
NL24 News
১৮ নভেম্বর, ২০২১, 10:10 PM

হাসপাতাল ছেড়ে বাড়ি ফিরলেন চমেক ছাত্র আকিব
চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজে (চমেক) ছাত্রলীগের অভ্যন্তরীণ কোন্দলে প্রতিপক্ষের হামলায় গুরুতর আহত মাহাদি জে আকিব ১৯ দিন পর হাসপাতাল ছেড়ে বাড়ি ফিরেছেন। বৃহস্পতিবার (১৮ নভেম্বর) মেডিকেল বোর্ডের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তাকে বাড়ি পাঠানো হয়েছে। ৩০ অক্টোবর আহত হওয়ার পর থেকে চমেক হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন ছিলেন আকিব। চমেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এস এম হুমায়ন কবীর বলেন, আকিবকে রিলিজ দেওয়া হয়েছে। সে ভালো হয়ে গেছে, বাড়ি চলে গেছে। তার বাবা এসেছিল। তিনিই সঙ্গে করে নিয়ে গেছেন।
তিনি বলেন, বাকি চিকিৎসা আমরা পরামর্শ দিয়ে দিয়েছি। এক-দেড় মাস পরে আরেকটা ছোট অপারেশন লাগবে। সেটা আমরা করব। মেডিকেল বোর্ড করে সব ডাক্তাররা দেখেছেন সে সুস্থ আছে। আমি ছিলাম। দেখেছি সে নরমাল অবস্থায় আছে। তাই বাড়ি গেছে। অন্য এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বাড়িতে থাকবে। স্বাভাবিক কার্যক্রম চলবে। বইপত্র নিয়ে গেছে। কুমিল্লার বুড়িচং এলাকার গোলাম ফারুক মজুমদারের দুই সন্তানের মধ্যে ছোট মাহাদি জে আকিব (২১) চমেক এর দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। গত ৩০ অক্টোবর চমেক ক্যাম্পাসের অদূরে পপুলার ডায়গনস্টিক সেন্টারের সামনে হামলার শিকার হন আকিব। তার উপর ধারালো অস্ত্র, স্ট্যাম্প, রড, ছুরি, কাঁচের বোতল নিয়ে হামলা চালানো হয়। এতে মস্তিষ্কে গুরুতর আঘাত পায় আকিব। পরে চমেক হাসপাতালের নিউরোসার্জারি বিভাগে তার অপারেশন করা হয়। চমেক ছাত্রলীগের বিবদমান দুটি পক্ষ শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল এবং সাবেক মেয়র নগর আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীনের অনুসারী। আকিব চমেক ছাত্রলীগের নওফেল অনুসারী হিসেবে পরিচিত। ২৯ অক্টোবর রাতে চমেক এর প্রধান ছাত্রাবাসে দুই পক্ষের মধ্যে মারামারির জেরে পরদিন দুপুরে আবার সংঘর্ষে জড়ায় বিবদমান দু’পক্ষ। তখন ক্লাশে যাওয়ার সময় একা পেয়ে আকিবের উপর হামলা চালানো হয়। চমেক হাসপাতালকেন্দ্রীক চাঁদাবাজি, দালাল ব্যবসা, স্লিপ বাণিজ্য, অ্যাম্বুলেন্স সিন্ডিকেটসহ নানা অবৈধ ব্যবসা যারা নিয়ন্ত্রণ করেন তারাই আকিবের উপর হামলা করেছে বলে অভিযোগ ওঠে। আকিবের মাথার ডান দিকে গুরুতর আঘাত ছিল। সেদিনই তার অপারেশন হয়। মাথায় আঘাত বেশি হওয়ায় আর্টিফিশিয়াল ডুরামেটার দিয়ে ব্রেইনের পর্দা তৈরি করেন চিকিৎসকরা। সেখানে থাকা হাড়টি পেটের চামড়ার নিচে আলাদা একটা কক্ষ তৈরি করে রাখা হয়। দ্বিতীয় অপারেশন করে হাড়টি প্রতিস্থাপন করা হবে। ওই হামলার পর বিবাদমান দুই পক্ষ পরষ্পরের বিরুদ্ধে তিনটি মামলা করে।