
নিজস্ব প্রতিনিধি
১৭ নভেম্বর, ২০২১, 11:34 AM

সুরমা নদীতে থেকে হাত-পা বাঁধা এক বৃদ্ধার লাশ উদ্ধার
গামছা দিয়ে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় সুরমা নদীতে ভেসে ছিলেন ৯০ বছরের বৃদ্ধ জিতু মিয়া। গত ১২ নভেম্বর সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার করিমপুর ইউনিয়নের ছাদিরপুর গ্রামের পাশে তাকে সুরমা নদীতে ভাসতে দেখা যায়। স্থানীয়রা জানান, ছাদিরপুর গ্রামের মোকামবাড়ির ঘাটে শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে জিতু মিয়ার হাত-পা বেঁধে সুরমা নদীতে ছেড়ে দেন ওই গ্রামের বাসিন্দা ঝুনু মিয়া ও তার ভাতিজা সিজিল মিয়া। এ অবস্থায় জিতু মিয়া পানিতে না ডুবে দীর্ঘ ৪০ মিনিট ভেসেছিলেন।
গ্রামের শত শত মানুষ এ দৃশ্য উপভোগ করেন। এ নিয়ে একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। জিতু মিয়া জানান, তার বাড়ি হবিগঞ্জ জেলার নবীগঞ্জ উপজেলার কিদিরপুর গ্রামে। তিনি ৫ সন্তানের জনক। ৩ ছেলে ও ২ মেয়ে রয়েছে তার। ছেলেরা নবীগঞ্জ বাজারে ব্যবসা করে। ৩৫ বছর বয়স থেকে তিনি তার গুরু দেওয়ান মাহবুবের কাছ থেকে এ বিদ্যা আয়ত্ত করেছেন। এই বয়সে তিনি গামছা দিয়ে হাত পা বাঁধা অবস্থায় কম করে হলেও এক হাজারবার নদীর পানিতে ভেসে ছিলেন। শীতের দিনে একনাগাড়ে ২ থেকে ৩ ঘণ্টা ও গরমের দিনে ১০ থেকে ১২ ঘণ্টা পানিতে ভেসে থাকতে পারেন। তিনি জানান, দেশের বিভিন্ন মাজারে ও শিষ্যদের বাড়িতে ঘুরে বেড়ান। গত ১৩ নভেম্বর তিনি দিরাইয়ের ঝুনু মিয়া ওরফে ঝুনু পাগলার দাওয়াতে তিনি ছাদিরপুর গ্রামে শিষ্যের বাড়িতে এসেছেন। শিষ্য ঝুনু মিয়া বলেন, তিনি আমার ওস্তাদ, আমি তাকে দাওয়াত দিয়ে নিয়ে এসেছি। এখন আমার বাড়িতে আছেন। তিনি হাত পা-বাঁধা অবস্থায় পানিতে ভেসে থাকতে পারেন। ঝুনু মিয়ার ভাতিজা সিজিল মিয়া জানান, জিতু মিয়াকে ভয়ে কেউ হাত পা বেঁধে পানিতে ফেলে দিতে এগিয়ে আসেনি। পরে আমি ও আমার চাচা ঝুনু মিয়া গামছা দিয়ে হাত পা বেঁধে সুরমা নদীর পানিতে ভাসিয়ে দেই। পরে তিনি সুস্থ স্বাভাবিক অবস্থায় নদী থেকে তীরে ওঠে আসেন। গত ১২ নভেম্বর সকালে আমি ও আমার ভাতিজা তাকে গামছা দিয়ে বেঁধে সুরমা নদীতে ভাসিয়ে দিয়েছিলাম। দীর্ঘ ৪০ মিনিট তিনি নদীর পানিতে ভেসে ছিলেন। পরে নিজেই তীরে আসলে আমরা তাকে পানি থেকে তুলে আনি। তিনি সুস্থ ও স্বাভাবিক ছিলেন বলেও জানান তিনি।