্ধ করে দেন কুমার। এর কারণ জানাতে বলেন, ‘ভিডিও কল দিলে মা কাঁদতেন। আবেগী হয়ে পড়তেন। তাই ভিডিও কল বন্ধ করে আমি শুধু ভয়েস কল করতাম। মা-বাবাসহ বাড়ির আর সবার খোঁজ-খবর রাখতাম। তবে এরইমধ্যে কয়েকবার ভিডিওকল করেছিলেন বলে জানান কুমার। তিনি বলেন, ‘হ্যা, আইপিএলে দল পাওয়ার পর আর রঞ্জি ট্রফি জয়ের পর ভিডিওকল করেছিলাম। এর আগে ২০১৮ সালে রঞ্জিতে সুযোগ পাওয়ার পর কল করেছিলাম।’ উল্লেখ্য, আইপিএলের গেল মৌসুমে আরশাদ খান চোটে পড়লে কপাল খুলে কুমার কার্তিকেয়া সিংয়ের। মুম্বাই ইন্ডিয়ানসের হয়ে অভিষেক ঘটে তার। অভিষেক ম্যাচের প্রথম ওভারেই রাজস্থান রয়্যালস অধিনায়ক সঞ্জু স্যামসনকে সাজঘরে ফিরিয়ে চমক উপহার দেন এই স্পিনার।