ঢাকা ১৯ জুন, ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম
ইসরায়েল-ইরান সংঘাত: জরুরি বৈঠক ডেকেছে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ সাবেক প্রতিমন্ত্রী শামসুল আলম গ্রেপ্তার বিএনপির রাষ্ট্র মেরামতের ৩১ দফা প্রচারে লিফলেট বিতরণ ইসলামপুরে শরীর সুস্থ রাখতে কাঁঠালের উপকারিতা গাজায় ইসরাইলি হামলায় একদিনে ৭২ ফিলিস্তিনি নিহত প্রোটিয়াদের শিরোপা জিতিয়ে র‍্যাঙ্কিংয়ে মার্করামের বড় লাফ মার্কিন উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টার বৈঠক ইসরায়েল হলো মধ্যপ্রাচ্যের ক্যান্সার : উত্তর কোরিয়া ঢাকাসহ ১৮ জেলায় দুপুরের মধ্যে ঝড়-বৃষ্টির আভাস রাজধানীতে মাদক কারবারিদের গুলিতে দুই পুলিশ সদস্য আহত

সুগন্ধায় লঞ্চে অগ্নিকাণ্ড: স্বামীর মৃত্যুর খবর জানেন না দগ্ধ স্ত্রী-মেয়ে

#

নিজস্ব প্রতিনিধি

২৯ ডিসেম্বর, ২০২১,  1:23 PM

news image

বরগুনার পাথরঘাটা পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা আবদুর রাজ্জাক। পাথরঘাটা উপজেলার কালমেঘা দাখিল মাদ্রাসার ইংরেজি বিষয়ের শিক্ষক ছিলেন তিনি। এলাকাবাসী তাকে রাজ্জাক মাস্টার নামেই চেনেন। অনেকদিন ধরে শারীরিক নানা অসুস্থতায় ভুগছিলেন তার স্ত্রী হনুফা বেগম। তাই তার চিকিৎসার জন্য বরিশাল বিএম কলেজের শিক্ষার্থী মেয়ে রুবি আক্তারকে সঙ্গে নিয়ে ঢাকায় গিয়েছিলেন রাজ্জাক মাস্টার। ১০ দিন ঢাকায় থেকে স্ত্রীর চিকিৎসা করিয়ে মেয়েকে সঙ্গে নিয়ে অভিযান-১০ লঞ্চে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছিলেন তিনি।

কিন্তু ভাগ্যের নির্মম পরিহাস তার আর বাড়ি ফেরা হলো না। গভীর রাতে সুগন্ধা নদীতে লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার পর মা-মেয়েকে অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় বরিশালে চিকিৎসার জন্য নেয়া হয়।তবে স্বজনরা কোথাও রাজ্জাককে খুঁজে পাচ্ছিলেন না। পরে বিকালে উদ্ধার হওয়া মরদেহের মধ্যে থেকে রাজ্জাকের মরদেহ শনাক্ত করেন স্বজনরা। হনুফা বেগমের বোনের ছেলে শফিকুল বলেন, দীর্ঘদিন ধরে খালা অসুস্থ ছিল। তাই চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকায় নিয়ে যান খালু ও খালাতো বোন। গত বৃহস্পতিবার ৩ জনই বরগুনাগামী লঞ্চে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছিলেন। কিন্তু অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় সব শেষ। অগ্নিকাণ্ডে খালার দুই হাত ও পা আর বোনের শরীরের প্রায় অংশই পুড়ে গেছে। তারা এখনো চিকিৎসাধীন রয়েছেন। আর খালু চলে গেছেন না ফেরার দেশে। তার লাশ শনাক্ত করে দাফন করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত খালা ও বোনকে খালুর মৃত্যুর খবর জানাইনি। রাজ্জাক মাস্টারের স্ত্রী হনুফা বেগম স্বজনদের কাছে ঘটনার বর্ণনা দিয়ে বলেন, গভীর রাতে হঠাৎ লঞ্চে ধোঁয়া আর আগুন দেখে ছোটাছুটি শুরু করে যাত্রীরা। মুহূর্তেই আগুন ছড়িয়ে পড়ে পুরো লঞ্চে। আমরাও ছুটছি। কিন্তু কিছুক্ষণের মধ্যেই আমাদের শরীরে আগুন লেগে যায়। নদীতে ঝঁাঁপ দেয়ার জন্য আমার স্বামী আমাকে ও মেয়েকে লঞ্চের সামনের দিকে ঠেলে দেয়। এরপর আর কিছু মনে নেই। জ্ঞান ফিরে দেখি আমরা মা-মেয়ে হাসপাতালে। কিন্তু কোথাও আমার স্বামী নেই। সূত্র: মানবজমিন 


logo

সম্পাদক ও প্রকাশক : মো. নজরুল ইসলাম