
নিজস্ব প্রতিবেদক
১৮ এপ্রিল, ২০২২, 3:44 PM

সিইসিকে যেসব পরামর্শ দিলেন জ্যেষ্ঠ সাংবাদিকরা
বিএনপিকে নির্বাচনে আনা কমিশনের দায়িত্বের মধ্যে পড়ে কি না, এ নিয়ে বিতর্কে জড়ালেন জ্যেষ্ঠ সাংবাদিকরা। ইসির সংলাপে সিইসির সামনেই এ মতানৈক্যে জড়ান তারা। কথা কম কাজ বেশির নীতি এবং আস্থার সংকট কাটাতে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ বাড়ানোর পরামর্শ দিয়েছেন গণমাধ্যম ব্যক্তিত্বরা। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের রোডম্যাপ তৈরির আগে বিশিষ্টজনদের সঙ্গে ধারাবাহিক সংলাপ করছে নির্বাচন কমিশন। তারই অংশি হিসেবে সোমবার (১৮ এপ্রিল) সকালে টেলিভিশন এবং অনলাইন সম্পাদক ও প্রধান নির্বাহীদের সঙ্গে বৈঠকে বসে কমিশন। সংলাপে ৩৭ জনকে আমন্ত্রণ জানানো হলেও উপস্থিত ছিলেন ২৪ জন। সংলাপে নির্বাচন কমিশনের ওপর আস্থার সংকট কাটাতে নানা পরামর্শ দেন গণমাধ্যম ব্যক্তিত্বরা। কথা কম কাজ বেশি নীতি মেনে চলতে বলা হয় ইসিকে। মিডিয়া ব্যক্তিত্ব মনজুরুল আহসান বুলবুল বলেন, একটি লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড করা, যেন সব দল আসতে পারে। নির্বাচনের দিনে সহিংস ঘটনা ঘটবে না, এটা নিশ্চিত করা। নির্বাচনের পর ফলাফল সব দল মেনে নেবে। ডিবিসি নিউজের প্রধান সম্পাদক ও সিইও মনজুরুল ইসলাম বলেন, গত ৫০ বছরে কী কী কারণে আস্থার সংকট হয়েছে, সেখান থেকে একটা একটা করে চেকলিস্ট করে যে এই সংকটটা আমি কমিয়ে আনলাম।
সময় টিভির হেড অব নিউজ মুজতবা দানিশ বলেন, নির্বাচন কমিশন কাকে ডাকবে না-ডাকবে এই এখতিয়ার কিন্তু বই-খাতার মধ্যে রাখলে চলবে না। একটা ভালো নির্বাচন করতে হলে বড় যে দলগুলো আছে, তাদের সঙ্গে আলোচনায় বসতে হবে।বিএনপিকে নির্বাচনে আনতে পদক্ষেপ নেওয়ার বিষয়ে ভিন্ন ভিন্ন মত দেন তারা। এ সময় এ ইস্যুতে সিইসির সামনেই বিতর্কে জড়িয়ে পড়েন সিনিয়র সাংবাদিকরা।
একাত্তর টিভির প্রধান সম্পাদক ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোজাম্মেল বাবু বলেন, ‘আমি আশা করি, আপনারা এ রকম চেষ্টা করবেন যেন বিএনপি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারে। সে রকম একটা আস্থার পরিবেশ সৃষ্টি করা।’
মাছরাঙা টিভির হেড অব নিউজ রেজোয়ানুল হক রাজা বলেন, ‘কোনো রাজনৈতিক দল যদি সিদ্ধান্ত নেয় আমি নির্বাচন করব না, তাহলে অংশগ্রহণ তারা কীভাবে নিশ্চিত করবে। আমরা তো একেকজন একেক রকম বলছি।’
এটিএন বাংলার প্রধান নির্বাহী সম্পাদক জ. ই. মামুন বলেন, নির্বাচনের পরিবেশ সৃষ্টি হয়নি–এরকম অজুহাতে যেন কোনো দল নির্বাচন বর্জন না করে।’আস্থার সংকট কাটিয়ে ঐকমত্যের ভিত্তিতে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করার কথা জানান সিইসি।
সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, পক্ষ-প্রতিপক্ষ মাঠে গিয়ে ব্যালেন্স তৈরি করে। নির্বাচনগুলো প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক হওয়া উচিত। এখানে দুইটা পক্ষকেই খেলতে হবে।
এর আগে, ২৭ ফেব্রুয়ারি দায়িত্ব নেওয়ার পর জাতীয় নির্বাচনের রোডম্যাপ তৈরিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, বিশিষ্ট নাগরিক এবং পত্রিকার সম্পাদকদের সঙ্গে সংলাপ করে নির্বাচন কমিশন।