ঢাকা ১৭ জুন, ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম
সোনারগাঁয়ে বেরিবাঁধ থেকে যুবকের গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ শপথ ভেঙেছেন: ইশরাক সাভারে অসহায় বিধবা নারীকে আর্থিক সহায়তা দিলেন বিএনপি নেতা খোরশেদ আলম ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে তৃনমূল দ্বায়ীত্বশীলদের সাথে পরামর্শ সভা অনুষ্ঠিত জুলাইয়ের মধ্যেই 'জুলাই সনদ' তৈরি করতে পারবো: আলী রীয়াজ ঐকমত্য কমিশনের বৈঠকে যোগ দেয়নি জামায়াত সাগরে তৈরি হচ্ছে বজ্রমেঘ, সমুদ্রবন্দরে ৩ নম্বর সতর্কসংকেত একাত্তরে ৫ রাজাকারকে কুপিয়ে হত্যা করা মুক্তিযোদ্ধা সখিনা বেগম আর নেই সচিবালয়ে বিক্ষোভ অব্যাহত ইরানের শীর্ষ কমান্ডারকে হত্যার দাবি ইসরায়েলের

হবিগঞ্জে চলন্ত বাসে কলেজছাত্রী ধর্ষণের অভিযোগে চালকের সহকারী গ্রেপ্তার

#

নিজস্ব প্রতিনিধি

১৭ জুন, ২০২৫,  11:16 AM

news image

হবিগঞ্জের নবীগঞ্জে চলন্ত বাসে কলেজছাত্রীকে ধর্ষণের ঘটনায় বাসচালকের পর এবার গ্রেফতার করা হয়েছে অভিযুক্ত হেলপার লিটন মিয়াকে (২৬)। সোমবার (১৬ জুন) দিবাগত রাতে সিলেটের দক্ষিণ সুরমা এলাকা থেকে র‍্যাব ও পুলিশের যৌথ অভিযানে তাকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতার লিটন মিয়া সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার রশিদপুর গ্রামের নুরু মিয়ার ছেলে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নবীগঞ্জ-বাহুবল সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার জহিরুল ইসলাম। তিনি জানান, গ্রেফতারের পর লিটনকে সিলেট র‍্যাব কার্যালয়ে নেওয়া হয় এবং মঙ্গলবার সকালে নবীগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করা হবে। এর আগে, রবিবার (১৫ জুন) রাতে নবীগঞ্জ-আউশকান্দি সড়কের ছালামতপুর এলাকায় চলন্ত বাসে এক কলেজছাত্রী ধর্ষণের শিকার হন। ভুক্তভোগী তরুণী বানিয়াচং উপজেলার বাসিন্দা হলেও বর্তমানে ঢাকার তেজগাঁওয়ে থাকেন এবং ঢাকার ওরিয়েন্টাল কলেজের শিক্ষার্থী। তিনি ‘বিলাশ পরিবহন’-এ করে ফার্মগেট থেকে সিলেট আসেন।

এরপর দাদার বাড়ি যাওয়ার উদ্দেশ্যে ‘মা এন্টারপ্রাইজ’ বাসে উঠেন। বাসটি শেরপুর এলাকায় পৌঁছালে যাত্রীরা নেমে যান। এরপর বাসচালক ও হেলপার মিলে একা পেয়ে ছাত্রীটিকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। আউশকান্দি এলাকায় পৌঁছালে তার চিৎকারে স্থানীয়রা ছুটে এসে পুলিশ ও সেনাবাহিনীকে খবর দেয়। রাত ১২টার দিকে চালককে আটক করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে তুলে দেওয়া হয় এবং কলেজছাত্রীকে উদ্ধার করা হয়। পরে সোমবার সকালে ভুক্তভোগী নিজে বাদী হয়ে নবীগঞ্জ থানায় বাসচালক ও হেলপারের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। খবর পেয়ে হবিগঞ্জের পুলিশ সুপার এ.এন.এম সাজেদুর রহমান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং হাসপাতালে গিয়ে নির্যাতিতার সঙ্গে কথা বলেন। সোমবার বিকেলে অভিযুক্ত চালককে আদালতে হাজির করা হলে আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। এই পাশবিক ঘটনার পর হবিগঞ্জসহ পুরো জেলায় চরম ক্ষোভ ও উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে। জনমনে দেখা দিয়েছে নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ।

logo

সম্পাদক ও প্রকাশক : মো. নজরুল ইসলাম