
নিজস্ব প্রতিবেদক
২৭ জুন, ২০২২, 12:06 PM

২৪ ঘন্টার মধ্যে পরিষ্কার করা হবে কোরবানির বর্জ্য
চলতি বছরও কোরবানির পশুর বর্জ্য এক দিনেই পরিষ্কারের পরিকল্পনা নিয়েছে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন। কাজ করবেন ১৮ হাজারেরও বেশি পরিচ্ছন্নতাকর্মী। ব্যবহার হবে প্রায় ৯০০ গাড়ি। রোববার (২৬ জুন) স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের অনলাইন সভায় যুক্ত হয়ে এ তথ্য জানান দুই মেয়র। ঢাকার বাইরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ শহরের মেয়ররাও সভায় যুক্ত হয়ে তাদের পরিকল্পনা তুলে ধরেন। ঈদুল আজহায় সব থেকে বড় চ্যালেঞ্জ পশুর হাট ও পশু জবাই-পরবর্তী বর্জ্য পরিষ্কার। একটা সময় বর্জ্য নিয়ে নাগরিকরা ভোগান্তিতে পড়লেও গত কয়েক বছর ধরে সুষ্ঠু ও পরিকল্পিত উপায়ে পরিষ্কার করা হচ্ছে কোরবানির বর্জ্য। প্রতিবছর এই কাজ নিয়ে বড় ধরনের পরিকল্পনা থাকে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের।
চলতি বছর ঢাকা দক্ষিণে পরিচ্ছন্নতার কাজে নিয়োজিত থাকবেন ৮ হাজার ২০০ জন কর্মী। এ কাজে ব্যবহার করা হবে ৩৫০টি গাড়ি। অন্যদিকে, ঢাকা উত্তরে দায়িত্ব পালন করবেন ৯ হাজার ৯০০ জন পরিচ্ছন্নতাকর্মী এবং গাড়ি থাকবে ৫৩৮টি। এ বিষয়ে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, ৯ হাজার ৯০০ জন কর্মী আমাদের বর্জ্য পরিষ্কার করবে। আমরা শহরের বাড়িতে বাড়িতে মোট ৬ লাখ ব্যাগ দেব। কোরবানির পশুর বর্জ্য সকাল ৮টা থেকে রাত ৮টার মধ্যে পরিষ্কার করে ফেলব। অন্যদিকে, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস বলেন, সকল সংস্থা যদি আমাদের সহযোগিতা করে, তাহলে আমরা ঈদের দিন এবং ঈদের পরের দিনর বর্জ্য দ্রুত পরিষ্কার করে সুন্দর পরিবেশ নগরবাসীকে উপহার দিতে পারব। পশুর হাটের শৃঙ্খলা রক্ষা ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় সিটি করপোরশনগুলোকে সব ধরনের সহায়তা করবে বলে জানান স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম। তিনি বলেন, আমরা সবাই মিলে আশাবাদী যে, সম্মিলিতভাবে সকলের প্রচেষ্টায় কোরবানির হাট এবং কোরবানি পরবর্তী বর্জ্য ব্যবস্থাপনা সঠিকভাবে সমাপ্ত হবে। যেখানে সেখানে পশু জবাই না করে নির্দিষ্ট স্থানে কোরবানি ও বর্জ্য পরিষ্কারে নাগরিকদের সহযোগিতার আহ্বান জানান মন্ত্রী।